'তুমি আশেপাশে থাকলে'-এর দর্শকদের মন খারাপ। কারণ তাঁদের প্রিয় পার্বতীকে আর দেখা যাবে না পর্দায়। না না পার্বতী অবশ্যই মেগায় থাকবে, কিন্তু তাকে যিনি প্রাণ দিতেন মানে অঙ্গনা রায়কে আর দেখা যাবে না ধারাবাহিকে। তাঁর বদলে আসছেন রুকমা রায়। এ খবর অবশ্য বেশ কিছুদিন আগেই প্রকাশ্যে এসেছিল। আর তারপর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল নানা জল্পনা-কল্পনা। কেন মেগা থেকে সরে দাঁড়ালেন নায়িকা? নাকি বাদ পড়লেন? আর এই সব গুঞ্জনের মাঝেই সহকর্মী রোহন ভট্টাচার্য্য একটি পোস্ট করে আভাস দেন মূলত শারীরিক অসুস্থতার জন্য তিনি ছাড়লেন মেগা। কিন্তু এখন কেমন আছেন😼 নায়িকা? মেগা থেকে সরে গিয়ে কি তাঁর মন খারাপ? সেই খোঁজ 🐽নিতেই হিন্দুস্থান টাইমস বাংলা যোগাযোগ করে অঙ্গনা রায়ের সঙ্গে।
যতদূর শুনলাম অসুস্থতার কারণেই নাকি মেগা ছেড়েছেন?
অঙ্গনা: হ্যাঁ, গত কয়েকদিন ধরেই আমার শরীরটা একদমই ভালো নেই। আর দু'দিন পর থেকে ওষুধও শুরু হবে। ৩ জুন থেকে শরীরটা খারাপ হত♒ে শুরু করে। তারপর নানা রকম টেস্ট করতে বলেন চিকিৎসক, আর সবটা দেখে আমাকে দু'সপ্তাহের জন্য বেড রেস্ট করতে বলেন। কিন্তু মেগাতে 'পার্বতী' একটি কেন্দ্রীয় চরিত্র, পাশাপাশি দুরন্তও বটে। কখনও গাছে উঠছে, আবার কখনও রিক্সা চালাচ্ছে, আবার মারপিটও করছে। কিন্তু আমার যা শারীরিক অবস্থা তাতে এতটা ধকল নেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। তাই সবটা নি🗹র্মাতাদের বলি। কিন্তু এত এপিসোড তো ব্যাংক করা নেই, তাই ২ সপ্তাহের ছুটি দেওয়া সম্ভব হতো না। সেই জন্য সবাই মিলে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া। আমি খুবই কৃতজ্ঞ যে ওঁরা আমার দিকটা বুঝেছেন। তবে সবটা খুব মিস করছি।
আরও পড়ুন: ট্রাক চালক বাবার পরিচয় দিতে লজ্জা পেতেন 'পঞ্চায়েত🦄' খ্যাত সুনিতা! নিজের মুখেই জানালেন কারণ
সবটা তো বটেই, তবে কাকে কাকে বেশি মিস করছেন?
অঙ্গনা: প্রথমত তো কাজের পরিবেশটাকেই ভীষণ ভাবে আমি মিস করছি। তবে তাছাড়াও আছেন মেগার পরিচালকরা সায়ন্তনদা আর ভরতদা। ওঁদের সঙ্গে কাজ করে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। আমি কাজ নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে খুব পছন্দ করি এবং সেই সুযোগটা আমাকে সব সময় দেওয়া হয়েছে। তাই কখনও কখনও চিত্রনাট্যের বাইরে গিয়েও কিছু করা🌺র চেষ্টা করতাম। তবে সেটে খুব একটা বন্ধুত্ব করার সময় পাইনি, কারণ এটা একেবারে অন্যরকমের এ𒈔কটা প্রজেক্ট ছিল তো, তাই আমাদের সবার লক্ষ্য ছিল যে গল্পটাকে কীভাবে দাঁড় করানো যায়। সেই কারণে আলাদা করে বসে কখনও আড্ডা দেওয়া বা গল্প করাটা হয়নি কিন্তু আমরা কাজ করতে করতে অনেক মজা করেছি।
আর সহকর্মী রোহন ভট্টাচার্য্যকে কতটা মিস করছেন? উনি তো আপনাকে 'পেনকিলার' বলেছেন...
অঙ্গনা: রোহনকে নিয়ে আর আলাদা করে কী বলব। আমরা খুব ভালো বন্ধু রোহন, আমার অন্যতম প্রিয় 🐽একজন বন্ধু। তাছাড়া আমার শুভাকাঙ্ক্ষীও বটে। আমরা সব সময় কথা বলি, একে অপরের খোঁজ নেই। আমি কেমন আছি? আমার শারীরিক অবস্থা কীরকম? সব সময় রোহন সেই খোঁজটা নেয়। আমার মনে হয়, যারা থাকার তারা থেকে যায়।
আরও পড়ুন: 'বাবা আমার কোচ', 'ফাদার্স ডে'-ত෴ে বা𝄹বা শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে আবেগে ভাসলেন ছেলে ঋতব্রত
আচ্ছা তাহলে সেটে নিশ্চয়ই ওঁর সঙ্গে অনেক খুনসুটিও হতো?
অঙ্গনা: তা তো হতোই, তবে আমাদের ডি ও পি অভিষেক দাও ছিলেন এই দলে। বিশেষ করে কোনও মজার সিন থাকলে বা খুব অতি নাটকীয় কোনও সিন থাকল✤ে। যেমন- হয়তো আমি ক্যামেরার সামনে ভীষণ সিরিয়াস মুখে মজার কোনও দৃশ্যে অভিনয় করছি, আর অভিষেক দা ক্যা🦂মেরার ওপার থেকে হাসছেন, ওঁর দেখাদেখি আমিও হেসে ফেলতাম, আর সেটা দেখে ভরত দা আমাদের উপর রেগে যেতেন। আমি, রোহান আমাদের পুরো পরিচালকদের যে টিম আর ডি ও পি-এর টিম মিলে একটা গ্রুপটা ছিল। আমরা খুব মজা করতাম। তাই পার্বতী মতো অন্যরকম একটা চরিত্রও বেশ সহজে হয়ে যেত।