এই কেন্দ্রে এবারের তৃণমূলের তরফে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সুব্রত সাহা। এই আসনে বিজেপির তরফে দাঁড়াচ্ছেন মাফুজা খাতুন। অন্য দিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন কংগ্রেসের শেখ হাসনুজ্জমান(বাপ্পা)।মুর্শিদাবাদ জেলা হল মালদহ বিভাগের একটি জেলা। এই জেলার মধ্য দিয়ে ভাগীরথী নদী বয়ে গিয়ে জেলাকে দু’ভাগে ভাগ করেছে। নদীর পশ্চিমের অংশ রাঢ় অঞ্চল ও পূর্বের অংশ বাগড়ি অঞ্চল নামে পরিচিত। মুর্শিদাবাদ ভারতের নবম (ভারতের ৬৪১টি জেলার মধ্যে) জনবহুল জেলা। এই জেলার সদর দফতর বহরমপুর শহরে অবস্থিত। মুর্শিদাবাদ নবাবী আমলে বাংলার রাজধানী ছিল। বাংলার নবাব মুর্শিদকুলি খাঁয়ের নাম অনুসারে মুর্শিদাবাদ শহর এবং জেলার নামকরণ হয়েছে।সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্র মুর্শিদাবাদ জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। এই কেন্দ্রটির আসন বর্তমানে খোলা কিন্তু আগে এটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত ছিল। এই কেন্দ্রটি সাগরদিঘি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের অন্তর্গত। সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রটি জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত।২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুব্রত সাহা জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৪৪ হাজার ৮১৭৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী আমিনুল ইসলাম। তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ছিল ৩৯ হাজার ৬০৩৷ তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুব্রত সাহা তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস প্রার্থী আমিনুল ইসলামকে ৫ হাজার ২১৪ ভোটে পরাজিত করেন।২০১১ সালের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের সুব্রত সাহা তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআইএমের ইসমাইল শেখকে পরাজিত করেন। তবে এই নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী আমিনুল ইসলাম তাঁকে কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করানোয় তার বিরোধিতা করেন। সেজন্য কংগ্রেস আমিনুলকে দল থেকে বহিষ্কার করলেও বহরমপুরের সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী তাঁকে সমর্থন জানান। ২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআইএমের পরীক্ষিত লেত সাগরদিঘি (তফসিলি জাতি) কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের রাজেশকুমার ভক্তকে পরাজিত করেন তিনি। ২০০১ সালে সিপিআইএমের পরেশনাথ দাস তৃণমূল কংগ্রেসের রাজেশকুমার ভক্ত ছাড়াও ১৯৯৬, ১৯৯১ ও ১৯৮৭ সালে কংগ্রেসের নৃসিংহকুমার মণ্ডলকে পরাজিত করেন।১৯৮২ সালে সিপিআইএমের হাজারী বিশ্বাস কংগ্রেসের নৃসিংহকুমার মণ্ডল ও ১৯৭৭ সালে কংগ্রেসের অতুলচন্দ্র সরকারকে এই আসনে পরাজিত করেন। ১৯৭২ সালে কংগ্রেসের নৃসিংহকুমার মণ্ডল এই আসনে জয়ী হন। তার আগে ১৯৭১ সালে কংগ্রেসের অতুলচন্দ্র সরকার জয়ী হন। ১৯৬৯ সালে বাংলা কংগ্রেসের কুবেরচন্দ হালদার ছাড়াও ১৯৬৭ ও ১৯৬২ সালে কংগ্রেসের অম্বিকাচরণ দাস এই আসনে জিতেছিলেন। ১৯৫৭ সালে সাগরদিঘি আসনটি ছিল না। ১৯৫৭ সালে জঙ্গিপুর একটি যৌথ আসন ছিল। কংগ্রেসের শ্যামাপদ ভট্টাচার্য ও কুবেরচন্দ হালদার উভয়ই এই যৌথ আসনে জয়লাভ করেছিলেন। ১৯৫১ সালে দেশের প্রথম নির্বাচনে সাগরদিঘি একটি যৌথ আসন ছিল। কংগ্রেসের শ্যামাপদ ভট্টাচার্য ও কুবেরচন্দ হালদার উভয়ই এই যৌথ আসনে জিতেছিলেন।