যুদ্ধের অস্ত্র হিসাবে ইউক্রেনকে ꦺযে দূর🦂পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে আমেরিকা, এবার সেই হাতিয়ার ব্যবহার করে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালাতে পারবে কিয়েভ।
মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে এই তথ্য সামনে আনা হয়েছে। তাদের তরফে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে ও♓ই অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি ইউক্রেনকে দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট মার্কিন আধিকারিকরা জানিয়েছেন, পশ্চিম রাশিয়ার কুর্সক অঞ্চলে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এই মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্রℱ ব্যবহার করা যাবে। প্রাথমিকভাবে ইউক্রেনকে সেই অনুমতি দেওয়া হয়𝔉েছে।
তথ্যাভিজ্ঞ মহল বলছে, বিদায়কালে মা♈র্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এই সিদ্ধান্ত আমেরিকার নীতিতে এক বিরাট পরিবর্তন নিয়ে এল। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুসারে, প্রেস꧅িডেন্টের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁর উপদেষ্টারাই সকলে সহমত হতে পারেননি।
এদিকে, দ্বিতীয়বারের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাতে আর মাত্র মাস দুয়েকের সময় রয়েছে। যিনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে কিয়🔴েভকে সমর্থন প্রদানের বিষয়ে সীমাবদ্ধতা টানার কথা আগেই জানিয়ে রেখেছেন।
যদিও মার্ক🐻িন আধিকারিকরা বলছেন, রাশিয়ার সাম্প্রতিক এবং আকস্মিক একটি পদক্ষেপের জেরেই জো বাইডেনকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। প্রসঙ্গত, কিছুটা হঠাৎ করেই এই যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামার বিꩵষয়ে সম্মতি প্রদান করেছে রাশিয়া।
সেই ঘটনার ঠিক প༺রই ইউক্রেনকে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র 'আর্মি টেকনিক্যাল মিসাইসল সিস্টেম' (এটিএসিএমএস) ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন বাইডেন।
উল্লেখ্য, গত মে মাস থেকে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে হামলা চালাতে শুরু করে রাশিয়া। তারপরই ইউক্রেনকে সﷺরবরাহ করা বিভিন্ন মার্কিন অস্ত্র মস্কোর বিরুদ্ধে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ শিথিল করতে শুরু করেন বাইডেন।
ইউ🌼ক্রেন যাতে রুশ হামলার হাত থেকে খারকিভ শহরকে রক্ষা করতে পারে, তার জন্য কিয়েভকে আমেরিকার 'হাই মবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম' (এইচআইএমএআরএস) ব্যবহারের অনুমতি দেন বাইডেন। যা ৫০ মাইল বা ৮০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুকে গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম।
কিন্তু, তখনও পর্যন্ত ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে এটিএসিএমএস ব্যবহারের অনুমতি দেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কারণ, এই ক্ষেপণাস্ত্রের ﷺপাল্লা হল, ১৯০ মাইল বা ৩০০ কিলোমিটার!
প্রসঙ্গত, আমেরিকার তরফে সরকারিভাবে দাবি করা হচ্ছে, জো বাইডেনের এই সিদ্ধান্তের ফলে সার্বিকভাবে মার্কিন নীতির কোনও পরিবর্তন হবে নཧা। কিন্তু, উত্তর কোরিয়া যেভাবে এই যুদ্ধে মাথা ঘামাচ্ছে, তাতে তাদের একটি কঠোর বার্তা দেওয়া দরকার। এটিও এই পদক্ষেপ করার আরও একটি কারণ।