রাজ্য-রাজনীতির আঙিনা পেরিয়ে এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চার কেন্দ্রে প্রাক্তন মেয়র তথা মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রেম। ‘বিবাহিত’ শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সহবাস সঙ্গী বৈশাখী, এই পরকীয়া নিয়ে বিস্তর অভিযোগ শোভন-ঘরণী রত্নার। কিন্তু মেয়ে রিলিনা ওরফে মেহুলকে নিয়ে শোভনের সঙ্গে সুখী সংসার বৈশাখী। নিন্দকদর চোখ রাঙানি, কটূক্তি কোনও কিছুই যেন তাঁদের ছুঁতে পারে না। আরও পড়ুন-‘তোর শরীরটাকে ভালোবাসতাম’, বলেছিল মনোজিৎ, ‘স্ত্রী হিসাবে ব𝓰্যর্থ’ আক্ষেপ বৈশাখীর
শোভনꦐ-বান্ধবীর ফ্যাশন স্টেটমেন্টও থাকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। দুজনের সম্পর্ক নিয়ে এত কটাক্ষ, ট্রোলিং- সবটা কীভাবে সামাল দেন বৈশাখী। নিউজনাও-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রোলারদের কড়া জবাব দিলেন বৈশাখী। তিনি বলেন, ‘আমার পিছনে এত সময় দিচ্ছে মন্দ কী! জীবনে কত ভালো কাজ রয়েছে, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিছনে লাগা ছাড়া। কিন্তু তারা আমার পিছনে এত সময় দিচ্ছে! হঠাৎ করে আমার পরিচয় হয়ে গেল শোভন-বান্ধবী। নাম বা বদনাম, সেটা আমার নিজের কারণে হোক। আমি কোনওটার দ্বারা পরিচিত হতে চাইনি, কারুর মা কিংবা স্ত্রী বা মেয়ে। এখন শোভন-বান্ধবী যেন আর কোনও পরিচয় নেই। আমার প্রেসিডেন্সির পরিচিতি নিয়ে বা যাদবপুরের পরিচিতি নিয়ে কোনও আলোচনা হয় না। আসলে আমার মতো গুণ অনেকের মধ্যে নেই। যে সমস্ত লোকেরা আমার থেকে উচ্চমার্গের তাঁরা বৈশাখী কেন, কাউকে নিয়ে চর্চা করে না।’
তিনি যোগ করেন, ‘আমাকে নিয়ে যে এত ট্রোলিং হয়, কিন্তু আমি খুব অলস। আমি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে অনেক দূরে, তাই কেউ আমাকে নিয়ে কে এবং কী চর্চা করছে তাতে আমার ইন্টারেস্ট নেই। ✨যারা আমাকে কুমড়োপটাশ বলছে, কিংবা তাতা থৈথৈ নিয়ে এত্ত কথা বলছে। তাঁরা নিশ্চয় অসামান্য সুন্দরী হবে। যারা ফেক প্রোফাইল থেকে মন্তব্য করেছে তাদের বাদে বাকিদের আমি চেহারা গুলো দেখছিলাম, আর ভাবছিলাম এরা কারা?'
নির্বোধ ট্রোলারদের নিয়ে মশকরা হলে তিনি বলেন, ‘আমার বৈশাখী ব্যানার্জিকে ভালো লাগ෴ে না, আমি দেখবো না। এর বাইরে পৃথিবীতে দেখবার অনেক ইন্টারেস্ট রয়েছে। মানুষ বৈশাখী ব্যানার্জি নামটা ভুলে গেলে আমি খুশি হব। হ্য়াঁ, অস্বীকার করার জায়গা নেই, অনেকে এসে আমার সঙ্গে সেলফি তুললে আ♒মার ভালো লাগে। কেউ আমাকে নিজের মেয়ে বললে আমার ভালো লাগে…'।
শুধু অপরিচিতরাই নন, পরিচিতমহলেও অনেকে তাঁকে নিয়ে কটাক্ষ করেন। এমনকি বৈশাখীর ‘ব্যর্থ প্রেমিক’রাও এখন 🍌তাঁকে নিয়ে ট্রোল করেন। তাতে কিচ্ছু যায় আসে না বৈশাখীর। জীবনটা নিজের শর্তে বাঁচতে চান তিনি। বৈশ🅠াখীর কথায়, ‘এত সম্পর্ক ব্য়র্থ হয়। কত স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে কত ফাটল রয়েছে। আত্ম-বিশ্লেষণ না করে আমরা অন্যকে নিয়ে ব্যস্ত।’