বয়সে বড় ডিভোর্সী তথা এক সন্তানের মা বিদিপ্তার হাত ধরেছিলেন বিরসা দাশগুপ্ত। ভালোবেসে বিদিপ্তা ও তাঁর কন্যা সন্তান মেঘলাকে আপন করে নিয়েছিল বিরসার গোটা পরিবার। ব🌠েশ কয়েকমাস লিভ ইনের পর বিয়েটা সেরে ফেলেন দুজনে। সেই বিয়েতে পৌঁছেছিলেন টলিউডের খ্যাতনামা পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ। বিশেষ দিনে বিয়ের সেই স্মৃতিতে ডুব দিলেন বিরসা দাশগুপ্ত।
শনিবার, ৩১শে অগস্ট ঋতুপর্ণ ঘোষের জন্মবার্ষিকী। বেঁচে থাকলে আজ পরিচ♚ালক পা দিলেন ৬১-তে। রাজা দাশগুপ্ত ও চৈতালি দাশগুপ্তের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক ছিল ঋতুপর্ণর, কাছের মানুষের চলে যাওয়াটা বরাবরই বেদনার। তবে এই কঠিন সময়ে ঋতুপর্ণ ঘোষকে বড্ড বেশি মিস করছেন বিরসা।
এদিন বিয়ের ছবি ভাগ করে বিরসা লেখেন, ‘শুভ জন্মদিন ঋতুদা। যদি তুমি এই কঠিন সময়ে এখানে থাকতে! তোমার অভাব বোধ করি।’ ছবিতে বিয়ের শেরওয়ানিℱতে দেখা মিলল বিরসার। পাশে গোলাপি শাড়িতে উজ্জ্বল নতুন কনে বিদিপ্তা। ঋতুপর্ণর পাশে দেখা মিলল বিরসার মা তথা জনপ্রিয় সংবাদ পাঠিকা চৈতালি দাশগুপ্তের।
শুরু থেকেই আরজি কর কাণ্ড নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সোচ্চার বিরসা-বিদিপ্তা। ন্যায় বিচারের দাবিতে পথে নেমেছেন তাঁরা। এই কঠিন সময়ে ঋতুপর্ণ থাকলে কী করতেন? সেই ভাবনা আনন্দবাজারের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন পরিচালক। বিরসার কথায়, ‘ঋতুদা কাউকে ভয় না পেয়ে কারও পক্ষ না নিয়ে 💞কথা বলতেন। কারণ, মানুষটি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। কোন কথা বললে, কে ভাল বলবে বা কে খারাপ, সেই চিন্তা ঋতুদার ছিল না’।
বরাবরই স্পষ্টবক্তা ছিলেন ঋতুপর্ণ ঘোষ। বাংলা চলচ্চিত্রে তাঁর অবদান যেমন অনস্বীকার্য, তেমনই টলিউডে পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যেও নিজের ছাপ রেখে গিয়েছেন তিনি। বিরাসর বাবা পরিচালক রাজা দাশগুপ্তের সঙ্গে বিজ্ঞাপন জগতে কাজ করেছেন ঋতুপর্ণ, সেই সূত্রে খুব ছেলেবেলা থেকেই ‘হীরের আংটি’ পরিচালকের সান্নিধ্য় প🔥েয়েছেন বিরসা। রাজা দাশগুপ্তর সহকারী হিসাবেও কাজ করেছেন ঋতুপর্ণ। সব বয়সীদের সঙ্গে সমানভাবে মিশতে পারতেন ঋতুপ𒊎র্ণ।
রবিবার দুপুরে ‘আমরা তিলোত্তমা’র পক্ষ থেকে কলেজ স্কোয়ার থেকে🍰 ধর্মতলা পর্যন্ত মহামিছিলের আহ্বান করা হয়েছে। সেই মিছিলেও হাজির হবেন বিরসা-বিদিপ্তা।