ও টলিপাড়ায় অচলাবস্থা। সোমবারের পর মঙ্গলবারও স্তব্ধ টলিপাড়ার শ্যুটিং বন্ধ। এখনও পর্যন্ত পরিচালকদের সঙ্গে ফেডারেশনের ঝামেলার কোনও সমধান সূত্র মেলেনি। সোমবার রাতের শেষ বৈঠকে ডিরেক্টরস গিল্ড জানায়, ‘তাঁরা কাজ বন্ধের পক্ষে নন, তাঁরা কাজ বন্ধও করেননি। তবে চাপ দিয়ে কাজ বন্ধ করানো হয়েছে।’ অন্যদিকে পরিচালকদের বৈঠকের আগে বিকেলে ফেডারেশনের বৈঠকের পর স্বরূপ বিশ্বাসের অভিযোগ ছিল, ‘ষড়যন্ত্র করে কিছু পরিচালক শ্যুটিং বন্ধ করে দিয়েছেন, টেকনিশিয়ানরা শ্যুটিং বন্ধ করেননি।’
🐬আর পরিচালক-ফেডারেশের এই দ্বন্দ্বের মাঝে পড়ে এখনও পর্যন্ত টলিপাড়ায় কাজ শুরু হয়নি। তবে মতবিরোধ থাকলেও দু-পক্ষই চায় শ্য়ুটিং শুরু হোক। এদিকে সমাধানসূত্র না বের হওয়ায় শেষপর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দরজায় কড়া নাড়লেন পরিচালকরা। অচলাবস্থা নিয়ে আলোচনা করতে মঙ্গলবার দুপুরেই নবান্নের উদ্দেশ্যে রওনা দেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দেব ও গৌতম ঘোষরা। প্রসঙ্গত, সোমবারের বৈঠকে পরিচালক-ফেডারেশন দ্বন্দ্বে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন ডিরেক্টরস গিল্ড। এখন প্রশ্ন সেই কারণেই কি তবে মাঠে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী?
🀅আরও পড়ুন-রাহুলকে মানতে নারাজ, ‘শ্যুটিং কিছু পরিচালকই বন্ধ করেছেন, কলাকুশলীরা নয়’, বলছে ফেডারেশন
🐎আরও পড়ুন-কাটল না জট, মঙ্গলেও বন্ধ শ্যুটিং, সমস্যার সমাধানে নিরপেক্ষ তৃতীয় ব্যক্তিকে চান পরিচালকরা
꧑জানা যাচ্ছে, পুরো বিষয়টা জানতে পেরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দেব ও গৌতম ঘোষকে ডেকে পাঠান। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান সূত্রে বের করার জন্য। কারণ, একদিন শ্যুটিং বন্ধ মানেই কোটি কোটি টাকার ক্ষতি। এদিন বেলা ১২টা নাগাদ বুম্বাদার বাড়িতে পৌঁছোন দেব, তারপর সাংসদ-অভিনেতা দেবের গাড়িতে চড়েই প্রসেনজিৎ ও গৌতম ঘোষ নবান্নের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।
𝄹অন্যদিকে মঙ্গলবার টলিপাড়ার অচলাবস্থা নিয়ে আর্টিস্ট ফোরামেরও একটা বৈঠক রয়েছে। এখন দেখার খোদ 'ইন্ডাস্ট্রি' প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে এবং মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে টলিপাড়ার এই অচলাবস্থা কাটে কিনা!