'ডাকঘর' নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত। এই ওয়েব সিরিজ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় প্রথমবার নাম না করে মুখ খুলেছিলেন অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী। চুপ থাকার জন্য পরিচালক স্বামী অভিষেক সাহার উপর কিছুটা𝐆 ভালোবাসা মিশ্রিত ক্ষোভই প্রকাশ করেছিলেন তিনি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, 'ডাকঘর' ওয়েব সিরিজের সঙ্গে প্রায় তিন বছর যুক্ত থাকার পর পরিচালক অভিষেক সাহাকে এই সিরিজ থেকে একপ্রকার বাধ্য় হয়েই সরে যেতে হয়। যদিও তিনি ꦛপরে স্ব-ইচ্ছায় নিজের নাম সরিয়ে নেন। অথচ ওয়েব সিরিজের শ্যুটিংয়ের বেশিরভাগ কাজ তিনি তখন করে ফেলেছেন। সুদীপ্তার পরই অরিত্র দত্ত বণিকের হাত ধরে বিতর্কে নাম জড়ায় সিনোমাটোগ্রাফার মৃণ্ময় নন্দীর। মুখ খোলেন মৃন্ময় নন্দী নিজেও। জানান, তিনি পরিচালক অভিষেক সাহার সঙ্গেই এই ওয়েব সিরিজের কাজ শুরু করেছিলেন। তবে সরিয়ে দেওয়া হয়, এরপর তাঁর নাম তো সিনোমাটোগ্রাফার হিসাবে রাখা হয়নি, এমনকি পারিশ্রমিকও পাননি তিনি।
দীর্ঘসময় চুপ থাকার পর অবশেষে শুক্রবার ফেসবুকের পাতায় লম্বা পোস্টে মুখ খোলেন পরিচালক অভিষেক সাহা। সকলকে নমস্কার জানিয়ে কথা শুরু ক꧃রেন পরিচালক। লেখেন, 'বন্ধু, শুভাকাঙ্খী ও মিডিয়ার সাংবাদিক দের অনুরোধে প্রথম এবং শেষ বারের জন্য কয়েকটা কথা..'ꦺডাকঘর' নিয়ে। আমার নামে অভিযোগ -- আমি চুপ কেন?
আমাকে যাঁরা চেনেন, তাঁরা জানেন, আমি কথা কমই বলি, বিশ্বাস করি আমার কাজই কথা বলবে। লেখালিখির ব্যাপারেও অনীহা আছে। তবে জীবন দেখেছি অনেক। তাই আমার কাজ দিয়ে সহজ ♎সরল জীবনের কথাই বলি বারবার। আমার যে কোনো কাজে দর্শক তার পরিচয় পেয়েছেন বা আজও পাচ্ছেন। ঝগড়াঝাঁটি, কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি 💎অপছন্দ করি। অত্যন্ত দুঃখজনক এবং অপমানজনক এই ঘটনা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে move on করতে চেয়েছিলাম, তাই চুপ ছিলাম। আজকের পর আবার চুপ ই থাকতে চাই।'
তাঁর বিরুদ্ধে অনেকে বলেছিলেন তিনি লুকিয়ে পড়েছেন, সেপ্রসঙ্গে অভিষেক সাহা বলেন, ‘অভিযোগ - আমি ল♈ুকিয়ে পড়েছি। না, দু তিনদিন🍌 কলকাতার বাইরে ছিলাম। ফোনে network
বা ইন্টারনেট ভালো ছিলো না। আপাতত শহরেই আছি, নিজের বাড়িতেই আছি। Social media য় নিয়মিত নই। যাঁরা আমার social media follow করেন, তাঁরা জানেন। অনর্গল অনেক কথা বলতে না চাওয়ার মানে🍬 লুকিয়ে পড়া নয়।অভিযোগ - ১৪ দিন শুটিং এর সুযোগ পেয়েও আমি গল্প দাঁড় করাতে পারিনি।’
