🅠 আরজি কর কাণ্ড নিয়ে প্রথমদিন থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। অভিনেত্রী হিসাবে নয়, একজন নাগরিক হিসাবে তিনি আন্দোলনরত চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। দেশের বাইরে থাকায় শুরুতে স্বস্তিকার প্রতিবাদ কেবল সোশ্যাল মিডিয়ায় আটকে থাকলেও কলকাতায় ফেরার পর থেকে পথে নেমে প্রতিবাদে সোচ্চার তিনি। মহামিছিলে পা মিলিয়েছেন, ধর্মতলার ধর্নামঞ্চে রাত জেগেছেন।
🐼আরজি কর-কাণ্ড স্বস্তিকার ঘুম উড়িয়েছে। মঙ্গলবার রাতেও শ্যামবাজারে আন্দোলনকারীদের নৈতিক সমর্থন জানাতে পৌঁছেছিলেন স্বস্তিকা। রাতভর সেখানেই স্লোগান দিয়েছেন। অচেনা-অজানা মানুষদের সঙ্গে হাসিমুখে ছবিও তুলেছেন। প্রতিবাদ মিছিলে হাসিমুখে ছবি দেওয়ায় অনেকেই কটাক্ষ করেন স্বস্তিকাকে। সেই নিয়ে ফেসবুকে প্রতিবাদ জানান অভিনেত্রী।
ꦛস্বস্তিকার পাশে দাঁড়িয়ে এবার ট্রোলারদের একহাত নিলেন অপরাজিতা। তিনি লেখেন, ‘মিছিলে গিয়ে কেউ হাসছে বলে তাকে ট্রোল করবেন না তাকে খারাপ কথা বলবেন না। মানুষ যাতে নির্ভীকভাবে মন খুলে হাসতে পারে নিজের কথা বলতে পারে । তিলোত্তমারার সঠিক বিচার পেয়ে যাতে শান্তির হাসি হাসতে পারে সেই জন্যই কিন্তু এই প্রতিবাদ এই মিছিল। এটা মাথায় রাখবেন।’
🎃কটাক্ষ-ট্রোলিং কোনওদিনই মুখবুজে হজম করেন না স্বস্তিকা। তিনিও পালটা জবাব দিয়েছেন। স্বস্তিকা পালটা লেখেন, ‘যারা হেসেছি বলে ট্রোল করতে ব্যস্ত, তারা কেউ একবারও জিজেস করল না কিন্তু যে এতগুলো মেয়ে রাস্তায়, শ্যামবাজার মোড়ে তারা বাথরুম কোথায় যাবে? কারুর পিরিয়ড হলে কোথায় প্যাডের ব্যবস্থা হবে? ছিঃ ছিঃ এসব একদম ভাববেন না।’
♌হাসিমুখে তোলা বেশকিছু সেলফি পোস্ট করে স্বস্তিকা আরও লেখেন, ‘আমি সন্দীপ ঘোষ নই। আমি রেপ করিনি। আমি খুনও করিনি। রাস্তায় নেমে ১৫ ঘণ্টা ধরে প্রতিবাদরত মহিলা বা পুরুষদের সারাক্ষণ মুখ গম্ভীর করে থাকতে হবে সেই নিয়মটা কে বানাল? আর কোনও নিয়ম মানব না। যেভাবে মনে হবে সেই ভাবে রাস্তায় নামব, দিনে, রাতে।’
🐷স্বস্তিকা জানান, যাঁদের সঙ্গে তিনি ছবি তুলেছেন তাঁরা সকলেই অভিনেত্রীর অপরিচিত। প্রতিবাদ মিছিলে নেমেই তো কত অচেনা মানুষ চেনা হয়ে উঠছে। এক্কেবারে ভাবলেশহীনভাবে তিনি বলেন, ‘বেশ করেছি হেসেছি। যারা ২০ দিন ধরে রোজ জেগে আছে তারা যেভাবে ভালো থাকার হোক থাকুক। যে যেভাবে প্রতিবাদ করার করুক। হেসে বা না হেসে। এই নিয়েও আবার কণ্ঠ তুলতে হচ্ছে, সত্যি কী দুঃসময়।’ সবশেষে নিন্দকদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, ‘যত ট্রোল করবি কর। হেসে হেসেই প্রতিবাদ করব। তোরা বাড়িতে বসে ফেসবুক ফেসবুক খেলা কর’।