ভোট তৃতীয়ায় মৃত্যু, রক্তপাত, এবং শেষে বিক্ষিপ্ত অশান্তি। তৃতীয় দফার ভোটেও চেনা ছবির সাক্ষী থাকল বাংলা। তবে ভোট শুরু হওয়ার পর থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর ‘অতিসক্রিয়তার’ অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। তৃতীয় দফায় ৩১ আসনের কোথাও বিক্ষোভ, বোমাবাজি, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটলেও হিংসার জেরে প্রাণহানি হয়নি। এখনও পাঁচ দফার নির্বাচন বাকি বঙ্গে। কিন্তু এতকিছুর পরেও কি বলছে নির্বাচন কমিশনের দফতর? কয়েকটি জায়গা বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। তৃতীয় দফার নির্বাচন শেষে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে এই কথাই জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আরিজ আফতাব। তিনি জানান, তৃতীয় দফায় নির্বাচনে মোট ২০৫ জন প্রার্থী ছিলেন। তাদের মধ্যে ১৩ জন মহিলা। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত মোট ভোট হয়েছে ৭৭.৬৮ শতাংশ। উলুবেড়িয়ায় ভিভিপ্যাড এবং ইভিএম পাওয়া যায়। এই ঘটনায় চারজনকে সাসপেন্ড ও তিনজনকে হোমগার্ডের ডিউটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠছে, তাহলে এই ইভিএম–ভিভিপ্যাট কিসের জন্য? মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব বলেন, ‘ওই ইভিএম ভোটের কাজে ব্যবহার করা হয়নি। এছাড়াও খানাকুল ২২২ ও ২২৫ বুথে এলাকার ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরামবাগ থেকে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবং উলুবেড়িয়ায় দক্ষিণ কাণ্ডে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মোট গ্রেফতার হয়েছে ১১ জন।’ অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনী শ্লীলতাহানি কাণ্ডে একজনের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। এদিন আরিজ আফতাব বলেন, ‘সব কিছুই কেন্দ্রীয় বাহিনীর কন্ট্রোলে থাকে না। সব ঘটনাতেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গোঘাটে তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতির মৃত্যুর ঘটনায় মৃতদেহ আঘাতের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না।’ কলকাতায় আটজন রিটানিং অফিসার বদলির বিষয় কমিশন জানিয়েছে, তিন বছর একটানা থাকার জন্য এই বদলি। আর আজ প্রার্থীদের উপর যে ধরনের আক্রমণ হয়েছে তা উদ্বেগের বিষয়।