কী কঠিন পরিস্থিতিতে তিনি শ্যুট করেছিলেন, সেপ্রসঙ্গ তুলে ধরেন তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা একাধিক অভিযোগ নিয়েও জবাব দেন। লেখেন, 'বেশ কয়েক বছর ধরেই আমাদের, মানে,💜 বাংলার পরিচালক / প্রযোজক দের এই যুদ্ধ করে যেতে হচ্ছে। এত কম সময়ে এত কম বাজেটে এত প্রতিবন্ধকতা নিয়ে কাজ করতে হয় যে নিজেদের অসহায় লাগে খুব। যেহেতু এর থেকে বেরোনোর কোনো উপায় আপাতত নেই, তাই প্রযোজক/পরিচালকরা আজকাল এমন বিষয় বা গল্প বাছেন, যাতে খুব কম সময়ে অনেক কম্প্রোমাইজ করেও মোটামুটি গল্প টা দাঁড় করিয়ে দেওয়া যায়। 'ডাকঘর' তেমন গল্প ছিলো না। পদ্মনাভ এত ভালো script টা লিখেছিলেন, এত সুন্দর সব মুহূর্ত ছিলো সেই স্ক্রিপ্টে, যার প্রতি justice করে ১৬০ মিনিটে গল্পটা বলতে গেলে ১৪ দিনের কিছু বেশি সময় চাই আমার, শুরুতেই বারবার আর্জি জানিয়েছিলাম চ্যানেলের কাছে। তাঁরা রাজি হননি, বাজেটের কারণেই নিশ্চয়। প্ল্যান করেছিলাম, আমরা তাহলে দুটো ক্যামেরায় shoot করি, একটা বড়, একটা ছোট, কম সময়ে বেশি কাজ যাতে তুলতে পারি। সেইমত বাজেট ও ধরা হয়। বাজেট পাস ও হয়। কিন্তু দ্বিতীয় ক্যামেরা আমাদের ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রথম থেকেই অনেক সময় নষ্ট হয়, শিডিউল অনুযায়ী কাজ তুলতে পারছিলাম না। তখনও অনুরোধ জানিয়েছিলাম, এই shoot টা এইভাবে হবে না, expected quality দিতে পারবো না, প্রযোজকের আরও বেশি আর্থিক ক্ষতি হবার আগে হ𝄹য় এখানেই বন্ধ করা হোক এটা, অথবা কিছু shot অন্তত ছোট ক্যামেরায় নিতে দেওয়া হোক, যাতে গল্প টা ঠিক করে বলার জন্য এত কম সময়ে প্রয়োজনীয় shot গুলো নিতে পারি। দ্বিতীয় ক্যামেরা উপস্থিত থাকা সত্বেও, লোকেশন থেকে বারবার ফোনে চ্যানেলকে অনুরোধ করা সত্বেও আমাদের দ্বিতীয় ক্যামেরায় shot নিতে দেওয়া হয়নি।
ছোট ক্যামেরার ভাড়া শুধু শুধু দেওয়া হচ্ছে দেখে আমি প্রযোজক কে অনুরোধ করি ওই ক্যামেরা কলকাতায় ফেরৎ পাঠিয়ে দিতে, অকারণ খরচ কিছু টা কমানো যাবে, এই আশায়। Shoot টা বন্ধ ও করা হয়নি। হইচই কর্তৃপক্ষ ফোনে আশ্বাস দিয়েছিলেন, "করো করো, হয়ে যাবে, হয়ে যাবে, আমরা আছি।" এত কম সময়ে, এত দুর্যোগ ও produ🧜ctional issues সামলে আমাদের vision মত shoot করতে পারিনি finally, জানিয়েছিলাম তাঁদের। তবে তখন "আমরা আছি" বলা বন্ধু দের আর খুঁজে পাইনি। আমরা থেকে আমি হয়ে গেছিলাম ততদিনে।