এই কেন্দ্রে এবারের তৃণমূলের প্রার্থী হলেন কানহাইয়া লাল আগরওয়াল। এই আসনে বিজেপির তরফে দাঁড়াচ্ছেন কৃষ্ণা কল্যাণী। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন কংগ্রেসের মোহিত সেনগুপ্ত।দিনাজপুর জেলার ইতিহাস প্রায় দু'হাজার বছরেে পুরনো৷ পৌরাণিক, ঐতিহাসিক, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক, প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ উত্তর দিনাজপুর জেলাটি সেন, পাল, মৌর্য ও ইসলামিক শাসনের ঐতিহ্য ও ব্রিটিশ বিরোধী কার্যকলাপের স্মৃতি বহন করে চলেছে৷ প্রাচীনকালে অবিভক্ত দিনাজপুর জেলা পুণ্ড্র সাম্রাজ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল৷ রায়গঞ্জ নামের উৎপত্তি অজানা। কারণ, নাম উৎপত্তি সম্পর্কে একটি বিতর্ক আছে। কেউ কেউ বলেন, দিনাজপুরে রাজকীয় পরিবারের পদবি রাই থেকে এই নামটি এসেছে। ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য আরও একটি ধারণা হল এই রাই সোরশের (বিশেষ ধরনের সরিষা) প্রাচুর্য থেকে এই নামটি প্রাচীনকাল থেকেই পাওয়া যায়। বেশিরভাগ লোক মনে করেন ‘রাই’ শব্দটি থেকে ‘রায়গঞ্জ’ শব্দটি এসেছে, যার অর্থ ‘রাধা’, যা মহাভারতের একটি চরিত্র। এই শহরটি প্রায় ৩৬.৫১ বর্গকিমি এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। কিন্তু বর্তমান শহরে ক্রমবর্ধমান প্রবণতা ও নগর এলাকার আশপাশের এলাকায় নগরের সম্প্রসারণ দ্রুত গতিতে ঘটে চলেছে। মহানগর এলাকাও এই প্রবণতার সম্মুখীন হচ্ছে। এখন বীরঘাই, মরিকুরা, রূপহার, বাহিন, কর্নজোড়া, মহারাজা হাটের আওতায় বিস্তৃত এলাকাগুলিতেও রায়গঞ্জ শহরের মতো জনসংখ্যা বাড়ছে। রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র উত্তর দিনাজপুর জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। এই কেন্দ্রটি রায়গঞ্জ পgরসভা, বাহিন, মারাইকুপ, গৌরি, কমলাবাটি-১ ও কমলাবাটি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি রায়গঞ্জ সিডি ব্লকের অন্তর্গত।আর রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রটি রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত।২০১১ সালের নির্বাচনে কংগ্রেসের মোহিত সেনগুপ্ত তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সমাজবাদী পার্টির কিরণময় নন্দকে পরাজিত করেছিলেন। ২০০৬ সালের নির্বাচনে কংগ্রেসের চিত্তরঞ্জন রায় তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের দিলীপকুমার দাসকে পরাজিত করেছিলেন। ২০০১ ও ২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের চিত্তরঞ্জন রায় ৩৫ নম্বর রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেছিলেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এনসিপি'র দিলীপকুমার দাসকে ও সিপিআইএমের হরিনারায়ণ রায়কে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৯৬ সালে কংগ্রেসের দিলীপকুমার দাস সিপিআইএমের খগেন্দ্রনাথ সিনহাকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৯১ সালে সিপিআইএমের খগেন্দ্রনাথ সিনহা কংগ্রেসের দিলীপ দাস ও ১৯৮৭ সালে কংগ্রেসের দীপেন্দ্র বর্মনকে এই আসনে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৮২ সালে কংগ্রেসের দীপেন্দ্র বর্মন সিপিআইএমের খগেন্দ্রনাথ সিনহাকে হারিয়েছিলেন। ১৯৭৭ সালে সিপিআইএমের খগেন্দ্রনাথ সিনহা জনতা পার্টির মহেন্দ্রনাথ বর্মনকে এই আসনে পরাজিত করেছিলেন।