স্ত্রীর অত্যাচারে জর্জরিত। বিবাহ-বিচ্ছে𒐪দের মামলায় মাস্টার শেফ কুণাল কাপুরের পক্ষেই রায় দিল আদালত। এই রায়ে স্ত্রীর মানসিক অত্যাচারের হাত থেকে মুক্তি পেলেন এই মাস্টার শেফ। স্বামীর প্রতি অভাব্য আচ෴রণ, অপমান অসম্মানের জন্য স্ত্রীর থেকে বিবাহ-বিচ্ছেদ চেয়ে মামলা করেছিলেন কুণাল। এমনকি শুনানি চলাকালীনও কুণাল কাপুরের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন তাঁর স্ত্রী। যেটা অপরাধযোগ্য বলেই মনে করছে আদালত। মঙ্গলবার তাই বিচারপতি সুরেশ কুমার কাইত ও বনশল কৃষ্ণ বনশলের ডিভিশন বেঞ্চ কুণাল কাপুরের বিবাহ-বিচ্ছেদের আবেদনে সিলমোহর দিয়েছে।
সেলিব্রিটি শেফ হিসাবে বেশ জনপ্রিয় কুণাল কাপুর। ২০০৮ সালে বিয়ে করেছিলেন তিনি। অভিযোগ ছিল বিয়ের পর থেকে কুণালের উপর নানান অত্যাচার শুরু করেন স্ত্রী। এমনকি মিথ্যে অভিযোগে তিনি নাকি প্রায়ই বাড়িতে পুলিশ ডেকে আনতেন। নানান অশান্তি করে কুণাল কাপুরের শ্যুটিং সেট🦂েও তিনি নাকি প্রায়ই হানা দিতেন। যদিও এই অভিযোগ কুণালের স্ত্রী অস্বীকার করেছিলেন।
উল্টে শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ এনেছিলেন তিনি। স্বামীর বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা এবং বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ এনেছিলেন কুণালের স্ত্রী। এমনকি কুণাল কাপুর তাঁর কাছ থেকে অস্বাಌভাবিক যৌনতা দাবি করতেন বলেও অভিযোগ এনেছিলেন তাঁর স্ত্রী। শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগও এনেছিলেন তিনি। তবে কুণাল কা🧸পুরের স্ত্রী কোনও অভিযোগই আদালতে প্রমাণ করতে পারেননি।
তাঁদের বিবাহ-বিচ্ছে🃏দের মামলায় আদালত জানান, দাম্পত্যে মতবিরোধ থাকা স্বাভাবিক। তবে সেই মতবিরোধ শালীনতার গণ্ডি ছাড়ালে সেই দাম্পত্য সুখের হয় না। আদালত জানিয়েছে কুণাল যেভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, তাতেই প্রমাণ হয় তিনি পরিশ্রমী। কুণাল কাপুরের কোনও আচরণেই আদালত অসন্তুষ্ট নয়। কুণালের বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রী যে অভিযোগগুলি এনেছেন তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন, তা আগেই প্রমাণিত হয়েছে। এভাবে কꦿারোর সম্মান নষ্ট করা নিষ্ঠুরতা বলেই মনে করছে আদালত।
এ๊দিকে কুণাল কাপ🌞ুরের এই দাম্পত্যে তাঁদের এক সন্তানও রয়েছে।