আকাশটা আজ মেঘলা। হালকা হাওয়াও দিচ্ছে। এই আবহাওয়ায় দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুরে হাজির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তারপরেই বাড়ি বাড়ি যেতে শুরু করেছেন তিনি। নেহাতই জনসংযোগ। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন বিজেপির তারকা প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ। ভোট প্রচারে আজ তাঁরা খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড়ে। এছাড়া দিনভর একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। কিন্তু কি তাঁর বার্তা? মানুষের কাছে গিয়ে তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘এই শহর সিটি অব জয় হয়ে থাকবে। কলকাতা সিটি অব ফিউটার হবে।’ তারপরই ভবানীপুরের বেলতলা বস্তির রাস্তায় হাঁটা লাগান তিনি। স্লোগান উঠতে থাকে ‘জয় শ্রী রাম’। ভিড়ে রাস্তায় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। যানজটের সৃষ্টি হয়। এরপর ৭০ নম্বর ওয়ার্ড হয়ে ১৫–এ জাস্টিস চন্দ্রমাধব লেনে দলের প্রবীণ সদস্য সমরেন্দ্রপ্রসাদ বিশ্বাস ওরফে জুপ্পি দার বাড়ি যান তিনি। সেখানেই মধ্যহ্নভোজ সারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কী ছিল মেনুতে? জানা গিয়েছে, এদিন শাহি মেনুতে রাখা হয়েছিল— লুচি, রুটি ও ভাত। সঙ্গে বেগুন ভাজা, কুমড়ো ভাজা, ঢ্যারস ও পটলের সবজি, ধোকার ডালনা, ছানার ডালনা, আমের চাটনি, সন্দেশ, রসগোল্লা, মিষ্টি দই। তবে ওয়েলকাম ড্রিংক ছিল তরমুজের রস ও আমপান্না। এদিনের জনসংযোগে ছোট থেকে বড় সকলের মধ্যেই উৎসাহ দেখা গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাসতালুকে এসে অমিত শাহ জানান, রুদ্রনীল অত্যন্ত জ্ঞানী প্রার্থী। তিনি ভবানীপুরে জিতবেন বেশ বড় মার্জিনে। এখান থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে লিফলেট বিলি করলেন শাহ। ঘরের লোক হয়ে ওঠার চেষ্টায় কোনও খামতি নেই শাহি প্রচারে। রাস্তা জুড়ে নামে মানুষের ঢল। অনেকেই বাড়ির দোতলা–তিনতলা থেকে হাত নাড়েন শাহের দিকে। রাস্তায় চলতে চলতেই অনেকের হাতে প্রাচরপত্র দিতে দেখা যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। যা চতুর্য় দফার নির্বাচনের আগে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। জানা গিয়েছে, বিজেপির প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই দলের সঙ্গে রয়েছেন সমরেন্দ্রপ্রসাদ বিশ্বাস। এখন তাঁর বয়স ৮৯। আজও বিজেপির একনিষ্ঠ কর্মী তিনি। আগে জলপাইগুড়িতে থাকাকালীন বিজেপির একাধিক তাবড় তাবড় নেতা তার সঙ্গে দেখা করেছেন। কিন্তু কর্মসূত্রে সমরেন্দ্রবাবুর ছেলে কলকাতার বাসিন্দা। তাই তিনিও থাকেন এই শহরেই। আর এখানেই এসে দেখা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ভোটের বিষয়ে তাঁদের মধ্যে কিছুক্ষণ আলোচনা হয়। আসলে দক্ষিণ কলকাতায় সংগঠন কতটা মজবুত হয়েছে তা বুঝে নিতে চান তিনি।