বৃহস্পতিবার সাতসকালে বিধ্বংসী আ💯গুনে পুড়ে ছাই টলিগঞ্জের নামী প্রযোজনা সংস্থা এসকে মুভিজের গোডাউন। দক্ষিণ কলকাতার কুদঘাট এলাকায় এসকে মুভিসের ওয়্যারহাউজে ঘটে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে সেই আগুন দেখতে পেয়ে দমকলে খবর দেন। আগুনের লেলিহান শিখা মূূহূর্তের মধ্যেই ধ্বংস করে দেয় সেখানে মজুত ক্যামেরা, লাইট থেকে শ্যুটিং-এর প্রয়োজনীয় প্রপস, পোশাক🦋 থেকে শুরু করে সিনেমার অজস্র রিলও।
ঠিক কী কারণে আগুন লেগেছে তা স্পষ্ট নয়, তবে কুঁদঘাটের ২৭ নম্বর বাবুরাম ঘোষ রোডে অবস্থিত ওই ওয়্যারহাউসটিতে প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় দ্রুত গতিতে আগুন ছড়ায়। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় আগুন নেভাবে বেগ পেতে হয় দমকল। দমকলের ১৫টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় সেই আগুন নিয়ন্ত൩্রণে আসে। ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। তবে দেখা মেলেনি প্রযোজনা সংস্থার দুই কর্ণধার অশোক ধানুক🉐া ও তাঁর পুত্র হিমাংশু ধানুকার। দিনভর ফোনেও পাওয়া যায়নি দু'জনকে।
বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা হতে অবশেষে আনুষ্ঠিক বিবৃতি এ প্র🔜যোজনা সংস্থার তরফে। কী লেখা রয়ﷺেছে সেখানে-
'আজ সকালের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় আমরা মর্মাহত। এই ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ডে একমাত্র আশার আলো হল, ভগবানের কৃপায় কেউ এই ঘটনায় আহত হননি, আশেপাশের এলাকার কেউও আঘাত পাননি।
আমরা মাথা নীচু করে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি ভগবান ও প্রশাসনকে, যাঁরা সবার প্রাণরক্ষা করেছেন। আর্থিকভাবে চরম ক্ষতির মুখে আমরা, এই কঠিন সময়ে ইন্ডাস্ট্রির সেই সকল মানুষজন, শুভাকাঙ্খী যাঁরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন আমরা তাঁদের প্রতিও কৃতজ্ঞ'।
দমকল মন্ত্রী সুজিত গুহ জꦦানিয়েছেন,কীভাবে আগুন লাগলো তার প্রকৃত কারণ জানতে ফরেনসিক তদন্ত হবে। প্রযোজনা সংস্থা এসকে মুভিজের এই সরঞ্জাম কেবল তাঁদের ছবির কাজে লাগত এমনটা নয়, কলকাতার বেশিরভাগ প্রযোজনা সংস্থায় লাইট, ক্যামেরা-সহ শ্যুটিং-এর সরঞ্জাম সরবারাহ করে এই প্রযোজনা সংস্থা। তাঁদের গোডাউনে আগুন লাগবার ঘটনা সার্বিকভাবে ইন্ডাস্ট্রির জন্য বড় ধাক্কা।
🐠তবে এই মামলাতে বিতর্কও কম নেই। ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস বিতর্ক উস্কে জানান, ‘বিতর্ক অনেক দি💫নের। আমি যা শুনেছি কর্পোরেশনের মধ্যে রেকর্ডের সমস্যা রয়েছে। কতটা নিয়ম মেনে এবং অনুমতি নিয়ে এই গোডাউন করা হয়েছে, তা আমি জানি না। সেটা তদন্ত সাপেক্ষ’।