পরে অবশ্য আমার অবর্তমানে এবং অগোচরে যে extra shooting বা patch shooting হয়, তার জন্য আরো সাত দিন সময় এবং দ্বিতীয়🧸 ক্যামেরাও দেওয়া হয়েছিল শুনেছি। সেখানে আমি এবং আমার সিনেমাটোগ্রাফার মৃন্ময় নন্দী ছিলাম না। সুতরাং কোনো এক অজ্ঞাত কারণে আমরাই দ্বিতীয় ক্যামেরা ব্যবহারের যোগ্য ছিলাম না, ধরে নিচ্ছি। যদিও আমার বিশ্বাস, এক্সট্রা সময় পেলে এর চেয়ে কম দিনেই বাকি কাজ টা করে ফেলা যেত, আগে থেকে সম্মত হলে। তাতে আমার প্রযোজকের কিছুটা ব্যয় হয়ত কম হত।'
অভিষেক সাহা আরও বলেন, ' অভিযোগ - আমি shooting শেষ করে এডিটের অপেক্ষা না করেই লন্ডন চলে যাই। প্রথমত, লন্ডন আমি বেড়াতে 🍌যাইনি, professional commitment ছিলো। দ্বিতীয়ত, লন্ডন যাওয়া রাতারাতি হয়না। টিকিট, visa, contract ইত্যাদি পুরো প্রসেস টা হতে মাস দুই তিন সময় লাগে,আমার ক্ষেত্রেও লেগেছিল এবং আমাদের টিমের প্রত্যেকেই এবং চ্যানেল কর্তৃপক্ষও আগে থেকেই জানতেন আমি কবে যাচ্ছি। বাজেট fixing, শিল্পীদের কম্বিনেশন dates পাওয়া ও আরও কিছু কারণে আমাদের shooting dates বারবার পিছিয়ে যাওয়ায় দুটো ঘটনা পরপর ঘটে। এর কোনোটাতেই আমার হাত ছিলো না। তৃতীয়ত, এডিটের অপেক্ষা একদিনে শেষ হয়না, যে কোনো টেকনিক্যাল লোকই জানেন। ১৩/১৪ দিনের shoot material জড়ো করে basic timeline সেট করতেই কমপক্ষে ৮/১০ দিন লেগে যায়। এডিটের আসল কাজ তারপর শুরু হয়। আমার অত্যন্ত ভরসার, তিন বার filmfare award প্রাপ্ত এডিটর সুজয় দত্ত রায় কে সব টা বুঝিয়ে, এডিটের দায়িত্ব দিয়ে আমি London যাই আমার precommitment রাখতে এবং সকাল বিকেল ফোনে যোগাযোগে থাকি এডিটরের সঙ্গে। প্রাথমিক edit শেষ হবার আগেই আমি ফিরে আসি, ফেরার তারিখ ও আগে থেকেই ঠিক ছিল। চতুর্থত, আমি সেই মুহূর্তে লন্ডনে না পৌঁছলে অন্য একটা বাংলা ছবির শুটিং আটকে যেত। সেই ছবির পরিচালক, প্রযোজক বিপদে পড়তেন। একজন পেশাদার হিসেবে সজ্ঞানে সেটা করা সম্ভব ছিল না আমার পক্ষে। অভিযোগ - আমি পালিয়ে গেছি আমার কাজ ছেড়ে, চুপচাপ কেটে পড়েছি। না, কাজের সঙ্গেই ছিলাম। লন্ডন থেকে ফিরেই মিটিংয়ে বসি। শুটিং টা হইচই কর্তৃপক্ষের মনমতো না হওয়ায় টিমের সঙ্গেই planning করছিলাম কিভাবে সেটাকে সঠিক জায়গায় আনা যায়, তার জন্য কি কি করতে হবে, কোন কোন shot নিতে হবে, এইসব নিয়ে। সেই প্ল্যান share ও করেছিলাম চ্যানেলের সঙ্গে। pa⭕tch shoot নিয়ে আমার প্রধান অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক, সূহোত্র, দিতিপ্রিয়া র সঙ্গে কথাও হয়। সেকথা তাঁরা আজ স্বীকার করবেন কিনা জানি না। পালিয়ে যেতে চাইলে এই প্ল্যান বাস্তব করার জন্য সবার সঙ্গে নিজে যোগাযোগ করতাম কি? যাই হোক, তারপর সব চুপ।
