এই আসনে তৃণমূল প্রার্থী উত্তম বারিক ৫০.৪২ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির অম্বুজাক্ষা মোহান্তি পেয়েছেন ৪৫.৬ শতাংশ ভোট।এই বিধানসভায় এবারের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন উত্তম বারিক। অপরদিকে এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন বিজেপি প্রার্থী অম্বুজাক্ষা মোহান্তি। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়িয়েছেন সিপিআইয়ের সৈকত গিরি।মেদিনীপুর বিভাগের একটি জেলা পূর্ব মেদিনীপুর। এই জেলার উত্তরে হাওড়া জেলা রয়েছে। পূর্বে হুগলি নদী ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা। আরও দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিমে পশ্চিম মেদিনীপুর ও ওড়িশা অবস্থিত। পটাশপুর এই জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। সেখানে ২৭ মার্চ প্রথম দফায় ভোট হয়েছে।২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী জ্যোতিপ্রিয় কর জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ১০৩,৫৬৭৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিআইয়ের মাখনলাল নায়েক৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৭৩, ৬৭৯৷ নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআইয়ের মাখনলাল নায়েককে ২৯, ৮৮৮ ভোটে হারিয়েছিলেন তৃণমূলের প্রার্থী জ্যোতিপ্রিয় কর।উল্লেখ্য, সিপিআইয়ের কামাক্ষানন্দন দাস মহাপাত্র পটাশপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ছ'বার জয়ী হয়েছিলেন। ২০০৬ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের তপনকান্তি করকে পরাজিত করেন তিনি। তার আগে ২০০১ সালের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের মৃণালকান্তি দাসকে হারিয়েছিলেন। এছাড়াও ১৯৯৬ সালে কংগ্রেসের পরেশচন্দ্র ভুঁইঞা, ১৯৯১ সালে কংগ্রেসের সুনীল পালকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৮৭ সালে কংগ্রেসের প্রদ্যুৎকুমার মহান্তি ও ১৯৮২ সালে কংগ্রেসের রাধানাথ দাস অধিকারীকে পরাজিত করেছিলেন কামাক্ষা। ১৯৭৭ সালে জনতা পার্টির জন্মজয় ওঝা কংগ্রেসের বরেন্দ্রনাথ পাত্রকে এই আসনে পরাজিত করেছিলেন।১৯৭১—৭২ সালে কংগ্রেসের প্রফুল্ল মাইতি এই আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৬৭ ও ১৯৬৯ সালে সিপিআইয়ের কামাক্ষানন্দন দাস মহাপাত্র জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৬২ সালে কংগ্রেসের রাধনাথ দাস অধিকারী এই আসনে জিতেছিলেন। ১৯৫৭ সালে পিএসপি—র শিশিরকুমার দাস পটাশপুর আসনে জয়ী হয়েছিলেন। দেশের প্রথম নির্বাচনে বিজেএসের জনার্দন সাহু পটাশপুর কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন।