বাংলার সংস্কৃতিতে এখনও ভীষণ প্রসঙ্গিক। নাটক ও অভিনয় দুনিয়ায় বিনোদিনীকে নিয়ে আলোচনা, গবেষণা নতুন নয়। তবে বিনোদিনীর প্রতি বাংলার শ্রদ্ধা থাকলেও কোথাও একটা থেকে গিয়েছে অবহেলার ছাপ। যা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন অভিনেত্রী তথা 'মঞ্চের বিনোদিনী' সুদীপ্তা চক্রবর্তী।
ঠিক কী ঘটেছে?
উত্তর কলকাতার হাতিবাগান সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে নটী বিনোদিনী নামের ফলক। যদিও এই মুহূর্ত সেই ফলকটি ভীষণভাবেই অবহেলিত এবং বিবর্ণ হয়ে পড়ে রয়েছে। আর তা নিজের ফেসবুকে দেওয়ালে তুলে ধরেছেন অভিনেত্রী ♛সুদীপ্তা চক্রবর্তী। সুদীপ্তা জানিয়েছেন, ছবিটি তাঁকে WhatsApp এ তাঁর শিক্🅷ষিকা পাঠিয়েছেন। অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘বিধান সরণিতে হাতিবাগানে KMC অফিসের উল্টো দিকে স্টার থিয়েটারের থেকে কয়েক মিটার দুরে বড় অনাদরে পড়ে আছে নটি বিনোদিনীর নামে এই ফলক।’ সুদীপ্তার তাই প্রশ্ন ‘Does she deserve this ? আমরা কি সত্যিই আত্মবিস্মৃত জাতি নই?’
সুদীপ্তা পোস্টে নিচে নেটনাগরিকদের অনেকেই নানান মন্তব্য করেছেন। কেউ লিখেছেন, ‘এ তো গেল এনার ফলক। তাও কোনমতে টিকে আছ🔯েন। আরেকটু দূরে সরে দিয়ে ঐতিহ্যময় থিয়েটার হল গুলোকে ভেঙে গুঁড়িয়ে জামা কাপড়ের দোকান আর উঁচু ফ্ল্যাট বাড়ি বানিয়েছি আমরা। নাটক ফাটক দিয়ে কি হবে।’ কারোর প্রশ্ন, ‘সেকি মাটিতে কেন !! ফলক তো মাটির অনেকটা উঁচুতে থাকে। এটাতো মাইলফলক এর মতো !’ কারোর মন্তব্য, ‘ছি ছি একী অবস্থা’। কেউ আবার বলেছেন, ‘লজ্জার বিষয়…’।
প্রসঙ্গত এই মুহূর্তে বাংলাতে নটী বিনোদিনীকে নিয়ে তিনটি ছবি একটি নাটক তৈরি হচ্ছে। যারমধ্যে পরিচালক অবন্তী চক্রবর্তীর নাটকে নটী বিনোদিনীর ভূমিকায়🉐 রয়েছেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী। ইতিমধ্যেই 'বিনোদিনী অপেরা' দর্শকদের প্রশংসা পাচ্ছে। পরিচালক অবন্তী চক্রবর্তীক কথায়, ‘নটী মারা যাওয়ার ৫০🎉০ বছর পরও যদি বাংলা থিয়েটার থাকে, তাহলে তখনও তিনি সমান প্রাসঙ্গিক থাকবেন। শুধু অভিনয় দক্ষতা নয়, পিতৃতান্ত্রিক সমাজিক পরিবেশে তিনি কাজ করেছিলেন। সামাজিকভাবে ব্রাত্য হয়েও উনি মঞ্চে সফল। ১১ বছর কাজ করেছেন।’
খোদ স্টার থিয়ে🐬টারের কাছে বিনোদিনীর স্মৃতিফলকের এমন অবহেলা কি নেহাতই উদাসীনতা? প্রশ্ন থাকছেই…