তাঁর ধরে সাবালক হয়েছে বাংলা সিনেমা। ভারতীয় চলচ্চিত্রকে তিনি পৌঁছে দিয়েছেন বিশ্বের দরবারে। আজ ২রা মে বি♛শ্ববরেণ্য চলচ্চি💛ত্র পরিচালক সত্যজিত রায়ের ১০১তম জন্মবার্ষিকী। আর এই দিনই বাঙালির আবেগ, বাঙালির গর্ব সত্যজিত্ রায়কে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ‘গাণ্ডু’ ছবির পরিচালক। যদিও সত্যজিৎ রায় ও কিউ-এর দ্বন্দ্ব কারুর অজানা নয়। ২০১৫ সালে সন্দীপ রায়ের ‘ডাবল ফেলুদা’ নিয়ে সত্যজিৎ সম্বন্ধে ‘অশালীন’ শব্দ ব্যবহার করেছিলেন কিউ। তা আজও ভোলেনি বাঙালি।
অথচ, সাত বছর পর সেই কিউ-কেই সত্যজিত রায়ের ভূমিকায় পর্দায় দেখেছে দর্শক। ♛সৌজন্যে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বায়োপিক ‘অভিযান’। পরিচালক পরমব্রত চট🍸্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন বাহ্যিক সাদৃশ্যের দিক থেকে সত্যজিত রায়ের সঙ্গে অসম্ভব মিল রয়েছে কিউ-এর। সেই কারণেই এই কাস্টিং। পর্দায় সত্যজিতের ভূমিকায় কিউকে দেখে সত্যিই অবাক হয়েছে দর্শক। কিন্তু বাঙালির আইকনকে পর্দায় ফুটিয়ে তোলা তো আর চাড্ডিখানি কথা নয়। এর জন্য কতটা মেহনত করেছেন কিউ? এক সংবাদমাধ্যমকে এর জবাব দিতে গিয়ে পরিচালক তথা অভিনেতা জানান, নিময় মেনে রিহার্সাল করতে হয়েছে তাঁকে। কিউ জানান, ‘ওঁর সব কিছু নিজের মধ্যে ধারণ করতে গিয়ে আমায় প্রশিক্ষণের মধ্যে থাকতে হয়েছে। চরিত্রের মধ্যে থেকেও দিনযাপন করতে হয়েছে’।
আনন্দবাজারকে দেওয়া ওই সাক্ষাত্কারে সোজসাপটাভাবে কিউ জানান সত্যজিৎ, উত্তকুমার, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে বাঙালির যে 𓆏আবেগ রয়েছে তাতে বেশ আপত্তি তাঁর। কারণ ‘টিপিক্যাল’ বাঙালির মতো তিনি আবেগ আঁকড়ে বেঁচে থাকেন না তিনি। তবে সত্যজিত্ রায়ের চরিত্রটা ফুটিয়ে তোলা চ্যালেঞ্জিং ছিল মেনে নিয়েছেন তিনি। পর্দায় নিজেকে দেখে বেশ কিছু গাফিলতিও ধরা পড়েছে তাঁর 𓆉চোখে।
আজকের তিনি দাঁড়িয়ে টলিউডের কি আরও একজন সত্যজিৎ রায়কে দরকার? কিউ সপাটে জানান, ‘একদম নয়। ১০০ বছর পরও আবার তিনি কেন?’ যুক্তি হিসাবে কিউ বলেন সত্যজিত রায় কিন্তু যখন ছবি বা𒊎নিয়েছেন তখন বাঙালি তাঁর ছবি দেখেনি। মৃত্যুর পর তাঁর কাজ অনেক বেশি সমাদৃত হয়েছে। ছবি বানাতে গিয়ে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়🐷েছিল সত্যিজত রায়কেও। তাঁর সঙ্গে কিউ যোগ করেন, ‘বাংলা ছবি তৈরির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা সত্যজিৎ রায়। তার থেকেও বড় সমস্যা তাঁকে ঘিরে আমাদের অনুভূতিগুলো। সত্যজিৎকে ঈশ্বরতুল্য বানিয়ে নিজেদের সমস্যা আমরা নিজেরাই ডেকে এনেছি’।
কেন? কিউ জবাব দেন, জাপান, আমেরিকার মতো দেশে প্রচুর সত্যজিৎ রায়। ওরা কোনও একজ♈নকে আঁকড়ে ধরে ঈশ্বর বানায়নি। সময়ের দাবি মেনে প্রতি দশকেই নতুন পরিচালক এসেছেন। তাঁদের কাজে ওদের ইন্ডাস্ট্রি সমৃদ্ধ। বাংলায় সেটি হচ্ছে না। তাই এই দুরবস্থা'। কিউ যোগ করেন সত্যজিত রায়ের কোনও ছবি তাঁর পছন্দ নয়, কারণ ক্লাসিক ছবি দেখতে স্বচ্ছন্দবোধ করেন না তিনি। শুধু ‘পথের পাঁচালি’ পরিচালকের ছবিই নন, সেই সময়ের কোনও পরিচালকের ছবি আকর্ষণ করে না কিউকে!