সদ্য বিয়ে করেছেন। এই মুহূর্তে রাতুল-রূপাঞ্জনা তাই নব-দম্পতি। তবে এই বিয়ের আগে, রাতুলের সঙ্গে দেখা হওয়ারও আগে নিজের জীবনে অনেকটা কঠিন সময় পার করে এসেছেন রূপাঞ্জনা। একসময় অনেক অল্প বয়সেই ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন রেজাউল হককে। তবে ভিনধর্মে সেই বিয়ে সুখের হয়নি। অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীনই রূপাঞ্জনার সেই সম্পর্কে চিড় ধরে। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ 🦄সেই সময় সবটা একাই সামলেছিলেন অভিনেত্রী।
সম্প্রতি Hindustan Times Bangla-র কাছে নতুন দাম্পত্য নিয়ে কথা বলার সময় অন্তঃসত্ত্বাকালীন সেই সময়ট𓄧া কীভাব🥂ে এসামলেছেন সেকথা জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
রূপাঞ্জনার কথায়, ‘জীবনের সবস্তরেই একটা শিক্ষার বিষয় থাকে। স্ট্রাগল আসে মানুষকে অনেককিছু শেখায়। যখন আমি অন্তঃসত্ত্বা সেসময়ও আমি সাড়ে ৮🌃 মাস পর্যন্ত কাজ করেছি। তখন যখন শ্য়ুটিংয়ে যেতাম, গাড়িতেও বালিশ দিয়ে নিজের সুবিধামতো বসার ব্যবস্থা করে নিয়েছিলাম। আর রিয়ান আসার আগে মাতৃত্ব নিয়ে প্রচুর পড়াশোনা করেছিলাম। প্রায় ৭-৮টা বই পড়ে নিয়েছিলাম। এতকিছু জেনেছিলাম, যে সেসময় হঠাৎ করে বিপদে পড়ি, এমনকি যদি ওয়াটার ব্রেক (জল ভেঙে যায়) তাহলেও আমাকে বাড়িতে ঠিক কী থেকে করতে হবে সেটাও শিখে ফেলেছিলাম। ♊তাই ওই বইগুলোর প্রতি আমি আজও কৃতজ্ঞ। সেসময় ওই বইগুলো আমায় যাঁরা যাঁরা দিয়েছেন তাঁদের কাছেও কৃতজ্ঞ। আর যাঁরা দিয়েছেন, তাঁরা নিজেরাও মা। তাঁরা আমায় এমন কিছু বই দিয়েছেন, যাতে আমার যাত্রাপথটা অনেকটাই সহজ হয়ে গিয়েছিল।’
রূপাঞ্জনা বলেন, ‘সেসময় আমি নিজেকে অন্যরকমভাবে মোটিভেট করেছিলাম। কারণ, সেসসময় আমার বাড়িতেও একটা কঠিন পরিস্থিতি চলছিল। আমার দিদিমা তিনি অসুস্থ ছিলেন। তাঁকে নিয়েও সকলের ব্যস্ততা ছিল। সেই পরিস্থিতি তাই নিজের সবটাই নিজেই করেছি। আমি অবশ্য ছোট থেকেই ভীষণ স্বাবলম্বী। সেই সময়টা হয়ত সাময়িক এ🐻কটা স্ট্রাগল পিরিয়ড মনে হয়েছিল। কারণ তখন মেয়েদের অনেক হরমোনাল পরিবর্তন হয়। একটা মা হওয়ার আগে এবং একটা পরে, দুটো স্টেজ থাকে।’
অভিনেত্রী আরও বলেন, 'হরমোনাল পরিবর্তনের প্রভাব মনেও পড়ে। সবকিছু নির্ভর করে সেসময় নিজের মনকে কীভা🦄বে চালনা করবেন। আমি ল অফ অ্যাট্রাকশন এই থিওরিতে খুব বিশ্বাস করি। তবে সেটা তো একদিনে হয় না। তার জন্য একটা সাধনা লাগে। যেকোনও কিছুতেই একটা নির্দিষ্ট সময় দিতে হয়। আমরা যখন কোনও কোর্সও কমপ্লিট করি, তার জন্যও নির্দিষ্ট সময় লাগে। সেখান থেকে আমারও একটা চেতনা জাগ্রত হয়েছিল। মনে হয়েছিল কিছ✨ু একটা করতে হবে। একা থাকলেও নিজেকে লড়তে হবে। তবে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ যে আমি এই ইন্ডাস্ট্রিতে কেরিয়ার গড়েছি। এতদিন এখানে রয়েছি। ওই সময়টাতে ইন্ডাস্ট্রিও আমায় প্রচুর শক্তি দিয়েছে। আমার বন্ধুবান্ধব, সহকর্মী, সকলেই আমার পাশে থেকেছেন। আমি একা বোধ করিনি। কাজের জায়গায় আমার প্রডিউসার, চ্যানেল, সকলেই আমাকে ভীষণ সাহায্য করেছেন যাতে আমি স্বচ্ছন্দে কাজটা করতে পারি। আবার আমি যখন বাড়িতে থাকতাম, প্রচুর সিনেমা দেখেছি, গান শুনেছি, গেয়েছি, যা ইচ্ছে করত খেয়েছি। সবমিলিয়ে আমার কাছে ওই সময়টা ভীষণই শিক্ষনীয় ছিল এবং সুন্দর ছিল। তারপর রিয়ান এল। আর ও আমার কাছে ইশ্বরের আশীর্বাদ বলে আমি মনে করি।
রিয়ানের আসার পর ও সকলের ভালোবাসা পেয়েছে। ওর সুন্দরভাবে বড় হওয়ার জন্য অনেকের অবদান আছে। যেমন রাতুলেরও আছে। রাতুল🥂 ওকে খুব ভালোবাসে। আমাদের বন্ধু-বান্ধব, দুজনের পরিবার, সকলেই ওকে খুব ভালোবাসে।'