একসঙ্গে তিন মেয়ের বিয়ের বিজ্ঞাপন দিয়ে হইচই ফেললেন 'জাদুসম্রাট' পিসি সরকার। রবিবাসরীয় সংবাদপত্রের ‘পাত্র-পাত্রী চাই’ বিজ্ঞাপন বিভাগে এই অ্যাড দেখে চোখ গোলগোল অনেকেরই! অনেকে তো একে ভুয়োও ভেবে বসেন শুরুতে। হবু জামাইয়ের যোগ্য়তামান হিসাবে বিজ্ঞাপনে লেখা রয়েছে -'জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে ৩৮-৪৫ বছর বয়সী সুদর্শন দীর্ঘাঙ্গ সুপ্রতিষ্ঠিত পাত্র চাই'। আরও পড়ুন-আমায় ডুবাইলি রে…,খড়গপুরের পা🍃নওয়ালার গান শুনে হাউহাউ করে কাঁদলেন শ্রেয়া! সেরা ১৫-য় জায়গা হ꧂ল শুভজিৎ-এর?
পিসি সরকার জুনিয়র ও তাঁর স্ত্রী জয়শ্রী সরকারের তিন কন্যে। বড় মেয়ে মানেকা সরকার তাঁর বাবার পথে হেঁটে ম্যাজিক দেখান। মেজো এবং ছোট মেয়ে মমতাজ এবং মৌবনি দুজনেই অভিনয় দুনিয়ার পরিচিত মুখ। বাবার সুরে সুর মিলিয়ে পিসি সরকারের ছোট মেয়ে মৌবনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানালেন, ‘আমার মন হয়, জুটি তো স্বর্গেই তৈরি হয়। তাই প্রেম করে বিয়ে হোক বা সম্বন্ধ করে, আসল উদ্দেশ্য তো হল দুই আত্মার এক হওয়া। আমি মনে করি সম্বন্ধ করে বিয়েটাও খুব সুন্দর একটা প্রক্রিয়া পাত্র-পাত্⛎রী নির্বাচনের। আগেকার দিনে তো স্বয়ম্বর সভাও হত। সেখানেও মেয়েরা নিজের পছন্দের জীবনসঙ্গী খোঁজার সুযোগ পেত, এটাও সেরকম’।
দীর্ঘদিন ধরেই সিঙ্গল মৌবনী। অন্য কারুর সময় ন൩ষ্ট করতে চান না। নিজের প্রতি, সম্পর্কের প্রতি সৎ থাকতেই নিয়েছেন অ্যারেঞ্জ ম্যারেজের সিদ্ধান্ত।নিজের হবু বরের মধ্যে কোন কোন গুণ খুঁজছেন পিসি সরকার কন্যা? মৌবনির একটাই দাবি, ‘আমার শুধু একটা ভালো মনের মানুষ চাই। তা না হলে ত𓆉ার সঙ্গে এক ছাদের নীচে থাকা সম্ভব নয়। আজকের দিনে হয়ত মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রিতে বাহ্যিক সৌন্দর্য ম্যাটার করে, সেটা জরুরি। কিন্তু যার সঙ্গে গোটা জীবন কাটাবে তার হৃদয়টা যেন সুন্দর হয়, মানুষটা যেন সৎ হয়। আমিও শুধু এইটুকুই চাই’।
আরও পড়ুন🗹-সৎ বোনের যত্নে ব্যস্ত কাঞ্চন,মায়ের সাথে ডিনার ডেটে ওশ♎! খোরপোষে কত লাখ পান পিঙ্কি?
সম্পর্ক ভাঙা-গড়া আজ খুব সাধারণ ব্যাপার, মনে করেন মৌবনি। তাঁর দিদি মানেকা সরকার ২০১২ সালে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন। সে এক যুগ আগের কথা, টেকেনি সেই সম্পর্ক। মৌবনির কথায়, ‘বিয়ে যে কোনও মানুষের জীবনের একটা বড় সিদ্ধান্ত। সেটা কারুর সঙ্গে আজীবন থাকার শপথ, সন্তানের জন্ম দেওয়া….এইভাবেই পৃথিবী, মানবসভ্যতা এগিয়ে চলেছে। যখন দম্পতিদের মধ্যে কোনও সমস্যা দেখা যায়, সেটা খুব দুঃখজনক ঘটনা। কিন্তু বিষাক্ত অথচা অসুখী দাম্পত্যে থাকার চেয়ে সেটা থেক﷽ে বেরিয়ে আসাই মঙ্গল। নেতিবাচকভাবে বিষয়টা দেখবার দরকার নেই। কারণ তোমাকে নিজের সোল-মেট খুঁজে নিতে হবে। হয়ত এই মানুষটা তোমার জন্য উপযুক্ত নয়। তাই সমাজের উচিত সেই মানুষগুলোকেও জীবনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করা। ডিভোর্স কখনই খারাপ জিনিস নয়’।
পিসি সরকারের বিশ্ব🌊াস জ𝓡নতার ভিড়ে তাঁর তিন কন্যের জন্য সুযোগ্য পাত্র অবশ্যই রয়েছে, সেই কারণেই বিজ্ঞাপন। এখন দেখবার জাদুসম্রাটের বাড়িতে একসঙ্গে তিন মেয়ের বিয়ের সানাই কবে বাজবে!