দিদি নম্বর ওয়ানে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের কতไ দিদিরা আসেন। তাঁদের জীবনের অনুপ্রেরণামূলক গল্প বলেন। এদিন তাঁদের মতোই এসেছিলেন রেণু খাতুন। তাঁর জীবনের ভয়া൲বহ শিউরে ওঠা গল্প শুনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন রচনা। কী জানালেন তিনি?
দিদি নম্বর ওয়ানে রেণুর গল্প
দিদি নম্বর ওয়ানে এসে এদিন রেণু খাতুন জানান, তিনি উচ্চমাধ্যমিক পড়তে পড়তেই নার্স༒িংয়ের ফর্ম ফিলাপ করেন। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ থেকে নার্সিং পাশ করেন। তারপরই বাড়ির অমতে বিয়ে করেন। রেণু জানান তিনি চাকরি শুরু করেন একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে। তখনই মাঝে মধ্যে অশান্তি হতো, তাঁর গায়ে তাঁর বর হাত তুলতেন। কিন্তু গোল বাঁধল যখন তিনি সরকারি চাকরি পান। তাঁর কথায়, 'আমি স্বাস্থ্য ভবনে ইন্টারভিউ দিয়ে আসি এবং তারপর চাকরি পাই। তখন একদিন মাঝরাতে হঠাৎ অনুভব করি কেউ আমার মুখে বালিশ চাপা দিয়ে মারতে চাইছে। মাথায় কেউ আঘাত করেছে। আর পা ধরে আছে। উঠে বুঝতে পারি আমার ডান হাত নেই। কেটে ফেলা হয়েছে। আমি অনুরোধ করি যে হাত ফিরিয়ে দাও সময় আছে এখনও গেলে জোড়া লেগে যাবে হাত। কিন্তু দেয়নি। তারপর হাসপাতালে যাই অ্যাম্বুলেন্স ডেকে। বাবা ভাই আসে। শেষ পর্যন্ত আমায় নকল হাত লাগাতে হয়।'
আরও পড়ুন: হিট স্ট্রোকের পর অতিরিক্ত সচেতন বাদশা, মুম্বই ফিরেই ছাতার আড়ালে মুখ ঢ🎐াকলেন শাহরুখ
রেণু এদিন জানা তিনি এত কিছু সহ্য করার পরও দমে যাননি। এখনও চাকরি করছেন। এমনকি তাঁর শ্বশুর বাড়ির যাঁরা এই ঘটনায় যুক্ত ﷽ছিলেন তাঁদের মূলত তাঁর স্বামীকে সাজা দিয়েছেন। তাঁর এই ঘটনা শুনে একদিকে যেমন শিউরে ওঠেন রচনা তেমনই তাঁর সাহসের প্রসংশা করেন।
কে কী লিখেছেন?
এক ব্যক্তি লেখেন, 'মর্মান্তিক। মনের জোরকে স্যালুট জানাই।' আরেকজন লেখেন, 'সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কিছু কিছু গোষ্ঠী এখনও মেয়েদের বোরখা পরিয়ে অন্দর মহল এই রাখতে চায়, ওরা চায় না মেয়েরা শিক্ষিত হোক, চাকরি করুক, নিজের পায়ে দাঁড়াক।' তৃতীয়জনের মতে, 'অত্যাচারিত মানুষের সঙ্গে সংসার করার চেয়ে একা থাকা অনেক ভালো। 🃏বোন তোমার আগামী দিনগুলো ভালো কাটুক আল্লাহ কাছে দোয়া করি।'
আরও পড়ুন: হৃদরোগে আক্রান্ত তীর্থ, বরকে বাঁচাতে পথে পথে গান গেয়ে রಌোজগার করবে পুতুল!
আরও পড়ুন: ভূস্বর্গে🏅 রোম্যান্টিক নয়, বরং বলিউডি মুডে রাতুল-রূপাঞ্জনা, 🎐ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে নাচলেন কোন গানে?
দিদি নম্বর ওয়ান প্রসঙ্গে
দিদি নম্বর ওয়ান বাংলার অন্যতম পুরনো রিয়েলিটি শো। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় সঞ্চালিত এই শো প্রতি সোমবার থেকে শনিবার পর্যন্ত বিকেল পাঁচটা থেকে সম্প্রচারিত হয়। অন্যদিকে রবিবার রাত আটটা থেকে দেখা যায় এই শ🃏ো।