দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর পর আবারও কলেজে পা রাখলেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। ৫৪৪ দিন পর কলেজে গেলেন তিনি। করোনার কারণে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর অবশেষে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সব কলেজ খুলল। স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে একটু আলাদা রকমের আমেজ ছিল। কলেজে এতদিন পর প্রবেশ করার অনুভূতি সম্পর্কে অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘি বলেন, কলেজে গিয়ে একদম অন্য রকম অনুভূতি হল। মনে হল, কলেজের আজ প্রথম দিন। সে এক অন্য রকম অনুভূতি। মনে হল আমরা সেই আগের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছি। মনে হচ্ছে, নিঃশ্বাস নিচ্ছি পরিশুদ্ধ বাতাস থেকে। এই অনুভূতির বর্ণনা নেই তাঁর কাছে বলেই জানিয়েছেন। কলেজ খুলে দেওয়ার ঘোষণার পর থেকে বন্ধুরা দীঘির সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। সবার আবদার, তাঁকে কলেজে আসতেই হবে। দীঘি বলেন, ‘বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হবে, আবার সেই আড্ডা- এসব ভেবে এত দিন আনন্দ বোধ করছিলাম। আজ সেই আনন্দের দিনটা অবশেষে এল এবং অদ্ভুত রোমাঞ্চ নিয়ে ঘুম ভাঙল। দিনের শুরুটাই চমৎকার হল’।২০১৯ সালে এসএসসি পাস করে ঢাকার ধানমণ্ডির ৯/এ-তে অবস্থিত স্ট্যামফোর্ড কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ ভর্তি হন প্রার্থনা দীঘি। মাঝে পড়াশোনার জন্য অভিনয় থেকে দূরে থাকলেও এখন নিয়মিত অভিনয় করছেন। এরই মধ্যে ‘তুমি আছো তুমি নেই’ ও ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়াভাই’ নামে তাঁর দুটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। পড়াশোনার ফাঁকে শুটিংয়ে অংশ নেবেন। দুটোই তিনি মনোযোগ দিয়েই করে যেতে চান বলে জানিয়েছেন।