রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন স্বপন দাশগুপ্ত। তাঁর ইস্তফাপত্র পেয়েছে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডুর কার্যালয়। বিষয়টির সঙ্গে অবহিত এক ব্যক্তি বলেন, ‘(বিধানসভা) ভোটে লড়াই করতে আগামী ১৯ মার্চ পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন। উনি যদি ইস্তফা না দিতেন, তাহলে রাজ্যসভার সদস্যপদ খারিজ হয়ে যেত।’এবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে তুলনামূলকভাবে 'সুরক্ষিত' তারকেশ্বর আসন লড়ছেন স্বপন। গত রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে নাম ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু সোমবার তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র অভিযোগ করেন, ভারতীয় সংবিধানের দশম তফসিল লঙ্ঘন করেছেন স্বপন। সেজন্য স্বপনের রাজ্যসভা সদস্যপদ খারিজের দাবি জানান মহুয়া। তারপর আসরে নামে কংগ্রেসও। রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে চিঠি লিখে কংগ্রেসের মুখ্য উইপ জয়রাম রমেশ বলেন, 'মনোনয়নের ছ'মাসের মধ্যে রাজ্যসভার যে মনোনীত সদস্য আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দেন না এবং কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি না হয়েই (সংসদের উচ্চকক্ষের) সদস্য আছেন, তিনি কি ইস্তফা না দিয়ে কোনও লোকসভা বা বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করতে পারেন?' তিনি আরও বলেন, 'গত কয়েকদিনে এরকম কোনও ইস্তফার কথা আপনি ঘোষণা করেননি। আমার আর কিছু বলার নেই।'উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের এপ্রিলে স্বপনকে রাজ্যসভায় মনোনীত করেছিলেন রাষ্ট্রপতি। সংবিধানের দশম তফসিল অনুযায়ী, সংবিধানের ৯৯ ধারা বা ১৮৮ ধারা মেনে শপথগ্রহণের ছ’মাসের পর কোনও মনোনীত সদস্য যদি কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দেন, তাহলে তাঁর সদস্যপদ খারিজ হয়ে যাবে। সংবিধানের ৯৯ ধারা এবং ১৮৮ ধারা আইনপ্রণেতার শপথগ্রহণের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।