জঙ্গলমহলের এই আসনে তৃণমূল প্রার্থী শ্রীকান্ত মাহাতো ৫০ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির রাজীব কুণ্ডু পেয়েছেন ৩৭.৪৭ শতাংশ ভোট।জঙ্গলমহলের এই কেন্দ্রে এবারে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শ্রীকান্ত মাহাতো।বিজেপির তরফ থেকে দাঁড়াচ্ছেন রাজীব কুণ্ডু। অন্যদিকে, অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন সিপিআইএমের সুশান্ত ঘোষ।রাজ্যের মানচিত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর। ২০০২ সালের ১ জানুয়ারি অবিভক্ত মেদিনীপুর থেকে এই জেলা তৈরি হয়। এই জেলায় তিনটি মহকুমা রয়েছে খড়্গপুর, মেদিনীপুর সদর ও ঘাটাল। শালবনি এই জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। ২৭ মার্চ প্রথম দফায় ভোট হয়েছে।২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী শ্রীকান্ত মাহাতো৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১২০,৪৮৫৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিআইএম প্রার্থী শ্যামসুন্দর পান্ডে৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৬৭,৫৮৩৷ ৫২,৯০২ ভোটে জয়ী হয়েছিলেন শ্রীকান্ত। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন খগেন্দ্রনাথ মাহাতো। তিনি ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৬ সালের নির্বাচনে জিতে বের বিধায়ক হয়েছিলেন। তার আগে, এই আসনে সিপিআইএমের বিধায়ক ছিলেন প্রয়াত সুন্দর হাজরা। ১৯৭৭, ১৯৮২, ১৯৮৭ ও ১৯৯১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে জিতে চারবার বিধায়ক হয়েছিলেন সুন্দরবাবু। শালবনি জঙ্গলবেষ্টিত একটি অঞ্চল। আর এই জঙ্গলমহল মাওবাদী উপদ্রুত অঞ্চল বলেই কুখ্যাত। শালবনি ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে মাওবাদীদের যথেষ্ট প্রভাব ছিল। ১৯৭২ সালে সিপিআইয়ের ঠাকুর দাস মাহাতো এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৭১ সালে সিপিআইএমের সুন্দর হাজরা জয়ী হয়েছিলেন। আবার ১৯৬৭ ও ১৯৬৯ সালে বাংলা কংগ্রেসের অমূল্যরতন মাহাতো শালবনী কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৬২ সালে কংগ্রেসের নিরঞ্জন খামরাই জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৫৭ সালে শালবনি কেন্দ্রে কোনও আসন ছিল না। দেশের প্রথম নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী বিজয়গোপাল গোস্বামী শালবনি কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন।