তখনকার রথের মেলা এবং এখনকার মেলার মধ্যে অনেকটাই তফাৎ। তবে রথ, মেঘলা আকাশ, ন𓃲াগরদোলা থেকে ভেসে আসা হাঁকডাক, মিষ্টি জিলিপির সুবাস আর তার সঙ্গে গরম পাঁপড়ভাজায় কামড় আজও বদলায়নি। এবং অবশ্যই মেলায় হরেক কিসিমের,নানা বয়সী লোকের ভিড়। মেলা থেকে মাটির পুতুল হোক কিংবা আরও একটা বেশি আইসক্রিমের বায়না আজও খুদেরা করে থাকে তাদের বাবা-মায়ের কাছে। পেলে মুখের হাসি চওড়া আর না পেলে টক-মিষ্টি অভিজ্ঞতা। কালের নিয়মে রথের মেলা আধুনিক হলেও মোটেও কমেনি এর জৌলুস।
তবে রথের মেলায় যে ছেলেধরার দেখা পাওয়া যায় এবং সে সুযোগ পেলেই বাচ্চাদের চুরি কর𝓰ে, এমন কথা বহুবার ছোট্ট ছেলেমেয়েদের কাছে তাদের মা-বাবার করেন। কেউ বিশ্বাস করে শান্ত হয়ে কোনও দুস্টুমি করে না মেলায় আবার কেউ কেউ মোটেই গা করে না এসব কথায়। তবে অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য কিন্তু একবার এই রথের মেলাতেই ছেলেধরার আখপ্পরে পড়েছিলেন। সুদূর পড়েছিলেন বললে কিছুই বলা হয় না।সেই ছেলেধরা তাঁকে রীতিমতো চুরি করে পালাচ্ছিল, শেষমুহূর্তে অবশ্য সে ধরা পড়ে যায়। সম্প্রতি, টিভি নাইন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই ঘটনার কথা নিজেই ভাগ করে নিলেন এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী।
অপরাজিতার বয়স তখন মাত্র দুই। পার্ক সার্কাস ময়দানে বসা রথের মেলায় তিনি গেছিলেন তাঁর মা ও জেঠির সঙ্গে। সঙ্গে ছিলেন 'অপা'-র জ্যাঠতুতো দাদাও। মেলার মোষয়ে একটা জায়গায় ছোট্ট অপরাজিতাকে বসিয়ে পুতুল কিনবে বলে দরদাম করছিলেন অভিনেত্রীর মা ও 'বড় মা'. খুদে অপরাজিতার দিকে করোও খেয়াল ছিল না। এমন সময় অভিনেত্রীর দাদা লখ্য করে যে তাঁর বোনকে নিয়ে এক ব্যক্তি চুপিসাড়ে হাঁটা লাগিয়েছে। চিৎকার করে সে তখন তাঁর মা ও কাকীমাকে যাননি। মুহূর্তে শুরু হয়ে যায় হইচই। অভিনেত্রীর জেঠি তখনই গিয়ে ওই ব্যক্তিকে পাকড়াও করে। অপরাজিতার কথায়,'জেঠিমা গিয়ে তাকে ধরে ফেলে বলে, ‘এই আ♕মাদের মেয়ে নিয়ে কোথায় যাচ্ছ’। লোকটা কি আর সেখানে থাকে? আমায় প্রায় ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে মুহূর্তের মধ্যে পালিয়ে যায় সেখান থেকে!'
তবে সেদিনের সেই দু'বছরের অপরাজিতাকে ছোট্ট একটি রথ কিনে দেওয়া হয়েছিল যা আজও অভিনেত্রীর কাছে সযত্নে তুলে রাখা হয়েছে। প্রতি বছর রথের দিন তিনি ওই রথটিকে নিজের হাতে সাজাꦬন। এ বছরও সে নিয়মের অন্যথা হয়নি।