টেলিভিশনে একটি নাটক এবং আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তি ও প্রতিবন্ধিকতা সম্পর্কে ‘নেতিবাচক🦩, ভ্রান্ত ও ক্ষতিকর' ধারণা প্রকাশের অভিযোগে দুটি মামলা হয়েছে৷
বশির আল হোসাইন 🐼নামের একজন বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের নিয়ে অধিকার কর্মী বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলা দুটিౠ দায়ের করেন৷ বশির মামলার আর্জিতে বলেছেন, নেতিবাচক শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইনের ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন' হয়েছে৷
বাদীপক্ষের অন্যতম আইনজীবী জীবনান্দ চন্দ জয়ন্ত ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বশির আল হোসাইনের জবানবন্দি শুনে অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আবু বকর সিদ্দিকি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগ🦄েশন (পিবিআই)-কে তদন্ত করে𒉰 রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন৷
প্রথম মামলার বিষয়বস্তু ‘ঘটনা সত্য' নামের একটি নাটক নিয়ে, যা চ্যানেল আইয়ের ইদুল আজহার আয়োজনে ২৩ জুলাই প্রচার করা হয়েছিল৷ আর দ্বিতীয় মামলার বিষয়বস্তু চ্যান🔴েল আইয়ের আলোচনা অনুষ্ঠান ‘টু দ্য পয়েন্ট'৷ আলোচনা অনুষ্ঠানের ১১ জুলাইয়ের পর্বে একজন আলোচকের কথায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে ‘নেতিবাচক ধারণা'-র প্রকাশ ঘটেছে বলে বশির আল হোসাইনের অভিযোগ৷
নাটক নিয়ে মামলায় আসামি করা হয়েছে চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ, নাটকের চিত্রনাট্যকা♔র মইনুল সানু, পরিচালক রুবেল হাসান, অভিনয় শিল্পী আফরান নিশো ও মেহজাবিন চৌধুরীকে৷
আর আলোচনা অনুষ্ঠান নিয়ে♚💦 মামলায় আসামি করা হয়েছে ফরিদুর রেজা সাগর, শাইখ সিরাজ, অনুষ্ঠান পরিকল্পনাকারী জাহিদ নেওয়াজ খান, প্রযাজক রাজু আলিম, উপস্থাপক সোমা ইমলাম এবং আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকা ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনকে৷
মামলা দুটির বাদী বশির আল হোসাইন, সকল সাক্ষী এবং আইনজীবী মোহাম্মদ রেজাউল করিম সিদ্দিকি সকলেই বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তি বলে জানান বাদীপক্ষের অন্যতম আইনজীবী জীবনান্দ চন্দ জয়ন্ত৷ আইনজীবী বলেন, ‘প্রতিবন্ধী ব্যক🗹্তির অধিকার ও সুরক্ষা𒀰 আইন ২০১৩ এর ৩৭(৪)/ ৪০ ধারায় মামলা দুটো হয়েছে৷ আমার জানা মতে বাংলাদেশে এই ধারায় মামলা এই প্রথম৷’
চ্যানেল আইয়ের ইদের আয়োজনে ‘ঘটনা সত্য' নাটকটি প্রচারের পর প্রযোজন সংস্থা সেন্ট্রাল মিউজিক অ্যান্ড ভিডিও (সিএমভি)-র ইউটিউব চ্যানেলে তা প্রকাশ করা হয়েছিল৷ কিন্তু বিশেষ শিশুদের নিয়ে ‘অবৈজ্ঞানিক বার্তা' প্রচারের অভিযোগ ওঠার পর তুমুল বিতর্কের মধ্যে নাটকটি ইউটিউব চ্যানেল থে♎কে সরিয়ে নেওয়া হয়৷ মামলার আর্জিতে বলা হয়েছে, ‘ঘটনা সত্য'নাটকে দেখানো সংলাপে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও তাদের বাবা মা ও পরিবারকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে'৷ আর দ্বিতীয় মামলায় বাদীর অভিযোগ ‘টু দ্য পয়েন্ট' অনুষ্ঠানে আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিলের খেলা প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনের একটি মন্তব্যকে ঘিরে৷
মামলার আর্জিতে বলা হয়, ‘ওই টকশোতে সুমন বলেন, আমার নিজের ছেলেটারে প্রতিবন্ধী বানাইয়া রাইখা আমি এখন আর্জেন্টিনার ছেলে এবং ব্রাজিলের ছেলে নিয়া লাফাচ্ছি৷… লাফানো ঠিক আছে৷ আমরা অনেক ছোটবেলা থেকে ম্যারাডোনাᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚর ভক্ত, কিন🐼্তু নিজের ছেলেটারে এভাবে প্রতিবন্ধী বানাবে?’
দেশের ফুটবল খেলার ꧋মানের অবনতি, দুর্বল ব্যবস্থাপনা, ব্যর্থতা ও অবস্থার সঙ্গে তুলনা করে ‘বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তি বানাইয়া রাইখা' এবং এভাবে বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তি বানাবে' শব্দবন্ধ ব্যবহারের মাধ্যমে গণমাধ্যমে বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তি ব্যক্তি ও প্রতিবন্ধিকতা সম্পর্কে ‘নেতিবাচক, ভ্রান্ত ও ক্ষতিকর' ধারণা দেওয়া হয়েছে বলে ব🎃াদীর অভিযোগ৷
এ বিষয়ে চ্যানেল আই-এর চিফ নিউজ এডিটর জাহিদ নেওয়াজ খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘চ্যানেল আইতে যে নাটকটি প্রচার করা হয়েছে তাতে আপত্তিকর অংশটি ছিল না৷ সেটা ইউটিউবে আছে, আর সেই ইউটিউব চ্যানেলটি চ্যানেল আইয়ের নয়৷… এখান🌌ে আমাদের কোনো দায় নাই৷’
আর আলোচনা অনুষ্ঠান নিয়ে অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ব্যারিস্টার সুমন লাইভে যেটা বলেছেন, সেক্ষেত্রে… একটা কথা একজন বলে ফেললে কী করার আছে? আর প্রতিবন্ধীদের সে অবজ্ঞা করে বলেছে এটা তো নয়৷ বিষয়টা প্রপারলি হচ্ছে না, কেবল এটাই বোঝাতে চেয়েছেন সুমন৷’ তবে অভিযোগের বিষয়ে আইনজীবী সুমনের বক্তব্য বিডিনিউজ টোয়েন্ট𓂃িফোর ডটকম জানতে পারেনি৷
চ্যানেল আইয়ে প্রচারের সময় নাটকে ‘আপত্তিকর অংশ ছিল না' বলে যে বক্তব্য এসেছে, সে বিষয়ে বাদীর আইনজীবী জয়ন্ত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, 'এটা ভুল কথা৷ আমাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে যে, বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তির অংশটা বাদ না দিয়েই নাটকটি প্রচা♌র করেছিল চ্যানেল আই৷'