তারুণ্যের অভাবেই ধুঁকছে বামেরা, দীর൩্ঘদিনের অভিযোগ! আসন্ন লোকসভা ভোটে সেই ছবিটা পালটাতে চায় লাল শিবির। এইবার সিপিআইএম-এর হয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে ল﷽ড়ছেন আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। জোরকদমে চলছে ভোটপ্রচার।
জীবনে প্রথমবার ভোটের ময়দানে সায়ন, তবে বিপক্ষকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে না-রাজ। শনিবার সায়নের হয়ে প্রচারে নামলেন দমদমের বাম-প্রার্থী তথা বর্ষীয়ান বাম নেতা সুজন চকꦺ্রবর্তী। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে গেল সায়নের ব়্যালিতে তাঁর সহধর্মিণীর উপস্থিতি।
গত ৩০ শে জানুয়ারি কোচবিহারের ম♌হারাজা প্যালেসে ধুমধাম করে বিয়ে সারেন সায়ন বন্দ্যোপাধౠ্যায়। উত্তরবঙ্গের কন্যা তমাশ্রী দেবনাথের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন তিনি। বিয়ের বয়স সবে দেড় মাস। এদিন কোলাঘাটের গোপালনগর বাজার এলাকায় পায়ে হেঁটে জনসংযোগ করলেন সায়ন। সারাক্ষণ স্বামীর ছায়াসঙ্গী তমাশ্রী।
রাস্তার দুপাশে থাকা সাধারণ মানুষের সাথে হাত মেলান। কথা বলে জানলন এলাকাবাসীর সমস্যার কথা। প্রবীণ নেতা সুজন চক্রবর্তীর উপস্থিতি বাড়তি অক্সিজেন সায়নের কাছে। বললেন, ‘সুজনদা আমার সঙ্গে প্রচারে এসেছেন এটা বাড়তি পাওনা। তৃণমূল বিজেপির নবীন প্রবীণ দ্বন্দ্ব। মারপিট, কুস্তোকুস্তি চলছে। আমাদের দলে এ সব হয় না কারণ আমরা আদর্শ ও মতাদর্শের জন্য লড়ি’। নতুন বউকে নিয়ে কী বলছেন সায়ন? সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হাসিমুখে জানালেন, ‘ও তো আমার সহযোদ্ধা। এটা যুদ্ধক্ষেত্র। গণতন্ত্রের লড়াইয়ে পাশে এসেছে। ও নিজেও ইঞ্জিনিয়র। ও বোঝে বামেদের গুরুত্ব কতখানি।’ ‘স্বামী - স্ত্রীর বাইরে গিয়েও আমি ওঁর সহযোদ্ধা হতে চাই, যুদ্ধের যখন দামামা বেজেছে, 🎃আমি ওঁর পাশে দাঁড়িয়ে লড়াই করতে চাই', বললেন সায়ন ঘরণী।
সুজন চক্রবর্তী তরুণ নেতার হয়ে সওয়াল কর𝓡ে বলেন, জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী সুজন। জ🍒ানিয়ে দিলেন, ‘ও ভালো ছেলে, কম বয়স। আমরা এই কেন্দ্রে লড়াইয়ে শুধু আছি তা নয়, জেনে রাখুন এই লড়াইয়ে আমরা জিতব।’
প্রসঙ্গত, এই আসন থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে লড়ছেন আরেক তরুণ নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। এখনও পর্যন্𝔉ত বিজেপির তরফে এই আসনের জন্য কোনও প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। আশির দশকের গোড়া থেকে বামেদের শক্ত ঘাঁটি তমলুক। শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে ২০০৯ সালে ঘাসফুল ফোটে তমলুকে। গত লোকসভা ভোটে শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী তমলুকের সাংসদ নির্বাচিত হন তৃণমཧূলের টিকিটে। তবে এবার দিব্যেন্দুকে টিকিট দেননি মমতা। এরপরই বিজেপিতে যোগ দেন দিব্য়েন্দু।
শুভেন্দু বিজেপি যাওয়ার ꧒পর থেকেই তাঁর সাংসদ ভাই দিব্যেন্দুর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগাযোগ ছিল না। খাতায় কলমে তৃণমূল সাংসদ হলেও সংসদেও দলের নেতাদের থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছিলেন তিন♔ি। তবে এবারের লোকসভা নির্বাচনে তমলুকের বিদায়ী সাংসদকে বিজেপি টিকিট দেবে না বলেই সূত্রের খবর।