হাতে আর দু’দিন বাকি। তারপর শুরু হয়ে যাবে দ্বিতীয় দফার ভোট। কিন্তু মিঠুন চক্রবর্তীর রোড শোয়ের পরই উত্তপ্ত হয়ে উঠল কেশপুর। রবিবার বেশি রাতে উত্তর ধলহারা এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয়। এমনকী বাধা দিতে গেলে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় প্রবল উত্তেজনা তৈরি হয়েছে বলে খবর। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, এই ঘটনায় আহত হয়েছেন তিন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাই তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করতে হয়েছে। মিঠুন চক্রবর্তীর রোড–শো থেকে ফেরার পথে তাদের পার্টি অফিসে হামলা চালায় বিজেপি কর্মীরা। রাতে ঘটনাস্থলে যায় কেশপুর থানার পুলিশ। সোমবার সকালেও এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে। মানুষজন আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্ত্বেও কী করে এমন ঘটল? এই ঘটনায় দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন কেশপুরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শিউলি সাহা। রবিবার দোলের দিন চার–চারটি রোড–শো করেন মিঠুন। প্রথমে বাঁকুড়ার ইন্দাস থেকে শুরু হয় তাঁর কর্মসূচি। এখানে বিজেপি প্রার্থী নির্মল ধাড়ার সমর্থনে পথে নামেন তিনি। আর এখানেই তিনি বলেন, ‘প্রথম দফার ভোট দেখে বোঝা যাচ্ছে সরকার বদলাচ্ছে।’ এই মন্তব্যই বিজেপি কর্মীদের উস্কানি দিয়েছে বলে মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলার নেতারা। উল্লেখ্য, ২০১০ সালে শেষবার কেশপুরে এসেছিলেন মিঠুন। তখন প্রচার করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে। ১০ বছর পর এবার এলেন কেশপুরে। বিজেপির হয়ে প্রচার করতে। সেখানে মিঠুন জানান, প্রচুর মানুষ, বিজেপির জয় নিশ্চিত, বিজেপিকে কেউ রুখতে পারবে না। এবার সোনার বাংলা হবে। এদিন চন্দ্রকোণার রামজীবনপুরেও বিজেপি প্রার্থী শিবরাম দাসের সমর্থনে রোড–শো করেন মিঠুন চক্রবর্তী।