সংগীত জগতের অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র হলেন আশা ভোঁসলে। ভারতীয় সংগীত জগতে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। হিন্দি তো বটেই, বাংলা কিংবা ভারতের অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষায় তাঁর গাওয়া গান সুরের দুনিয়াকে মে আরও সমৃদ্ধ করেছে, তা বলাই বাহুল্য। তবে সকলের কাছে তিনি বড় তারকা হলেও, বাড়িতে আর পাঁচটা মেয়ের মতোই তিনিও দাদার আদরের বোন। তাই ভারতের অন্যান্য বোনেদের মতো তিনিও রাখির শুভ মুহূর্তে দাদার হাতে রাখি বেঁধে মঙ্গল কামনা করেছেন।২০২৪-এ সোমবার গোটা দেশ জুড়ে সাড়ম্বরে পালিত হয়েছে রাখি বন্ধন উৎসব। সাধারণ নাগরিকরা তো বটেই, তাছাড়াও তারকাদেরও ভারতীয় নানা উৎসব উৎসাহ এবং উদ্দীপনের সঙ্গে পালন করতে দেখা যায়। বিশেষ দিন গুলিতে তাঁরাও মেতে ওঠেন পরিবারের সঙ্গে। একসঙ্গে মিলে হাসিমুখে উদযাপন করেন সুন্দর এইসব উৎসবের দিনগুলি। সুর সম্রাজ্ঞী আশা ভোঁসলেও তার ব্যতিক্রম নন। তাঁর পরিবারেও ধরা পড়েছে একই রকম ছবি। তিনিও দাদার মঙ্গল কামনায় হাতে বেঁধেছেন রাখি।সোমবার রাখি বন্ধনের শুভ মুহূর্তে আশা ভোসলে তাঁর দাদা পণ্ডিত হৃদয়নাথ মঙ্গেশকরের হাতে প্রথা মেনে রাখি বেঁধে দেন। এদিন বর্ষীয়ান গায়িকা একেবারে তাঁর চিরাচরিত সাজে সেজে উঠেছিলেন। তাঁর পরনে ছিল বেইজ রঙের ফ্লোরাল প্রিন্টের সিল্কের শাড়ি। শাড়ির সাথে মানানসই থ্রি কোয়াটার হাতা ব্লাউজ পড়েছিলেন। সঙ্গে সেজে উঠেছিলেন মানানসই মুক্তর গয়নায়। অন্যদিকে, তাঁর দাদা পণ্ডিত হৃদয়নাথ মঙ্গেশকরের পরনে ছিল একেবারে সাদা রংয়ের পোশাক। তাঁর গলায় ছিল উত্তরীয়।রীতি মেনে ফুল প্রদীপ-সহ নানা উপাচার সহযোগে থালা সাজিয়ে দাদার হাতে রাখি বেঁধে দিয়েছিলেন গায়িকা। নিজের বাড়িতেই দাদাকে নিয়ে রাখি বন্ধন উৎসবের উদযাপনের মেতে উঠেছিলেন আশা ভোঁসলে।প্রসঙ্গত, প্রতিবছর রাখির শুভ দিনে সৌভ্রাতৃত্বের এই সুন্দর উৎসব পালন করেন ভারতীয়রা। এবারেও রীতি মেনে বোনেরা ভাই ও দাদার মঙ্গল কামনায় তাঁদের হাতে রাখি বেঁধেছেন। তাছাড়াও বর্তমানে দিদি ও বোনেরাও রাখি পড়িয়ে এই সুন্দর দিনটি উদযাপন করেন। তবে শুধু রাখি বাঁধাই নয়, এর সঙ্গে চলে মিষ্টিমুখের পর্ব। তাছাড়াও ভাই-বোনেরা একে অপরের সঙ্গে নানা উপহারে ভরিয়ে দেন।