আমি ক্রমাগত প্রযোজকের থেকে জানতে চাই কী হচ্ছে, কবে হচ্ছে। তিনি প্রতিবারই বলেন যে, চ্যানেল এখনও তাঁকে কিছু জানায় নি। বেশ কিছুদিন এইভাবে কেটে যায়। ক্রমশই প্রযোজক এবং হইচই কর্তৃপক্ষ আমার ফোন ধরা বন্ধ করে দেন। এদিকে আশপাশ থেকে খবর আসে মিটিং হচ্ছে, অথচ আমার প্রযোজক বা হইচই কর্তৃপক্ষ আমাকে কেউ কিছু জানাচ্ছেন না। আমি আবার ফোন করি, কেউ তোলে না। কিছুদিন পর খবর পাই, ডাকঘর এর patch shoot শুরু হচ্ছে , আমাকে না জানিয়েই। প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি। মৃন্ময় কে জিজ্ঞাসা করি, দেখি সেও কিছু জানে না। খবর নিয়ে জানতে পারি, সত্যিই শুটিং হচ্ছে। আমার সীমিত বুদ্ধি আর এক্সপেরিয়েন্স থেকে আন্দাজ করতে পারি কী ঘটছে। অপমানিত বোধ করি। আরও অপমানিত না হতে হয়, এই আশঙ্কায় ফোন করা বন্ধ করি। patch শুটিং শুরুর কয়েকদিন আগে প্রযোজক পথিকৃৎ সেনগুপ্ত ফোনে জানান যে shoot হচ্ছে, আমাকে ছাড়া, মৃন্ময় কে ছাড☂়া। আমি স্তব্ধ হয়ে যাই। নিজের সন্তান কে কেউ ছিনিয়ে নিয়ে চলে গেলে যেমন মনে হয়, আমার ঠিক তেমন লাগে। একদম চুপ করে যাই আমি। আত্মসম্মান বজায় রাখতে চুপ করে যাওয়া কে কি পালিয়ে যাওয়া বলে? চুপচাপ কেটে পড়া বলে? তাহলে তাই। জানিনা, আমার প্রযোজক ও হয়ত বাধ্য হয়েছিলেন এই কাজে সায় দিতে। অনেক টাকা ইনভেস🌄্ট করে ফেলেছিলেন। তাঁর এক্ষেত্রে হাত পা বাঁধা ছিল বলেই আমার ধারণা। অন্তত নিজের মনে সেটাই বিশ্বাস করতে চাই। আশা করবো মৃন্ময় নন্দীর প্রাপ্য বাকি টাকা টাও তিনি দিয়ে দেবেন।'
পরিচালক আরও লেখেন, ' অভিযোগ - চ্যানেল আমার উপর ভরসা করতে পারেননি, তাই অন্য পরিচালক কে দিয়ে বাকি শুটিং করিয়েছেননা-ই করতে পারেন। সেই অধিকার তাঁদের আছে, কারণ প্রোডাক্ট টা finally তাঁদের। তাঁদের প🅰্ল্যাটফর্ম খুবই জনপ্রিয়। আমি নগণ্য পরিচালক। লোকে বোধ হয় খুব একটা চেনেন ও না আমাকে, নাম ও জানেন না আমার। ওদের stake অনেক বেশি। আমাকে বাদ দিতেই পারেন। আমাকে সে কথা officially জানাতে পারতেন তাঁরা। আমার সঙ্গে সম্মানের সঙ্গে কথা বলে ওখানেই নিষ্পত্তি করে নিতে পারতেন ব্যাপারটা। করেননি। পারিশ্রমিকের প্রসঙ্গ আর নাই বা তুললাম। শুরুতে কিছু টাকা পেলেও, যে কাজটা নিজে হাতে শেষ করার সুযোগ পেলাম না, তার জন্য পারিশ্রমিক চেয়ে কী হবে?অভিযোগ - আমার পরিচালনায় মৃন্ময় নন্দীর shoot করা material এত খারাপ, এত জঘন্য ছিলো যা চোখে দেখা যায় না, তাই প্রযোজক কে সব ফেলে দিয়ে 'Reshoot' করতে হয়। Patch shoot ম𒆙ানে কিছু অংশ shoot, আর Reshoot মানে পুরো টা নতুন করে shoot.
'ডাকঘর' আমার দেখা হয়নি। তবে ইন্টারনেট এ trailer, গানের অংশ, দৃশ্যের অংশ, shot এর still ছবি যেটুকু যা আজ 🤡অবধি চোখে পড়েছে, তার ৭৫ থেকে ৮০% shot আমার পরিচালনায় মৃন্ময় নন্দীর ই shoot করা। তার মানে 'Reshoot' হয়নি, আমাদের নেওয়া জঘন্য সব shot রেখেই কিছু extra shot নেওয়া হয়েছিল।অভিযোগ - আমি অন্য কাজে লন্ডনে থাকার জন্যই চ্যানেলের নির্দেশে আমার অবর্তমানে পরের শুটিং টা করে নিয়েছেন প্রযোজক। আমি লন্ডন থেকে ফিরে আসি ৬ই জুন, ২০২২। তার পর একাধিক মিটিং ও এডিটিং এ সশরীরে উপস্থিত ছিলাম আমি, হঠাৎ সব কিছু চুপচাপ হয়ে যাবার আগে অবধি।পরের শুটিং টা হয়েছিলো আগস্ট মাসে, মানে আমার ফিরে আসার দু মাস পর। আর ৭ই জুন ২০২২ থেকে আজ অবধি আমি দেশেই আছি। বাকিটা আপনারা বুঝে নেবেন আশা করি। অভিযোগ -- আমি বলেছি আমার নাম দিতে চাই না। বলেছি, তবে নিজে থেকে যেচে কিছু বলিনি। আমাকে unethically সরিয়ে দিয়ে, আমাকে দিনের পর দিন অপমান করে, আমার cinematographer ও এডিটর কে বাদ দিয়ে, এডিট সুইট থেকে পুরো material তুলে নিয়ে গিয়ে, পুরো post production এর কাজ আমার অবর্তমানে সেরে ফেলে, হঠাৎ প্রযোজক একদিন আমাকে ফোন করে জিজ্ঞাসা করেন, "তোমার নাম কিভাবে দেবে ?" আমার সীমিত এবং ছোট career এ এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়নি কখনো। কী বলবো বুঝতে পারছিলাম না। তাৎক্ষণিক ঘোর কাটিয়ে বলি, "ছেড়ে দাও, আমার নাম টা দেবার দরকার নেই।" উনি সঙ্গে সঙ্গে বলেন, "তাহলে email এ একটা NOC দিয়ে দাও"। আমি দিয়ে দিই। ব্যস্, এই পর্যন্তই।'
অভিযোগ - ট্রেলার রিলিজ হতে ক✨িছু বলিনি, এখন কেন বলছি𒈔?
আমি তখনও কিছু বলিনি। এখনও কিছু বলতে চাইনি। তখনও চুপ ছিলাম, এখন🌃ও চুপ করেই থাকতে চেয়েছিলাম। এই প্রসঙ্গ থেকে অনেকদিন আগেই নিজেকে কষ্ট করে সরিয়ে এনেছিলাম।আমরা এত জঘন্য কাজ করেছি যে সব ফেলে দিতে হয়েছে, পুরোটা নতুন করে করতে হয়েছে, এসব শুনে খারাপ লেগেছে। নিজেকে কি করে আরও better করা যায়, যাতে পরের কাজ টা আরো ভালো করে করতে পারি, সেই চিন্তায় ডুবিয়ে দিয়েছিলাম নিজেকে।
series streaming হতেই এর সঙ্গে যুক্ত অনেকে জানাতে থাকেন যে, গোটা series এর বেশির ভাগ shot ই আমাদের নেওয়া। মানে, যে গল্প দেখে দর্শক আপ্লুত হচ্ছেন, তার বেশির ভাগ টাই আমার বলা গল্প, যে visual দেখে মানুষ এত প্রশংসা করছেন, তার প্রায় ৭৫%রও বেশি আমার পরিচালনায় মৃন্ময় নন্দীর ন🥂েওয়া shot থেকে তৈরি, যেগুলো চ্যানেলের ভাষায় "জঘন্য" ছিলো। Shot নেওয়ার সময় clip এর উপর শুটিং এর তারিখ এবং tc থাকে। কেউ প্রমাণ চাইলে original shot থেকে সেসব দেখে নেওয়া যেতে পারে। আমাদের করা কাজ তার মানে finally ফেলে দেওয়া হয়নি, তাতে কিছু মেরামত করা হয়েছে মাত্র। একটা furniture দেখতে ভালো লাগলে কাঠুরে ও খুশি হয়, ছুতোর ও খুশি হয়, শেষ চারটে পেরেক মারা মেরামতি মিস্ত্রি ও খুশি হয়। তাতে দোষ কোথায় ? খুশি তো ভাগ করলে বেড়ে যায়, ছোটবেলায় পড়েছিলাম। সবার পরিশ্রমের ফসল ডাকঘর দর্শকের ভালো লাগছে, আমি তাতে খুশী। ভেবে ভালো লাগছে যে এর মধ্যে আমার অবদান আছে অনেক টাই। খুব খুশি সুহোত্র কে নিয়ে এত হইহই দেখে। চ্যানেল কর্তৃপক্ষই যদিও ওর নাম প্রথমে suggest করেন, তবে পরে বেঁকে বসেছিলেন। বারবার চাইছিলেন কোনো স্টার অভিনেতাকে নেওয়া হোক। সুহোত্র বাদ ই পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু আমি ততদিনে ওর মধ্যে 'দামোদর'কে দেখে ফেলেছি। অনেক লড়ে finally সবাইকে রাজি করাতে পারি ওকে নিতে। ডাকঘর এত মানুষ দেখছেন আর এত লোকের ওকে ভালো লাগছে, এবার নিজ গুণেই ও স্টার অভিনেতা হয়ে উঠছে। ভবিষ্যতের পথ মসৃণ হচ্ছে ওর। আমার vision তার মানে একেবারে ফেলে দেবার মত ছিলো না। তবে আমি আগেও কিছু দাবি করিনি, এখনও করছি না। আপাতত দাবি একটাই -- মৃন্ময় এর প্রাপ্য টাকা টা দিয়ে দেওয়া হোক।
অভিযোগ - আমি মেঘের আড়ালে দাঁড়িয়ে বাণ ছাড়ছি।
আমি ইন্দ্রজিৎ নই। কোনো কিছুই তেমন জিততে পারিনি, আমার দর্শকের আশীর্বাদ ও ভালোবাসা ছাড়া। ও হ্যাঁ, আমার প্রথম বাংলা ছবি ভারতের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে 'Indian Panorama' সেকশনে officially selected ছিলো। একাধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কারও জিতেছে। তবে সেটা আমার একার জয় নয়, গোটা টিমের জয়, 'উড়নচণ্ডী' সিনেমার সঙ্গে 🃏যুক্ত প্রত্যেকটা মানুষের জয়। আমার কাজই আমার পরিচয় হোক, অন্য কিছু নয়।আমার কথাগুলো বিশ্বাস বা অবিশ্বাস করার পুরো দায়িত্ব আপনাদের দেওয়া রইল।এই প্রসঙ্গে হয়ত আবার কিছু যুক্তি, পাল্টা যুক্তি, আসবে, আরও বেশি করে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি হবে। আমি আর থাকতে চাই না তার মধ্যে।আশা করি আমাকে মুক্তি দেবেন সেসব নোংরামি থেকে। শাসকেরা সবসময় দলে ভারী হন। অনেক মানুষের টিকি বেঁধে রাখার ক্ষমতা তাঁদের থাকে যে। আর টিকিধারিরা শাসকের হয়েই কথা বলেন যুগযুগ ধরে, অথবা চুপ থাকেন। খবরের কাগজ খুললে রোজ তাইই তো দেখি। তাই আমি বিস্মিত নই একেবারেই।ওরা আমার কাজ নিয়ে নিক, আমার নাম নিয়ে নিক, অসুবিধা নেই।আমার vision কেউ নিতে পারবে না।আর আমার সম্মান কাউকে নিতে দেবো না। আমি লেখক নই, ভালো বক্তা ও নই। এতগুলো কথা গুছিয়ে বলতে/লিখতে অনেক সময় লেগে গেলো। হয়ত আরো কিছু কথা বাকিও থেকে গেল, জানি না, এখন মনে পড়ছে না। এইটুকু লিখতে যাঁরা সাহায্য করলেন, সেইসব বন্ধু দের আমার আন্তরিক ধন্যবাদ। ডাকঘরের সঙ্গে জড়িত সমস্ত অভিনেতা ও কলাকুশলী, যাঁরা এই কাজে আমার সঙ্গে ছিলেন এবং যাঁরা এখন আর আমার সঙ্গে নেই, তাঁদের সকলকে ও অনেক ধন্যবাদ।' সব শেষে সকলকে হইচই প্লাটফর্মে সকলকে 'ডাকঘর' দেখার কথাও বলেন পরিচালক অভিষেক সাহা।
পরিচালক স্বামী অভিষেক সাহার পোস্ট শেয়ার করেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী। লেখেন, ‘🐈অবশেষে তিনি কথা বললেন।’ পরিচালক বন্ধুর পোস্টটি শেয়ার করে সিনোমাটোগ্রাফার মৃণ্ময় নন্দী লেখেন, ‘প্রেস-মিডিয়া বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছে। কিন্তু তাতে কি? ইন্ডাস্ট্রি…তোমরা কি বোঝো ইন্ডাস্ট্রির? কত মানুষকে বাঁচিয়ে রেখেছে জানো? কয়েকটা নন-সেন্স আছে, অযথা প্রশ্ন তোলে, good for nothing…পিষে মেরে ফেল অপদার্থগুলোকে।’