শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান খানের মাদক মামলায় আরও একটা নাম উঠে এসেছে সম্প্রতি। মামলার কেন্দ্রবিন্দুত꧃ে ছিলেন ওই ব্যক্তি বললেও হয়তো ভুল হবে না। স্যাম ডিসুজা সম্প্রতি দাবি করেন, আরিয়ানকে বাঁচাতে ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন শাহরুখের ম্যানেজার পূজা দাদলানি। বুধবার আগাম জামিনের জন্য বম্বে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি এই আবেদন করে যে তিনি কেপি গোসাভি আর শাহরুখ খানের ম্যানেজার পূজা দাদলানির মধ্যে শুধু মিটিং ফিক্সড করে দিয়েছিলেন। এই মামলায় তাঁর আর অন্য কোনও ভূমিকা ছিল না। তিনি শুধু আরিয়ান খানকে সাহায্য করতে চেয়েছিলেন মাদক মামলায়।
মুম্বই পুলিশের স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেটিং টিম (SIT)-র পক্ষ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করতে পারে এই আশঙ্কাতেই আগাম জামিনের আবেদন করেন ডিসুজা। এনসিবি অফিসারদের বিরুদ্ধে ঘুষ দেওয়ার যে অভিযোগ সামনে এসেছে, তা তদন্দ করার দায়িত্ব🧸 পড়েছে সিট-র ওপর।
বম্বে হাই কোর্টে🧸র ভ্যাকেশন বেঞ্চ বিচারপতি এসপি তাভাদে-র কাছে আবেদন করে ডিসুজা জানান, তিনিই তাঁর পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী সদস্য। তাই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও দমনমূলক কার্য করার আগে তাঁকে যেন ৩ দিন আগে জানানো হয়। কিন্তু বম্বে আদালত যখন দেখে সেশন কোর্টের দ্বারস্থ না হয়েই হাই কোর্টে জামিনের আবেদন করেছেন ডিসুজা, তখন তা খারিজ হয়ে যায়।
স্যাম ডিসুজা নিজের আগাম জামিনের আবেদনে উল্লেখ করেছেন যে, গোসাভি আর গোসাভির বডিগ🌺ার্ড প্রভাকর সেইল দুজনেই জালিয়াত আর এনসিবির বিরুদ্ধে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ চক্রান্তের সঙ্গে যুক্ত মূল ব্যক্তি। ওই আবেদনে আরও বলা হয়েছে, তিনি যখন বুঝতে পারেন গোসাভি আর সেইল একজন প্রতারক, তখন তিনি শাহরুখের ম্যানেজার দাদলানির দেওয়া ৫০ লাখ টাকা ফিরিয়ে দেন। ডিসুজা আরও জানিয়েছেন তাঁর সঙ্গে সেইল মারফত গোসাভির যে মিটিং হয়েছিল, তার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই সমীর ওয়াংখেড়ের।
প্রসঙ্গত, আরিয়ান কাণ্ডে পঞ্চনামায় উল্লেখিত এনসিবির সাক্ষী প্রভাকর সেইল হাইকোর্টে আরিয়ানের জামিনের শুনানির ঠিক ৪৮ ঘন্টা আগে নিজের বয়ান থেকে সরে দাঁড়ান। স্যাম ডিসুজার নামের উল্লেখও করেছিল সে। স্যামের দাবি গোসাভির সঙ্গে পূজার যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া ছাড়া আর কিছুই করেননি তিনি। সুনীল পাটিল নামের একজন পূজার সঙ্গে গোসাভির যোগযাগ করানোর জ🎃ন্য অনুরোধ করেছিল তাঁকে।