২০১৩ সালে মুক্তি পাওয়া ইভিল ডেড♌ ছবিটির পরবর্তী ভাগ হল এই বছর মুক্তি পাওয়া ইভিল ডেড রাইজ। ছবির প্রথম যতটা ভয় ধরিয়ে শুরু হল শেষটা ভয় তো দুরস্ত মজা করেই কেটে গেল। গোটা হল জুড়ে পড়ল হাসির ধুম!
ছবির প্রথমে দেখা যায় তিন বন্ধু কোনও লেকের ধারে সময় কাটাতে গিয়েছেন। একজন ছেলে ড্রোন ওড়াচ্ছেন, আরেকজন মেয়ে সেখানেই বসে বই পড়ছেন। অন্য আরেকটি মেয়ে ঘরে। যে মেয়েটি বই পড়ছিল তিনি যখন ঘরে ফেরেন তাঁর আরেক বন্ধুর কাছে দেখেন তাঁকে ভূতে ধরেছে। বন্ধুকে রক্ষা করতে গেল🅠ে তাঁর মাথার চামড়া সমেত চুল ছিঁড়ে নেয় সেই ভূত। তিনি কোনও মতে পালিয়ে আরেক বন্ধুর কাছে গিয়ে গোটা বিষয়টা বলার আগেই যাঁকে ভূতে ধরেছিল তিনি ড্রোন দিয়ে নিজের গলা কেটে জলে পড়ে যান। বন্ধুকে বাঁচাতে ছেল൩েটিও জলে ঝাঁপ দেন। কিছু পর তাঁর কাটা মুন্ডু ডাঙায় ছিটকে পড়ে। একই সঙ্গে ভয়ঙ্কর আকার নিয়ে ভূতে ধরা মেয়েটি জল থেকে শূন্যে ভেসে ওঠে। এতদূর দেখে আপনার বেশ ভয় লাগবে বইকি! ছবিটা নিয়ে প্রত্যাশা তৈরি হবে। কিন্তু তারপরই শুরু হয় আসল খেলা।
গল্পের দ্বিতীয় ভাগে দেখা যায় একটি ফ্ল্যাটে এক মা তাঁর তিন সন্তানকে নিয়ে থাকেন। সেখানে তাঁদের সঙ্গে তাঁর বোন দেখা করতে আসেন। আচমকাই এক ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে একটি ফ্ল্যাটের গ্যারেজের নিচের মাটি ফেটে যায়। সেখানে তখন তিন ভাই বোন উপস্থিত। ছেলেটি সেই গর্তে নেমে একটি বই এবং কিছু সিডি নিয়ে আসে। ঘরে এসে এটা পড়ে এবং সিডির ভিতরে থাকা 🔯শব্দ শোনে। আর তাতেই আগমন হয় শয়তানের। কখনও সেই ভূত কাঁচ খায়, কখনও বা কাঁচা ডিম, কখনও মানুষের রক্ত, কখনও আবার চোখ খুবলে খেয়ে নিয়েও সেটা আরেকজনের মুখে থুতু করে ঢুকিয়ে দেয়। এ যেন মানুষের চোখ নয়, চোখ নিয়ে মুখ দিয়ে ফুটবল খেলা! তারপর কথায় কথায় হড়ড়িয়ে বমির দৃশ্য তো আছেই। ফলে সবটা মিলিয়েই এই ছবি আপনাকে ভয় দেখানোর বদলে বেশ ঘেন্না পাওয়াবে। আবার খানিকটা প্রেডিকটেবলও বটে এই ছবি! তবে ছবির শেষ প্রান্তে গিয়ে আবার খানিকটা ভয়ের আবহ ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন পরিচালক। কয়েকটি দৃশ্য বেজায় ভয় পাওয়াবে। কিন্তꦍু ওভারঅল তেমন ভয় মোটেই লাগেনি এই ছবি দেখে।
তবে যেটা ভালো লাগল দ্বিতীয় ভাগে থাকা মহিলার বোনের চরিত্রে লিলি সুলিভানের অভিনয়। মায়ের থেকে যে মাসির দরদ কোনও অংশে কম নয় সেটা যেন এই ছবি প্রমাণ করে দিল আবাꦅরও।
আপনি যদি ভূতের ছবি দেখতে ভালোবাসেন, আবার﷽ ভীষণ ভয় পান তাহলে লি ক্রণিনের এই ছবি নিশ্চিন্তে দেখতে পারেন। ভূতের ছবি দেখাও হবে আবার ভয়ও পাবেন না। এখানে অন্যান্য চরিত্রে দেখা গিয়েছে আলিশা সাদারল্যান্ড, মরগ্যান ডেভিস, গ্যাব্রিয়েল ইকোলিস, প্রমুখ। এই ছবির প্রযোজনা করেছে ওয়ার্নার ব্রাদার্স, ওয়াইল্ড অ্যাটলান্টিক পিকচার্স, প্যাসিফিক রেনেসাঁ, ঘোস্ট হাউজ পিকচার্স।