টার্গেট করা হয়েছিল তাঁকেও। তবে তাঁরই অফিসের সামনে খুন হন তাঁর বাবা। সেই হত্যাকাণ্ডের পর একমাসের বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে। এসেছে মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোট। আর আজ ভোট দিতে গিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়লেন জিশান সিদ্দিকি। বাবা সিদ্দিকির ছেলে আজ জানান, এই প্রথম তিনি একা ভোট দিতে এসেছেন। তবে যেই পরিস্থিতিই হোক, সবার নিজের গণান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করা উচিত বলে মত প্রকাশ করেন জিশান। (আরও পড়ুন: বাংলার সরকারি কর্মীদের♊ জন্য জারি গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞপ্তি, অনেকেই পাবেন ২৫৩৫৯ টাকা)
আরও পড়ুন: ভোট লগ্নে ম𒆙হারাষ্ট্র তপ্ত বিটকয়েন কেলেঙ্কারির অভিযো꧋গ নিয়ে, কী বলছেন সুপ্রিয়া?
ভোট দিতে আসা জিশান সিদ্দিকি আজ বলেন, ‘প্রথমবার আমি একা ভোট দিতে এসেছি। আমার বাবা (বাবা সিদ্দিকি) আর নেই। তবে আমি জানি আমার বাবা আমার সাথে আছেন। এই আবহে আমি এখানে এসে ভোট দিয়েছি। সকালে কবরস্থানে গিয়ে নিজর দিন শুরু করেছি... আমার মনে হয় সবার ভোট দেওয়া উচিত।’ উল্লেখ্য, এই নির্বাচনে অজিত পাওয়ারের এনসিপির টিকিটে লড়ছেন জিশান। বান্দ্রা ইস্ট কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি। তাঁর মূল প্রতিপক্ষ উদ্ধবের দলের বরুণ সরদেসাই। (আরও পড়ুন: কসবা কাণ্ডের তদন্তে নয়া মোড়, সুশান্ত 'খুনের ছক' কষেছিল জে🐈ল ফেরত এক খুনের আসামি!)
আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে নয়া সূত্রের 🍨খোঁজে CBI, তলব এক পুলিশ অফিসꦗারকে, তদন্ত এবার কোন পথে?
গত ১২ অক্টোবর ছেলে জিশানের অফিসের বাইরে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন করা হয় বাবা সিদ্দিকিকে। তিনজন আততায়ী এসে বাবা সিদ্দিকির ওপর হামলা চালিয়েছিল। সেই হামলার ঘটনায় লরেন্স বিশ্নোই গ্যাংয়ের নাম উঠে আসে। তদন্তকারীদের দাবি, হামলার নেপথ্যে ছিলেন লরেন্সের ভাই অনমোল। জানা যায়, এর আগে ১০ বার চেষ্টা করা হয়েছিল বাবা সিদ্দিকিকে খুন করার। ১১তম চেষ্টায় খুন করা হয়েছিল বিধায়ককে। এরপর থেকে সলমন খানের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। এই আবহে এবার যোগী আদিত্যনাথের নামে হুমকি বার্তা দেওয়ার নেপথ্যে কে আছে, তা খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ওদিকে সিদ্দিকি খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতারির সংখ্যা ২০-র গণ্ডি ছাড়িয়েছে। (আরও পড়ুন: এ যে🙈ন মাকড়সার জাল! ট্যাব কাণ্ডে উঠে আসছেꦉ একের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য)
পুলিশ জানিয়েছে, গৌতম, গুরনেল সিং এবং ধ্রামরাজ কাশ্যপ ১২ অক্টোবর মুম্বইয়ে তাঁর ছেলে জিশান সিদ্দিকির অফিসের বাইরে বাবা সিদ্দিকিকে গুলি করে। হামলার পরপরই সিং ও কাশ্যপকে গ্রেপ্তার করা হলেও গৌতম গ্রেফতারি এড়িয়ে পালিয়ে পালিয়ে ছিলেন দীর্ঘদিন। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এসটিএফ ও মুম্বই পুলিশের যৌথ অভিযানে বাহরাইচের নানপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে। জেরায় অভিযুক্তরা জানিয়েছে, এনসিপি নেতার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে কয়েকদিন ধরে মুম্বইয়ে ছিল তারা। লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা স্বীকার করে শিব কুমার জানিয়েছে, জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরে🥀ন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল বিষ্ণোইয়ের নির্দেশেই এই খুনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।