শেষ মুহূর্তে চার কেন্দ্রে প্রার্থী বদল করল তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের মধ্যে দু'জন বিদায়ী বিধায়ককে সরিয়ে দেওয়া হল। আবার টিকিট দেওয়া হল এক বিদায়ী বিধায়ককে। তৃণমূল সূত্রে খবর, প্রার্থী ঘিরে অসন্তোষের জেরেই প্রার্থী রদবদল করা হয়েছে। তবে সরকারিভাবে তৃণমূলের তরফে প্রার্থী রদবদলের কারণ জানানো হয়নি। স্রেফ নয়া প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।গত ৫ মার্চ তৃণমূলের তরফে যে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল, তাতে আমডাঙা থেকে টিকিট পেয়েছিলেন মুস্তাক মোর্তাজা। কিন্তু প্রার্থী নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছিল। ভূমিপুত্রকে প্রার্থী করার দাবি জানিয়ে সন্তোষপুর মোড়ের কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। প্রায় ঘণ্টাদুয়েক চলে বিক্ষোভ। তারপরও ক্ষোভ কমেনি। তারইমধ্যে শুক্রবার সেই কেন্দ্রের বিদায়ী বিধায়ক রফিকুল রেহমানকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার আরও এক আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করেছে তৃণমূল। অশোকনগরে বিদায়ী বিধায়ককে ধীমান রায়ের পরিবর্তে নারায়ণ গোস্বামীকে প্রার্থী করা হয়েছে। নদিয়ার কল্যাণী আসনেও বিদায়ী বিধায়ক রমেন্দ্রনাথ বিশ্বাসকে টিকিট দিয়েছিল তৃণমূল। তাঁকে সরিয়ে অনিরুদ্ধ বিশ্বাসকে প্রার্থী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে, বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের গড়ের বিধানসভা কেন্দ্র দুবরাজপুরে অসীমা ধীবরের পরিবর্তে দেবব্রত সাহাকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। খয়রাশোল পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভানেত্রীকে একেবারেই না পসন্দ ছিল তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের। দলীয় কর্মীদের মধ্যেও বিস্তর ক্ষোভ ছিল। সেই পরিস্থিতিতে প্রার্থী নিয়ে আসতে নামতে বাধ্য হন অনুব্রত। সূত্রের খবর, ঘনিষ্ঠ মহলে নাকি ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদধন্য কেষ্ট। দলের শীর্ষ মহলেও বার্তা পাঠিয়েছিলেন। যদিও সেই কথা মানতে চাননি অনুব্রত। তবে শেষপর্যন্ত অসীমাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।