অনেকেই এখন বিশ্বাস করেন ⭕‘পরকীয়া’ কথাটাই নাকি ভুল। ভালোবাসা যে কোনও সময়, যে কারও সঙ্গেই হয়ে যেতে পারে। এমনিতে বিয়েতে থাকাকালীন নতুন সম্পর্ককে জড়ানোকে পরকীয়া বলে অভিহিত করা হয়ে থাকে। বহু বিয়েই ভেঙে যায় এই কারণে, এমনকী তারকারাও মাঝে মাঝে চলে আসেন নীতি পুলিশদের স্ক্যানারের তলায়। পরকীয়া বা ঠকানোর চলে সমালোচনা, কটাক্ষ।
সম্প্রতি পরকীয়া নিয়ে একটি সাক্ষাৎকারে মুখ খুললেন বাংলা সিরিয়ালের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য। বললেন, ‘পরকীয়া সুস্থতার লক্ষণ’। যদিও অনেকেই তাঁ🌠র এই কথা শুনে কোঁচকাতে পারেন কপাল। তবে অপরাজিতা কিন্তু♎ যুক্তি দিয়ে বোঝালেন নিজের মন্তব্য।
আনন্দবাজারকে অপরাজিতা বললেন, ‘কেন পরকীয়া আটকাতে হবে। এটা তো সুস্থতার লক্ষণ। চিরাচরিত ছিল। রামায়ণ-মহাভারতের সময় থেকে ছিল পরকীয়া। এটা জীবনের স্বাভাবিক ধর্ম। কারও কাউকে ভালোলাগতেই পারে। আমি কারও সঙ্গে ঘর করি বলে জীবনে কাউকে ভালোবাসব না, কোনও ভালো জিনিস দেখব না, এমনটা তো হতে পারে না। যার যত অপশন বেশি, তার জীবনে তত মানুষ আসতেই পারে। এবার কেউ সেট🥀া কীভাবে ব্যালেন্স করবে সেটা সেই মানুষটার ব্যাপার। কিন্তু এতে তো কোনও অপরাধ নেই।’
অপরাজিতা মনে করেন, ভালোলাগা হতেই পারে বিয়েতে বা সম্পর্কে থাকাকালীন। ‘আমি আমার সংসারকে বেশি 𒐪গুরুত্ব দেব না, অন্য কাউকে সেটা ♋ঠিক করতাম। পাখিকেও তো খাচায় বন্দি রাখা ঠিক নয়। কাউকে না ঠকালেই হবে।’, বলেন তিনি।
অপরাজিতাকে এখন দেখা꧅ যাচ্ছে জল থইথই ভালোবাসা ধারাবাহিꦺকে। এর আগে লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টারে কাজ করেছিলেন তিনি। নতুন শুরু হওয়া এই মেগা টিআরপি তালিকায় বেশ ভালো ফল করছে। অপরাজিতাকে দেখা যাচ্ছে কোজাগরীর চরিত্রে। মধ্যবয়স্কা এক মহিলা, যে জীবনের প্রথমার্ধে স্বামী, সংসার, সন্তানে নিজেকে ঢেলে দিয়েছে। যার জীবনীশক্তি অফুরন্ত। গোটা পরিবারকে বেঁধে রাখে। পিঠ দিয়ে আগলায় আবার বিপদে।
অপরাজিতা সংসার সামলান কীভাবে সেটাও ভাগ করে নে🅺ন। যতই কাজের চাপ আসুক, তিনি ও তাঁর স্বামী একেঅপরকে সময় দেওয়ার চেষ্টা করেন সবসময়। খাতায় কলমে হিসেব করলে, হয়তো পরিবারকে অন্য অনেকের থেকে সময় কমই দেন। কিন্তু যেটুকু সময় একসঙ্গে কাটান তাঁরা, তাতে কোনও খাত থাকে না। এভাবেই খুশি থাকেন তিনি।