সালটা ১৯৮২। বড়পর্দায় মুক্তি পেয়েছিল মিঠুন চক্রবর্তী অভিনীত 'ডিস্কো ড্যান্সার'। ছবির সুরে মেতে উঠেছিল আসমুদ্রহিমাচল ভারত। সঙ্গে মুগ্ধ ও হয়েছিল ছবিতে মিঠুনের অভিনয় ও নাচের ভঙ্গিমায়। এই একটি ছবি রাতারাতি স্ট্রাগলিং' অভিনেতা থেকে 'তারকা' করে তোলে মিঠুনকে। ছবির সংগীত পরিচালক বাপ্পি লাহিড়ীর ক্ষেত্রেও প্রায় একই কথা প্রযোজ্য। এবার সেই ছবিই বড়পর্দা থেকে নেমে হাজির হতে চলেছে পেশাদার থিয়েটারে। মঞ্চে 'ডিস্কো ড্যান্সার'-কে হাজির করার পিছনে উদ্যোগ নিয়েছেন প্রখ্যাত বলি-সংগীত পরিচালক জুটি সালিম-সুলেমান। সোজা কথায়,নাটকের প্রযোজনার দিকটা সামলাচ্ছেন তাঁরা। সূত্রের খবর, একটি ঝকঝকে 'মিউজিক্যাল ড্রামা'-ই দর্শকদের সামনে পেশ করার লক্ষ্যে নিয়ে এগোচ্ছেন সালিম-সুলেমান। তবে মঞ্চে নাকি থাকবে আরও অনেক চমক। নাটকের চিত্রনাট্য থেকে সুরে থাকবে নতুনত্ব। পরিবেশনাতেও নাকি থাকবে অভিনবত্ব। সালিম-সুলেমানকে ' ডিস্কো ড্যান্সার'-এর চিত্রনাট্যের স্বত্ব বিক্রি করার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ওই ছবির পরিচালক বব্বর সুভাষ। স্বীকার করেছেন সালিম-সুলেমানও। এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন আপাতত করোনা ও লকডাউনের জেরে বন্ধ রয়েছে নাটকের মহড়া। পরিস্থিতি একবার ঠিক হলে নতুন করে শুরু হবে সবকিছু। তার ওপর রয়েছে সরকারি অনুমোদনের অপেক্ষাও। তবে মঞ্চে মিঠুন চক্রবর্তী অভিনীত চরিত্রে কাকে দেখা যাবে সে প্রসঙ্গে মুখে কুলুপ এঁটেছেন দু'পক্ষই। তবে পরিচালক বব্বর সুভাষ জানিয়েছেন 'ডিস্কো ড্যান্সার' নাটকের চিত্রনাট্য ও পরিবেশনা সমন্ধে পুরোপুরি ধারণা না থাকলেও তিনি ভীষণভাবে চান চিত্রনাট্যে যেন ' আই অ্যাম আ ডিস্কো ড্যান্সার','জিম্মি জিম্মি' এই গান দুটো যেন রাখা হয়। তাঁর মতে ছবির গল্পের অবিচ্ছেদ্য অংশ ওই দুই গান।