এক্সাইড মোড় থেকে দু-পা হেঁটে গেলেই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে নন্দন। যার নামকরণ করে ছিলেন সত্যজিৎ রায়, নামাঙ্কনও তাঁরই। অথচ এ🐼ই নন্দনেই জায়গা হল সত্যজিৎ রায়ের জীবনভিত্তিক ছবি, ‘অপরাজিত'র! হ্যাঁ, নন্দনে দেখানো হবে না পরিไচালক অনীক দত্তর এই ছবি।
‘ভবিষ্যতের ভূত’ ছবির পর এ বার বিতর্কের কেন্দ্🔴রবিন্দুতে পরিচালক অনীক দত্তর নতুন ছবি। জানা যাচ্ছে, শুধু নন্দন নয়, রাধা প্রেক্ষাগৃহে দেখানো হচ্ছে না সত্যজিতের ‘পথের পাঁচালী’ তৈরির নেপথ্য কাহিনি অবলম্বনে তৈরি এই ছবি। এই খবর নিশ্চিত করেছেন ছবির প্রযোজক ফিরদৌসল হাসান। জানা গিয়েছে শহরের দুই সরকারি হলেই ব্রাত্য ‘অপরাজিত’।
একথা কারুর অজানা নয়, প্রকাশ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সরকারের সমালোচনায় বহুবার মুখর হয়েছেন পরিচালক অনীক দত্ত। সরকার বিরোধী সমাবেশে যোগ দিཧয়েছেন নির্দ্বিধায়। বরাবরই বামমনস্ক বলেই পরিচিত তিনি, সেইজন্যই কি কোপ পড়ল? কারণ ঘিরে চলছে বিস্তর জল্পনা।
এই মুহূর্তে নন্দনে রমরমিয়🀅ে চলছে ‘কিশমিশ’, ‘মিনি’, ‘কলকাতার হ্যারি'। প্রথম দ🎃ুটি তৃণমূল সাংসদ দেব ও মিমির ছবি। পরেরটি শাসকদলের বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর। ‘অপরাজিত’ ছবিতে শাসক দলের কোনও ছোঁয়া নেই বলা ভুল হবে। এই ছবিতে সত্যজিৎ পত্নীর চরিত্রে অভিনয় করছেন তৃণমূলের একনিষ্ঠ নেত্রী সায়নী ঘোষ। কিন্তু…
কেন নন্দন ও রাধা প্রেক্ষাগৃহে জায়গা হল না ছবির? পরিচালক এক সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘সকলের পক্ষে মাল্টিপ্লেক্সে গিয়ে ছবি দেখা সম্ভব নয়… আমি বেশ কয়েক দিন ধরেই শুনছিলাম, ছবিটি নন্দনꦏে দেখানো না-ও হতে পারে।' নন্দনে টিকিটের মূল্য অনেকটা কম, এখানে বহু মানুষ শহরতলি থেকেও ছবি দেখতে আসেন। নন্দনে জায়গা না পেলে বড়সংখ্যক দর্শক হারাবে এই ছবি𒁏, আক্ষেপের সুরেই জানালেন তিনি।
ছবিটির প্রযোজনা সংস্থা ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশনস এই✱ ব্যাপারে কি সরকারের কাছে আবেদন রাখবে? প্রযোজক জানালেন, নন্দনে এই ছবি জায়গা না পাওয়ায় তিনি বিস্মিত। বিশ্বের দরবারে যে পরিচালক, যে ছবি বাঙালির নাম উজ্বল করল, সেই ছবির নেপথ্যের কাহিনি নিয়ে তৈরি ছবি সরকারি হলে কেন দেখানো হবে না, তার জবাব খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি।
অন্যদিকে নন্দন কর্তৃপক্ষের সাফ কথা, ‘যা দেখানো সম্ভব, 𝕴সেটাই দেখানো হচ্ছে নন্দনে। প্র💝েক্ষাগৃহে ছবি তো চলছে।’