দলতি বিরোধী মন্তব্যের জেরে দেশের পাঁচ রাজ্যে এফআইআর দায়ের হয়েছিল ‘তারক মেহতা কা উলটা চশমা’ খ্যাত অভিনেত্রী মুনমুন দত্তর বিরুদ্ধে। এই বিতর্কে বড়সড় স্বস্তি পেলেন অভিনেত্রী। শুক্রবার সুপ্রি💎ম কোর্ট অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআরে স্থগিতাদেশ দিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিয়োয় দলিত সম্প্রদায়ের মানুষকে অপমান করার জেরে গত মাসেই অভিনেত্রীকে গ্রেফতারির দাবি উঠেছিল টুইটা💟রে।
এফআইআরের উপর স্থগিতাদেশ দিলেও পর্দার ববিতাজিকে সুপ্রিম কোর্টের চরম ভর্ত্সনার মুখে পড়তে হয়েছে। যে কোনও পরিস্থিতিতেই এই ধরণের জাতীবাদী মন্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়, কারুর অধিকার নেই কোনও নির্দিষ্ট জাতি বা 🍃সম্প্রদায়ের মানুষের বিরুদ্ধে কোনও অবমাননাকর মন্তব্য করবার। পাশাপাশি নিজের আবেদনের কপিতে ‘মহিলা’ শব্দের উল্লেখ করাতেও বিচারপতিদের কাছে ভর্ত্সনা শুনতে হল মুনমুন দত্তকে। এদিন বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত এবং বিচারপতি ভি রামাসুব্রহ্মণ্যমের এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়।
মুনমুন দত্তর কৌঁসুলি, পুনিত বালির উদ্দেশে আদালত প্রশ্ন করে, ‘আপনি বলছেন যে আপনি (আবেদনকারী মুনমুন দত্ত) মহিলা, একজন মহিলার কি পুরꦗুষের চেয়ে পৃথক কোনও অধিকার আছে, দুজনের কি সমানাধিকার নেই?’
পুন🐻িত বালি আদালতকে জানান, অভিনেত্রী ভুল করে ফেলেছেন এবং সেই ভুলের জন্য তিনি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। নিজের ভুল বুঝতে পারবার সঙ্গে সঙ্গে, ওই ভিডিয়ো পোস্টের দু-ঘন্টার মধ্যেই মুছে ফেলেছিলেন মুনমুন দত্ত। তিনি আরও জানান, এর আগেও সুপ্রিম কোর্ট একই ঘটনা নিয়ে দায়ের একাধিক এফআইআরকে একত্রিত করে এক জায়গায় শুনানির সুযোগ দিয়েছেন। মুনমুন দত্ত সর্বোচ্চ আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছে, যাতে তাঁর বিরুদ্ধে পাঁচটি ভিন রাজ্যে দায়ের এফআইআর মুম্বইয়ে স্থানান্তরিত করা যায়।
এই আবেদনের ভিত্তিতে শীর্ষ আদালত, মুনমুন দত্তর বিরুদ্ধে রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ, গুজরাত এবং মধ্য প্রদেশে দায়ের ফৌজদারী মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে। পাশাপাশি দলিতদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সমাজকর্মী রজত কালসানের উদ্দেশে একটি নোটিশ জারি করেছে। হরিয়ানার হিসারের হানসি পুলিশ থানায় মুনমুন দত্তর বিরুদ্ধে দলিত বিরোধী ꧑মন্তব্যের মামলায় প্রথম এফআইআর দায়ের করেছিলেন রজত কালসান। গত ১৩ই মে ওই এফআইআর দাখিল হয়। এফআইআর খারিজ করে দেওয়ার মুনমুন দত্তের আবেদনের 🌊আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে হবে রজত কালসানকে।
৯ মে ইউটিউবে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন মুনমুন। সেখানে অভিনেত্রী বলেন, 'আমি এবার ইউটিউবে আসতে চলেছি তাই আমি নিজেকে ভালো দেখাতে চাই, আমি এক্কেবারেই নিজেকে ভঙ্গি-র (Bhangi) মতো দেখতে লাগুক তা চাই না'। ‘ভঙ্গি’ শব্দ ঘিরেই যাবতীয় বিতর্ক। দলিত সম্প্রদায়ের মানুষদের জন্য এই শব্দটি শুধু অবমাননাকর তা নয়, সুপ্রিম কোর্টের বিধান অনুযায়ী এটি শাস্তিযোগ্য অপ🎃রাধ।
মুনমুন নিজের সাফাইতে জানিয়েছিলেন, 'ভাষাগত প্রতিবন্ধকতার জেরে ওই শব্দটির প্রকৃত অর্থ সম্✅পর্কে আমি অবগত ছিলাম না। আমি যখনই সেটির অর্থ জানতে পারি, ওই অংশটি আমি ভিডিয়ো থেকে সরিয়ে দিই। প্রত্যেক জাতি,বর্ণ, লিঙ্গের মানুষের প্রতি আমার সমান শ্রদ্ধা রয়েছে, তাঁরা সকলে মিলে আমাদের স💞মাজ ও দেশকে গড়ে তুলছে’।