এনবিএ দেখতে আমেরিকায়, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ দেখতে ইংল্যান্ডে, রণবীর সিং এখন পুরোপুরি স্পোর্টস ফ্যান! তবে এমনিতেও খেলাধুলোর দুনিয়ার সাথে বেশ যোগাযোগ আছে রণবীরের, আর হবে নাই বা কেন, পাড়ুকোন পরিবারে বিয়ে করেছেন বলে কথা! শ্বশুর প্রকাশ পাড়ুকোন দেশের অন্যতম সেরা ব্যাডমিন্টন প্লেয়ার, শালি অনিসা গলফার। এমনকী, দীপিকা💧ও ন্যাশনাল লেভেলে খেলেছেন ব্যাডমিন্টন। হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রণবীর জানালেন, দীপিকার পরিবারের সাথে থাকলে তাঁর 𒁃ভিতরের স্পোর্টস-প্রেম আরও বেড়ে যায়!
রণবীরের কথানুসারে শ্বশুর ঘরে থাকলে তাঁরা সাধারণত ব্যাডমিন্টন খেলে থাকেন। আর এখনও তিনি অবাক হন প্রকাশের ব্যাডমিন্টন স্কিল দেখে। রণবীর বলেন, ‘আপনাদের আমি বলে দেই আমার শ্বশুর প্রকাশ পাড়ুকোণ এখনও প্রো ব্যাডমিন্টন খেলায়। নিজে কোর্টের এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকবে। আর উলটো দিকে যে থাকবে তাঁকে এদিক থেকে ওদিকে দৌঁড় করাবে। তিনি একজন সত্যিকারের কিংবদন্তি। জীবন নিয়ে তাঁর বুদ্ধি ও ভাবনা তিনি যেভাবে তাঁর বাচ্চাদের সাথে শেয়ার করেন, সেটা অবিশ্বাস্য। আমি সত্যিই ধনবান তাঁর♛ থেকে জীবনের যে শিক্ষা পেয়েছি তার জন্য।’
রণবীর জানালেন শুধু প্রকাশ নয়, দীপিকাও প্রত্যেকবার তাঁকে হারিয়ে দেয় ব্যডমিন্টন খেলায়। হাসতে হাসতে বলেন, ‘আমি বলছি আপনাকে ও প্রতিবার 💖খেলার সময় যেন আাকে পিছনে লাথি মেরে হারায়। আমার তো মনে পড়ে না আমি কখনও জিততে পেরেছি বলে। ২০১২ সালে আমরা ডেট করা শুরু করি। এই ১০ বছরে আমি প্রতিবার ওর কাছে হেরেছি। ভাববেন না আমি চেষ্টা করি না। ঘেমেনেয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে থাকি, তাও লাভ হয় না। আগে তো ৫-১০ পয়েন্ট পেতাম। এখন ১৫-১৬ পাই। আমি উঠছি ধীরে ধীরে, কিন্তু এখনও সেই জায়গায় পৌঁছতে পারিনি।’
২০১২ সাল থেকে সম্পর্ক দীপিকা আর রণবীরের। ২০১৮ সালে তাঁরা বিয়ে করেন। ঠিক কী হয় শ্বশুরবাড়িতে ফাঁকা সময়ে? রণবীর জানালেন, খুব কম হয় যখন সেখানে সি💙নেমা নিয়ে কথা হয়। গোটা পরিবারই টিভিতে হয় কোনও না কোনও খেলা দেখে। রণবীরের কথায়, ‘আমাদের পরিবার যেটা করতে সবচেয়ে ভালোবাসে তা হল সবাই একসাথে বসা। তারপর টিভিতে কোনও লাইভ ম্যাচ দেখা। তা ক্রিকেট হতে পারে, ফুটবল হতে পারে, ব্যাডমিন্টন, বাস্কেটবল, অলিম্পিক… আমার শালি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ভক্ত, এই নিয়ে আমাদের খুব লড়াই চলে। আইপিএলও একটা বড় ব্যাপার। ওরা সবাই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ভক্ত আর আমি মুম্বই ইন্ডিয়ানসের। ব্যস আর কী!’