চোখের মণি ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানিকে তাই বিয়ের দিন মা নীতা নিজের গয়না পরিয়ে দিয়েছিলেন। অনন্তের বাকি গয়নাগুলির মধ্যে এই বাজুবন্ধ সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছিল। অ্যান্টিক স্পিনেল, রুবি এবং হীরে দিয়ে তৈরি নানা সূক্ষ্ম কাজ করা এই𝔍 গয়না🦂টির দাম ভারতীয় মুদ্রায় ২০০ কোটি টাকা।
অনন্ত আম্বানি এবং রাধিকা মার্চেন্টের বিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। দুটি জমকালো প্রাক-বিবাহ অনুষ্ঠান, তারপর ঐতিহ্য মেনে আচার-অনুষ্ঠানে ভরা এক সপ্🥃তাহ ব্যাপী বিয়ের নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে দম্পতি একসঙ্গে তাঁদের পথ চলা শুরু করেছেন। এই সমস্ত উৎসব জুড়ে, আম্বানি পরিবার তাঁদের ফ্যাশনেবল সব পোশাক এবং নানান দামি দামি চোখ ধাঁধানো গয়নায় সকলের নজর কেড়েছে। এইসব গয়নায় থাকা মূল্যবান রত্নগুলি যেমন দুর্লভ তেমনি দামিও।
আ🌜ম্বানিরা সব সময়ই তাঁদের দৃঢ় পারিবারিক মূল্যবোধের জন্য পরিচিত। তাঁরা একে অপরের প্রতি যত্নশীল। বিশেষ করে অনন্তের মা নীতা আম্বানি তাঁকে চোখে হারান। চোখের মণি ছোট ছেলেকে তাই বিয়ের দিন মা নীতা নিজের গয়না পরিয়ে দিয়েছিলেন। অনন্তের বাকি গয়নাগুলির মধ্যে এই বাজুবন্ধ সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছিল।𒈔 অ্যান্টিক স্পিনেল, রুবি এবং হীরে দিয়ে তৈরি নানা সূক্ষ্ম কাজ করা এই গয়নাটির দাম ভারতীয় মুদ্রায় ২০০ কোটি টাকা।
২০২৪ সালের মে মাসে, নীতা আম্বানি মুম্বইতে মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছিলেন, সেখানে তিনি তাঁর জনহিতকর কাজের জন্য 'বিউটি🥀 উইথ পারপাস হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাওয়ার্ড' পেয়েছিলেন। এই উপলক্ষে, নীতা একটি কালো বেনারসি শাড়ি পরেছিলেন সঙ্গে মানানসই সোনার গয়না ও একেবারে হালকা মেকআপে সেজে উঠেছিলেন। চুল খোলা রেখেছিলেন সঙ্গে কপালে পড়েছিলেন একটি কা♋লো টিপ। তবে এই সবকিছুর মধ্যে যেটা নজর কেড়েছিল তা হল নীতার বাজুবন্ধ, পুরো সাজে এটি আলাদা মাত্রা যোগ করেছিল। ছেলেকে বিয়ের দিন সেই বাজুবন্ধই পরিয়ে দিলেন মা।
কিন্তু এই বাজু বন্ধের রয়েছে এক বিশেষত্ব। এটি আসলে পাগরির সঙ্গে পরার কলগি বা পাগড়ির চূড়া। এটি পাগড়ির চেহারা একেবারে বদলে দেয়। একটা রাজকীয় ভাব যোগ করে চেহারায়। জানলে অবাক হবেন মুঘল সাম্রাজ্যের সম্মান, মর্যাদা এবং রাজকীয় কমনীয়তার প্রতীক ছিল এই কলগি। অনন্ত যে🦋 কলগি পরেছিলেন তা বর্তমানে ইনস্টাগ্রামের ভাইরাল। ইনস্টাগ্রামের একটি পেজ টপোফিলিয়া অনুসারে, এটির উচ্চতা ১৩.৭ সে༺মি এবং প্রস্থ ১৯.৮ সেমি। এটি রুবি, স্পিনেল এবং হীরে-সহ মূল্যবান সব রত্ন দিয়ে তৈরি।
কালগিটি এক বিশেষ কৌশলে তৈরি করা হয়। এই কৌশলটি ইউরোপের থেকে ভারতীয় গয়নায় প্রচলিত হয়েছে। এই কৌশলটি গয়নায় হীরেকে নিরাপদে রাখে। ধাতব𝄹 নখ প্রস্তুত করা হয় যা রত্নগুলিকে ধরে রাখে। কিছু প্রতিবেদন মতে এই বিলাসবহুল মাথার অলঙ্কারটি আসলে মুঘল সাম্রাজ্যের। ২০১৯ সালে ক্রিস্টির মহারাজাদের কাছে নিলামে এটি কেনা হয়। নীতা আম্বানি এটি তারপর বাজুবন্ধ হিসেবে ব্যবহার করেন, তারপর আবার বিয়ের দিন অনন্তকে এটি পরিয়ে দেন।