পুরনো সময়ের কথা মনে করলেন অমিতাভ বচ্চন যওখন এলাহাব🔯াদের বাড়িতে পতাকা তুলেছিলেন তিনি প্রথমবার। আর সেই ছোটবয়সেও যে দেশাত্ববোধ আর গর্ব তিনি অনুভব করেছিলেন সেটা ভুলতে পারবেন না কোনওদিনই। সব বাড়িতে দেশের জাতীয় পতাকা লাগানোর অনুরোধ করলেন তিনি, সঙ্গে জানালেন কেন নিজের বাড়িতে পতাকা উত্তোলন শুরু করেন তিনি।
নিজের ব্লগে অমিতাভ লিখলেন, সাধারণ মানুষদের অনুমতি ছিল না পতাকা তোলার, বিশেষ কিছু দিন ছাড়া। যতদিন না পার্লামেন্টের সদস্য নবীন জিন্দাল আদালতে গিয়ে তেরঙ্গা তোলার অনুমতি নিয়ে আসে। অমিতাভ লেখেন, ‘ও নিজের পক্ষে মামলা জিতে যায়। আর আমি তখনই বাড়িতে জাতীয় পতাকা ওড়াতে শুরু করি। প্রতি রবিবার জলসার বাইরে সবাই এসে পতাকাটা দেখতে পায়। অনেক বিধিনিষেধ আছে-- কখন পতাকা ওড়াতে হবে, কখন নামিয়ে আনতে হবে, মাপ কেমন, মেটিরিয়াল কী, ২০১৪ সাল 🦩অবধি এটা খাদির হওয়া প্রয়োজন ছিল এবং ব্যঙ্গালুরুর একটা নির্দিষ্ট দোকান থেকে কেনা। এখন তো তা সব বাড়িতে ওড়ানোর উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।’
অমিতাভ মনে করেন ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতা পাওয়ার কথা। অভিনেতা লেখেন, ‘꧙১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্টের স্মৃতি এখনও আমার স্মৃতিতে। পাঁচ বছরের আমি এলাহাবাদে জাতীয় পতাকা ধরে দাঁড়িয়েছিলাম বাড়ির বারান্দায়। সেই সময় গর্বে আমার-আমাদের বুকটা ফুলে উঠেছিল।’
অমিতাভ লেখেন এরপর থেকে যখনই জাতীয় সঙ্গীত বেজেছে, গর্ব একইরকম অনুভূত হয়েছে। বরং বেড়েছে। কলকাতার ইডেনে ভারত-পাক ম্যাচের সময় যখন গান গেয়েছিলেন সবাই মিলে, তখন একই রকম ꧙গর্ব হয়েছিল। ভারত বিশ্বকাপ জয়ের পর তিনি আর অভিষেক গাড়ির ছাদে উঠে রাস্তায়💃 জমা হওয়া জনতার সঙ্গে আনন্দের হুল্লোড়ে গলা মিলিয়েছিলেন।