তৃণমূল কংগ্রেসের পূর্ণাঙ্গ প্রার্খী তালিকা প্রকাশ হতেই বোঝা যাচ্ছে দীর্ঘ অনুশীলনের মধ্যে দিয়ে এই প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। আর তাতেই অনেক সিটিং এমএলএ তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ বিধায়ক এবার টিকিট পাননি। মানুষ সে বিষয়ে জানতেও চায়। কেন তাঁরা টিকিট পেলেন না। এই পরিস্থিতিতে দুটি নাম খুব চর্চিত হচ্ছে। এক, সাতগাছিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক সোনালি গুহ। দুই, জোড়াসাঁকো বিধানসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক স্মিতা বক্সি।এই দু’জন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলয়ের ঘনিষ্ঠ বলে খ্যাত। সেখানে এই দু’জন নেত্রী কেন টিকিট পেলেন না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, সোনালি গুহ নিজে দাঁড়াতে চাননি। কারণ সোনালি গুহ খুব অসুস্থ। এই অবস্থায় নির্বাচনে যে পরিশ্রম করতে হয় তা তিনি করতে পারবেন না। ফলে দলকে তিনি জানিয়েছিলেন, একুশের নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হতে চান না। তালিকা প্রকাশের সময় এই কথাই জানান তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।কিন্তু স্মিতা বক্সির বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা। জানা গিয়েছে, এই এলাকাটি হিন্দিভাষীদের এলাকা। তাই সেই ভোট পেতে গেলে হিন্দিভাষী কাউকে দাঁড় করাতে হবে। তাই স্মিতা বক্সিকে সরিয়ে বিবেক গুপ্তাকে দাঁড় করানো হয়েছে। আরও একটি কারণ এখানে দেখা গিয়েছে। সেটা হল— লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে জোড়াসাঁকো বিধানসভা কেন্দ্রে—সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ৪৭,২৬৫ ভোট পেয়েছিলেন। অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহা ৫১,১৪৭টি ভোট পেয়েছিলেন। সুতরাং একদিকে হিন্দিভাষী মানুষের ভোট বিজেপিতে গিয়েছিল। অন্যদিকে সাংগঠনিকভাবে পিছিয়ে পড়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। স্মিতা বক্সি সেটা ধরে রাখতে পারেনি। তাই তৃণমূল কংগ্রেস আর ঝুঁকি নিতে চাইল না বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা।