মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুরকার এআর রহমান ও তাঁর স্ত্রী সায়রা বানু ২৯ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই রহমানের দলের বেসিস্ট মোহিনী দে-ও তাঁর স্বামী সোশ্যাল মিডিয়াতে করেন ཧবিচ্ছেদের ঘোষণা। তিনি ও তাঁর সুরকার স্বামী মার্ক হার্টসুচ জানিয়েছেন যে, তাঁরা আর বিয়ের সম্পর্কে থাকছেন না।
মঙ্গলবার সন🍒্ধ্যায় ইনস্টাগ্রামে এই দম্পতি একটি নোট শেয়ার করেছেন যেখানে লেখা হয়েছে, ‘ভারাক্রান্ত হৃদয়ে মার্ক এবং আমি ঘোষণা করছি য♌ে আমরা আলাদা হয়ে গিয়েছি।’ তাঁরা জানান যে পারস্পরিক বোঝাপড়ার মধ্য দিয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। তবে আলাদা হলেও, বন্ধুত্বের সম্পর্ক থাকবে। তাই তাঁরা মিউচুয়াল ডিভোর্সের পথে হাঁটছেন।
আরও পড়ুন: ডিভোর্স ঘোষণা করতে ARSaღiraBreakup হ্যাশট্যাগ ব্যবহার! ‘অসংবেদনশীল’ রহমানের কাণ্ডতে চোখ কপালে নেটপাড়ার
মোহিনী আরও জানিয়েছেন যে, তিনি এবং মার্ক তাদের বিচ্ছেদ সত্ত্বেও তাদের প্রক⛦ল্পগুলিতে একসঙ্গে কাজ করবেন। সঙ্গে এই পোস্টের কমেন্ট সেকশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন এই প্রাক্তন দম্পতি।
আরও পড়ুন: ‘যে আমাদে♓র চালাত, সেই চলে গেল…’! কান্নায় ফুলে চোখমুখ, স্বামী হারিয়ে বললেন মুনমুন
২৯ বছর বয়সী মোহিনী কলকাতা মেয়ে, একজন বেস বাদক। তিনি রহমানের সঙ্গে বিশꦉ্বব্যাপী ৪০টিরও🃏 বেশি শোতে পারফর্ম করেছেন এবং ২০২৩ সালের আগস্টে তার স্ব-শিরোনামে প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: হিন্দু𓆉 থেকে ꦑমুসলিম হন রহমান, মেয়ে নিজেকে রাখে বোরখায়, বাবা-মার ডিভোর্সে কী বলছেন সন্তানেরা
এদিকে মোহিনী তা𝄹ঁর কমেন্ট সেকশন বন্ধ রাখলেও, বিভিন্ন পাপারাজ্জি প্রোফাইল থেকে তা শেয়ার করতেই কটাক্ষে ভরিয়েছেন নেট-নাগরিকরা। একজন লেখেন, ‘তাহলে কি রহমানের সঙ্গে কিছু চলছে?’ দ্বিতীয়জন লেখেন, ‘এবার রহমান আর মোহিনী একসঙ্গে নতুন বিয়ের ঘোষণা করলেও আমি অবাক হব না। ছবিতে দেখব এরাই পাত্র-পাত্রী’। তৃতীয়জনের মন্তব্য, ‘হোয়াট দ্য হেল! আমি সত্যি ভাষা হারিয়েছি।’
এ আর রহমান ও সায়রা বানুর বিচ্ছেদ
রহমান ও সায়রা বানু মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁদের বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন। এই দম্পতি ১৯৯৫ সালে বিয়ে করেছিলেন এবং ৩ সন্তানের বাবা-মা ছিলেন। এদিন মধ্যরাতের কিছু পরে টুইটারে রহমান লেখেন, ‘আমরা গ্র্যান্ড থার্টিতে পৌঁছানোর আশা করেছিলাম, তবে সমস্ত কিছু, মনে হয়, এক অদৃশ্য পরিণতি বয়ে বেড়ায়। এমনকী ভগ্ন ꦯহৃদয়ের ভারে ঈশ্বরের সিংহাসনও কাঁপতে পারে। তবু এই বিপর্যয়ের মধ্যে আমরা অর্থ খুঁজি, যদিও টুকরোগুলো আবার জায়গা নাও পেতে পারে। আমাদের বন𓂃্ধুদের প্রতি, আপনাদের উদারতার জন্য এবং এই ভঙ্গুর অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে চলার সময় আমাদের গোপনীয়তাকে সম্মান করার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।’