ঝাড়গ্রামে মৃত্যু হল এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপির মারধরের জেরেই মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারির দাবিতে মধ্যরাতের পর ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া ৫ নম্বর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রবিবার দুপুরে আগুইবনি গ্রাম পঞ্চায়েতের নেতুরায় গিয়েছিলেন দুর্গা সোরেন এবং তাঁর স্ত্রী। অভিযোগ, সেই সময় তাঁদের গালিগালাজ করেন কয়েকজন বিজেপি কর্মী-সমর্থক। তারপর থেকেই দুর্গার খোঁজ মিলছিল না। কিছুক্ষণ পর অচৈতন্য অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়। পরে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতলে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক দুর্গাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। যদিও কীভাবে মৃত্যু হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে প্রথম দফা ভোটের আগে সেই মৃত্যু নিয়ে ঝাড়গ্রামে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, দুর্গাকে বিজেপির লোকজন খুন করেছেন। ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারির দাবিতে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। মৃত তৃণমূলকর্মীর স্ত্রী'র পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। ছিলেন ঝাড়গ্রামের তৃণমূলের প্রার্থী বীরবাহা হাঁসদাও। দেবাংশুর বক্তব্য, গালিগালাজের প্রতিবাদ করেই মৃত্যু হয়েছে দুর্গার। বাংলায় উত্তরপ্রদেশের সংস্কৃতি নিয়ে আসার চেষ্টা করছে বিজেপি। সোমবার থেকে জঙ্গলমহলজুড়ে প্রতিবাদ শুরু হবে। সেই অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির পালটা দাবি, সন্ধ্যায় নেতুরা বাসস্ট্যান্ডে দলের পঞ্চায়েত সদস্য মানিক সাউয়ের ভাই তারককে মারধর করা করা হয়। তাঁর দুটি হাত ভেঙে গিয়েছে। ঝাড়গ্রামের বিজেপি জেলা সভাপতি তুফান মাহাতো জানান, ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।