মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। সপরিবারে পিকনিকে গিয়ে নদীতে তলিয়ে গেলেন এক চিকিৎসক এবং তাঁর মেয়ে। চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হলেও তাঁর ১৩ বছর বয়সি মেয়েটি এখনও নিখোঁজ রয়েছে। তার খোঁজে অভিযানে নেমেছে উদ্ধারকারী দল। মৃত চিকিৎসকের নাম ডাঃ হরিশ সিং। ঘটনাটি ঘটেছে ✤মধ্যপ্রদেশের সিংগ্রাউলিতে। জেলা সদর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে গোপদ নদীর দেউরদা ঘাটে পিকনিক করতে গিয়েছিল ওই চিকিৎসকের পরিবার। তহনিয়পি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: শোন নদীতে তলিয়ে গেল একই আদিবাসী পরিবারের ৭ নাবালক, উদ্ধার ৫ 🅘দেহ
জানা গিয়েছে , হরিশ নর্দার্ন কোলফিল্ডস লিমিটেডের (এনসিএল) চিকিৎসক ছিলেন। পাঁচটি পরিবারের প্রায় ১৫ জন সদস্য মিলে সেখানে পিকনিক করতে গিয়েছিল। রবিবার বিকেলে নদীতে সাঁতার কাটতে গিয়ে গভীর জলের মধ্যে চলে যায় চিকিৎসকের মেয়ে। আর তারপরেই তলিয়ে যেতে থাকে ১৩ বছর বয়সি মেয়েটি। তা দেখার পর তিন চিকিৎসক তাকে বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। কিন্তু, তাঁরাও ডুবে যেতে থাকেন। তখন স্থানীয় লোকজন এসে তিন চিকিৎসককে উদ্ধার করে। তবে দুজনকে বাঁচানো গেলেও হরিশকে বাঁচানো যায়নি। জলে ডুবে ততক্ষণে তাঁর মৃত্যু💞 হয়। তাঁর ১৩ বছর বয়সি মেয়ে এখন নিখোঁজ। তার খোঁজ চলছে। উল্লেখ্য, ডাঃ প্রবীণ মুন্ডা, হরিশ, ডাঃ ডিজে বোরা, ভিজিল্যান্স বিভাগের সুনীল কুমার এবং পিকে ভান্ডারি ওরফে প্রবীণ কুমার এদিন সপরিবারে পিকনিকে গিয়েছিলেন।
বলা হচ্ছে, মন্দিরে উপস্থিত লোকজন সকলকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। ডাঃ মুন্ডা এবং বোরাকে তারা বাঁচাতে সক্ষম হলেও হরিশকে বাঁচাতে পারেননি। দুই চিকিৎসকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানেই তাদের চিকিৎসা চলছে। ল্যাংহাদোল ফাঁড়ির ইনচার্জ পুষ্পেন্দ্র ধুরভে জানান, গোপদ নদীতে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পাওয়া যায়। এই ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিপর্যয় মোকাবেলার একটি দল। এ ঘটনায় ১৩ বছরের এক নাবালিকা ন♛িখোঁজ রয়েছে। উদ্ধারকারী দল তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে। এছাড়াও, এক চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। নদীর ঘাটে ভিড় করেন স্থানীয়রা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোকের ছায়া নেমেছে চিকিৎসকের পরিবারে। তাঁর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।