নেই কোনও প্রথাগত প্রশিক্ষণ, তবে বন্ধুত্বে ভরসা রেখে আস্ত একট🍨া ছবি বানিয়ে ফেললেন নবীন পরিচালক প্রসূন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর ‘দোস্তজি’ বলে ডোমকলের প্রত্যন্ত গ্রামের দুই কিশোরের বন্ধুত্বের গল্প। মুম্বই হামলার প্রেক্ষাপটে তাঁর এই ছবি তুলে ধরে বন্ধুত্বের বুনন।
১৯৯৩ সালে মুম্বই হামলার প্রেক্ষাপটে মুর্শিদাবাদের ডোমকল গ্রামের দুই শিশুর নিষ্পাপ বন্ধুত্ব ঘিরে আবর্তিত হয়েছে ‘দোস্তজি’। বাবরি মসজিদ ধ্বংস ঘটনার আঁচ রয়েছে ছবিতে। ভগীরথপুরের বাসিন্দা দুই বন্ধু পলাশ (আশিক শেখ)🌄 এবং সফিকুল (আরিফ শেখ)। সমস্ত ধর্মীয় বিভেদের বাধা টপকে গড়ে উঠেছে তাঁদের বন্ধুত্ব। দুই খুদে আশিক শেখ এবং আরিফ শেখ, নিজেদের অভিনয় দিয়ে গোটা বিশ্বের মন 🦩জয় করছে।
এই ছবিতে শুধু পরিচালকই নতুন নন, অভিনেতা, সিনেম্যাটোগ্রাফার থেকে শুরু করে টিমের অধিকাংশই নবীশ। ‘নারা ইন্টারন্য়াশনাল ফিল্ম ফেস🐈্টিভ্যাল ২০২২'-এ ছবির প্রিমিয়ারে আপাতত জাপানে রয়েছেন পরিচালক। ঝুলিতে একগুচ্ছ সাফল্য। ২০২২ সালের ১১ নভেম্বর কলকাতার একাধিক প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে 'দোস্তজি'।
সুদূর জাপান থেকে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে 𒊎পরিচালক প্রসূন জানিয়েছেন, ‘ফিল্ম মেকিংয়ে আমার কোনও প্রফেশনাল ট্রেনিং নেই। আমি কোনও ফিল্ম স্কুলেও পড়িনি। কাউকে অ্যাসিস্ট করারও কোনও সুযোগ পাইনি। সেখান থেকে দাঁড়িয়ে প্রথম ছবিটা আজকে যতটুকু এসছে, খুবই ভালো লাগছে। এটা আমাদের সকলের, গোটা টিমের সম্মিলিত পরিশ্রমের ফল। বিশ্বের ২৩-২৪টা দেশে ঘুরে দর্শক এবং সামলোচক, সকলের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। আশা করি আমাদের নিজেদের জায়গা, নিজেদের দেশ, বাংলার দর্শকের ভালো লাগবে ছবিটা। ভালো লাগছে খুব।’
‘দোস্তজি’ ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক নানা পুরস্কার পেয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ‘ইউনেস্কো’র ‘সিফেজ’ পুরস্কার। লন্ডন-এর ‘বিএফ𝓀আই’ ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারের পর আঠারোটি দেশ ঘুরে সাতটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার ঝুলি𝓡তে পুরেছে এই ছবি। দেশ-বিদেশের মানুষের ভালোবাসা কুড়িয়ে এবার কলকাতায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে 'দোস্তজি'।