বুধবার রাতে সাইক্লোন আমফানের জেরে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে মহানগরী কলকাতা সম💯েত দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সবকটি জেলা। এখন পর্যন্ত বহু জায়গায় বিদ্যুত্ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন, মিলছে না পানীয় জল। এই বিপর্যয়ের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না টলিউড অভিনেতারাও। আমফান পরবর্তী পরিস্থিতিতে নাজেহাল অভিনেত্রী সুদীপ্ত চক্রবর্তী। কলকাতার যোদপুর পার্ক এলাকার বাসিন্দা সুদীপ্তা। সেই চত্বর ঘেরা বড় বড় গাছগাছালিতে,তেমনই কিছু গাছ ভেঙে পড়ায় এলাকা জুরে এখন অন্ধকার।নিজের এই বেহাল দশার কথা ফেসবুকে জানিয়েছেন অভিনেত্রী। যদিও গ্রামবাংলার অনেক মানুষের চেয়ে তিনি ভালো আছেন,নিজের সমস্যাকে তাই খুব বড় করে দেখতে না-রাজ সুদীপ্তা। তিনি ভালোভাবেই জানেন, আমফান অনেকে মানুষের থেকেই মাথার ছাদটুকুও কেড়ে নিয়েছে।
রবিবার ফেসবুকে অভিনেত্রী লেখেন, '৭৪ ঘন্টা পার করল.. বিদ্যুত্ পরিষেবা নেই। আমি আজ ব্যক্তিগতভাবে গিয়েছিলাম 🀅CESC'র স্থানীয় দ⭕ফতরে অভিযোগ দায়ের করতে। খুব দ্রুতই তাঁরা জবাব দিয়েছেন। ১৫ মিনিটের মধ্যে তাঁরা লোক পাঠান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। সবকিছু দেখে তাঁরা জানাল, ভেঙে পড়া গাছ আগে সেখান থেকে সরাতে হবে, সেইকাজটা আগে KMC'কে করতে হবে। তা নাহলে তাদের পক্ষে কাজে হাত দেওয়া সম্ভব নয়। এরপর স্থানীয় কাউন্সিলারের কাছে গেলাম। তাঁর অফিসে উপস্থিত ব্যক্তিকে গোটা ঘটনা জানালাম, তিনি বললেন-দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দেখা যাক আজ কী হয়….প্রার্থনা জারি রয়েছে'।
যে গাছটℱি সমস্ত বিদ্যুতের তারসহ ভেঙে পড়ায় গোটা এলাকা বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন সেটির ছবিও ফেসবুকে পোস্ট করেছেন সুদীপ্তা। লিখেছেন- 'হর মুসিব্বত কা জড়, এই হচ্ছে তার বিজড়িত🍷 সেই গাছ, যাঁকে সরানো না গেলে বাকি সমস্যার সমাধান কোনোভাবেই হবে না।'
জানা গিয়েছে,বুধবার রাতে আমফানের পর ইলেকট্রিসিটি চলে গিয়েছিল সুদীপ্তা চক্রবর্তীর বাড়িতে,এরপর রাত দুটো নাগাদ ফিরে আসে। এরপর বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা নাগাদ বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন হয়, তারপর থেকেই ‘অন্ধকারের যাত্র𒐪ী’ গোটা এলাকাবাসী।
বিদ্যুত্ না থাকায়, ওভারহেডের ট্যাঙ্ক খালি। জল কিনেই বাসনমাজা থেকে রান্না সবটাই চলছে। বহু চেষ্টা করেও জেনারেটারও ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। তবে নিজের পরিস্থিতির চেয়েও আশেপাশের ফ্ল্যাটে বয়স্ক মানুষদের দেখে মন কাঁদছে অভিনেত্রীর। পরিস্থিতির চাপে পড়ে বাধ্য হয়েই মেয়ে শাহিদা ও বোনঝি অভিপ্সাকে পাঠিয়ে দিয়েছেন দিদি বিদীপ্তা চক্রবর্তীর বাড়িতꦿে। তবে বাড়িতে পোষ্য থাকায় সকলের পক্ষে ফ্ল্যাট ছেড়ে যাওয়া সম্ভবকর নয়। নিউজ এইটিন বাংলাকে 🅰তিনি জানিয়েছেন,'বাচ্চা দু’টো গরমে কষ্ট পাচ্ছে। মশার কামড়ে ঘুমতে পারছে না। ওদের দিদির বাড়িতে পাঠিয়ে দিলাম। আমি, আমার মেজদি ও স্বামী বাড়িতেই আছি।’
সুদীপ্তার পরিস্থিতির কথা জানতে পেরে অনেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে চেয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী।খোঁজখবর নিচ্ছেন ফোন করে। আজকের পৃথিবীতেও আশেপাশে এত ভালোবাসার মানুষ আছে ভেবেই আপ্লুত সুদীপ্তা। অন্যদিকে CESC'র তরফে জানানো হয়েছে গত ৩ দিনে তাদের ৩৩ লক্ষ উপভোক্তার মধ্যে ৮৫%-এর ব💛িদ্যুত পরিষেবা স্বাভাবিক করা সম্ভবকর হয়েছে। দ্রুতই বাকিদের বাড়িতে দ্রুত আলো ফেরানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে সংস্থা জানিয়েছে।