🏅 ফের চর্চায় সুশান্ত মৃত্যু রহস্য। সম্প্রতি বলিউডের প্রয়াত এই অভিনেতার মৃত্যুর তদন্ত নিয়ে এক সংবাদমাধ্যমে মন্তব্য করেন মহারাষ্ট্রের ডেপুটি সিএম দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। তিনি জানান, প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণের বিশ্বাসযোগ্যতা পরীক্ষার কাজ চলছে এখন। এবার মুখ খুললেন সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন-এর এক সদস্য়। জানালেন, এখনও তাঁরা অপেক্ষা করছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তথ্যের। যা চাওয়া হয়েছিল, অভিনেতার মৃত্যুর পরেই।
💎২০২১ সালে গুগল ও ফেসবুকের সদর দফতর ক্যালিফোর্নিয়া-য় যোগাযোগ করেন তদন্তকারী দল। আনুষ্ঠানিক অনুরোধ পাঠানো হয়েছিল সুশান্ত মামলায় সঙ্গে জড়িতেদের মুছে ফেলা চ্যাট, ইমেল বা অভিনেতার করা পোস্টের বিবরণ সম্পর্কে জানতে চেয়ে। প্রসঙ্গত, ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে রয়েছে পারস্পরিক আইনি সহায়তা চুক্তি (MLAT)। যার ফলে উভয় পক্ষই কোনও আভ্যন্তরীন তদন্তের ব্যাপারে তথ্য চাইতে পারে।
⛦‘আমরা এখনও এই প্রযুক্তিগত প্রমাণের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করছি। যা আমাদের সাহায্য করবে মামলার ব্যাপারে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিতে।’, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সিবিআই কর্মকর্তা জানান সুশান্ত মামলার ব্যাপারে।
🐈যদিও ফড়নবিশের করা মন্তব্য নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যেই সুশান্তের বন্ধুবান্ধব, স্টাফ, তাঁর ডাক্তার, তৎকালীন প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী, অভিনেতার পরিবার, সিনেমাজগতের বেশ কয়েকজন সদস্যকে জেরা করা হয়েছে। AIIMS-এর মেডিকেল বোর্ড সুশান্তের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট ও ভিসেরা রিপোর্ট অধ্যন করার পর অভিনেতার মৃত্যুকে আত্মহত্যাই ঘোষণা করেছে। যদিও সুশান্তের পরিবার এই ফলাফলকে ত্রুটিপূর্ণ বলে অভিহিত করেছে।
𒁃দিনকয়েক আগে ফড়নবিশ জানান, ‘কিছু ব্যক্তি দাবি করেছে তাদের কাছে মামলার বিষয়ে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি ও সব প্রমাণ পুলিশকে জমা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছি। বর্তমানে, আমরা উপস্থাপিত প্রমাণের বিশ্বাসযোগ্যতা পরীক্ষা করার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছি। তদন্ত এখনও চলছে, এবং এই পর্যায়ে মামলার চূড়ান্ত পরিণতি সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করা আমার পক্ষে ঠিক হবে না।’
🌜২০২০ সালের জুন মাসে সুশান্ত সিং রাজপুতকে তাঁর অ্যাপার্টমেন্টে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। সেই কেসে তাঁর তৎকালীন বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী এবং তাঁর ভাই আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে স্ক্যানারের আওতায় এসেছিলেন। সুশান্ত মারা যাওয়ার পর বলিউডের মাদক যোগ, নেপোটিজম বিতর্কও খুব আলোচনায় এসেছিল।