ছবি: বুমেরাং
পরিচালক: শৌভিক কুণ্ডু
অভিনয়ে: জিৎ, রুক্মিণী মৈত্র
রেটিং: ৩.৭/৫
প্রথমেই বলি 'এই ছবি দেখিতে যাওয়ার আগে বুদ্ধি, যুক্♏তি, তক্কো দয়া করিয়া গেটের বাইরে রাখিয়া প্রবেশ করিবেন, অযথা বাস্তবের সঙ্গে মিল খুঁজিতে যাইবেন না। এবং সিনেমা বিনোদনের একটি উপাদান মনে রাখিয়া𒐪 গোটা ছবি সম্পূর্ণ ভাবে উপভোগ করিবেন।' বিধিসম্মত সতর্কীকরণ শেষ। এবার চলুন ঝটপট জেনে নেওয়া যাক কেমন হল জিৎ রুক্মিণীর জুটির প্রথম ছবি?
আরও পড়ুন: 'আশা করব আপনি...' যাদবপুর থেকে জিততেই সায়নীকে নালিশ ভাস্বরের, কোন⛄ পরিষেবা চাইলেন অꦇভিনেতা?
কী নিয়ে ছবির গল্প?
জিৎ এবং রুক্মিণী পালিয়♉ে বিয়ে করেছে। রুক্মিণীর বাবা যদিও সে বিয়ে মানেন না। তার থেকেও বেশি যেটা মানেন না সেটা হয় তার জামাই জিনিয়াস। ওদিকে জিৎ অর্থাৎ সমর সেন তার প্রজেক্ট, আবিষ্কার ছাড়া কিছুই ভাবে না। বোঝেও না। কিন্তু ইশা অর্থাৎ রুক্মিণীর কথায় সে একাধিক অফিসে চাকরি করতে গেলেও সেখানে টিকতে পারে না। সে চায় মানুষের মতো রোবট বানাতে। ফলস্বরূপ স তার স্ত্রীর মতো দেখতে একটি রোবট বানায়। তারপর সেটাকে ঘিরে কী কী কাণ্ড ঘটে সেটা নিয়েই বুমেরাং।
কেমন হল বুমেরাং?
সবার আগে বলি অনেকেই ভেবেছিলেন হিন্দি ছবি তেরি বাতো ম্যায় অ্যায়সা উলঝা জিয়ার মতো হবে বুঝি এই ছবি। কিন্তু না। দুটো ছবির গল্পে মানুষের মতো র꧂োবট ছাড়া দূর দূর পর্যন্ত কোনও মিল নেই। যেটা আছেꦓ ভরপুর বিনোদন। টানা ওই দুই আড়াই ঘণ্টা হেসেই গিয়েছি। সৌরভ দাস থেকে শুরু করে খরাজ মুখোপাধ্যায়, বিশ্বনাথ বসু , অম্বরীশ ভট্টাচার্যের সংলাপ বলার ধরন এবং সংলাপ আপনাকে হাসিয়ে ছাড়বেই ছাড়বে।
জিৎকে নিয়ে নতুন করে কী বা আর বলি, সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক ছবির কত রকমফের হয় তিনি দেখিয়ে যাচ্ছেন। তবে রোবট 🅰হিসেবে নজর কেড়েছেন রুক্মিণী মৈত্র। ওই অভিনয় মোটেই সহজ ছিল না। তবে আমার ব্যক্তিগত ভাবে এই ছবির সেই অংশটি সবথেকে ভালো লেগেছে যেখানে রজতাভ দত্ত মেয়ে রুক্মিণী অর্থাৎ ইশার জন্য যেখানে পাত্র খুঁজে এনে তাদের দেখিয়ে বর্ণনা দিচ্ছেন। এভাবেও যে খোঁচা দেওয়া সম্ভব টলিউড এবং রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে তার জন্য একটা বাহবা অবশ্যই প্রাপ্য এই ছবির।
আরও পড়ুন: ইটের জবাব পাথর! রেস্তো♉রাঁর মালিকের পর এবার তাঁর নামে পাল্টা FIR করলেন সোহম!
আরও পড়ুন: কঙ্গনাকে 🦄ঠাটিয়ে চড় মহিলা CISF জওয়ান🐷ের, আনন্দে রাজপথে মিষ্টি বিলোচ্ছেন এক ব্যক্তি! দেখুন কাণ্ড
বুমেরাং ছবির গান মোটামুটি। অ🌃দ্বিতীয়া গানটি বেশ ভালো লেগেছে অন্যান্য গানের তুলনায়। ফলে মন ভালো করতে চাইলে, প্রাণ ভরে হাসতে চাইলে এই গরমের ছুটি বাংলার এই সায়েন্স ফিকশন ছবি দেখতেই হবে।