রাজ্য জুড়ে সবুজ ঝড় বাদ পড়েনি কলকাতার যাদবপুরও। এবার যাদবপুরে তৃণমূলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন সায়নী ঘꦑোষ। ভোটে জিততেই সায়নীর সঙ্গে ছবি পোস্ট করে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যা🔴য় তাঁকে জয়ের শুভেচ্ছা জানান। আর এই পোস্ট স্যোশাল মিডিয়ায় দেখে নায়িকার দিকে ধেয়ে আসে কটাক্ষের তীর। কিন্তু এই বিষয় নিয়ে অভিনেত্রীর কী বক্তব্য? হিন্দুস্থান টাইমসকে সে কথা জানান স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় নিজে।
২০২২ সালে পুজো কার্নিভ্যালের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নমস্কার জানানোর জন্য তাঁকে শুনতে হয়েছিল বহু কটাক্ষ। নেট-নাগরিকরা তাঁকে ‘মমতার চটি চাটা’ বলে আক্রমণ করতেও ছাড়েনি। আর এবার তিনি নিজের প্রোফাইল থেকে সায়নীর সঙ্গে ছবি শেয়ার করে সহকর্মীকে শুভেচ্ছা বার্তা দিলেন। ছবিটꩵি শেয়ার💯 করে ক্যাপশনে অভিনেত্রী লেখেন, 'অভিনন্দন সায়নী ঘোষ'। স্বস্তিকার এই শুভেচ্ছাবার্তা মন ছুঁয়ে যায় সায়নীও। তাই সায়নী কমেন্টে করেন, ‘অনেক ধন্যবাদ তোমাকে। এই পোস্টটা আমার জন্য খুব মূল্যবান’।
আরও পড়ুন: ‘মমতার চটি চাটা’! তৃণমূলের সায়নꦕীর জয়ে চুমু স্বস্তিকারဣ, নেটপাড়ায় চূড়ান্ত কটাক্ষ
তবে অন্যদিকে, স্বস্তিকার এই পোস্ট ঘিরে ওঠে সমালোচনার ঝড়। কিন্তু এই প্রসঙ্গে অভিনেত🤡্রীর কী মত? জানতে চাওয়া হলে স্বস্তিকা বলেন, "জানি আমি, এটার জন্য পরবর্তী একমাস ধরে আমাকে গালাগাল শুনতে হবে। 'মমতা বন্দ্যোপাধায়ের পা চাটছি', 'আমার নিজের প্রতিপত্তি বাড়ানোর জন্য আমি এইসব করছি', এইসব বহু মন্তব্য মানুষ করবেন। তাঁদের বলতে ইচ্ছে করছে তাঁরা বলতেই পারেন। কিন্তু আমার কাছে আমার সহকর্মীদের প্রথম পরিচয় হল, আমরা একই জায়গায় কাজ করি, আমার সহকর্মী। তারপর আসে তাঁরা কোনও পার্টি করেন, বা আমার সঙ্গে তাঁদের রাজনৈতিক মতভেদ আছে কি না। আসলে আমার কাছে এই জায়গাগুলো অনেক পড়ে আসে। সায়নী আমার কাছে সবার প্রথমে একজন অভিনেত্রী।"
নায়িকা আরও বলেন, "আমাদের বন্ধু-বান্ধব বা আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে কেউ যদি পরীক্ষায় প্রথম হন, বা ভালো ফল করেন আমারা তো তাঁদের শুভেচ্ছা জানাই। তো সায়নী শুধু রাজনীতি করছে𝄹 বলে ওঁকে শুভেচ্ছা জানাতে পারব না? কেন?"
আরও পড়ুন: ভোটে জিতেই তথাগতর বাড়িতে মিষ্টি পাঠাতে চান সায়নী! কীসের ইঙ্গিত দিলেন তﷺিনি?
প্রসঙ্গত, অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ রাজনীতির মঞ্চে পা রেখে ছিলেন ২০২১ সালে। তবে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার অনেক আগে থেকেই নানা বিষয় নিয়ে তাঁকে সরব হতে দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি জড়িয়েছেন নানা বিতর্কেও। তারপর নানা জল্পনা কল্পনা পেরিয়ে সকলকে চমকে দিয়ে ২০🦩২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল শিবিরে যোগ দেন তিনি। তৃণমূল যুবর রাজ্য সভানেত্রী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলেছেন সায়নী। কিন্তু সেটা ছিল একেবারেই সাংগঠনিক দায়িত্ব।
৪𓄧 জুন মঙ্গলবার লোকসভা ভোটের রেজাল্ট প্রকাশ্যে এসেছে। বিরাট মার্জিন নিয়ে যাদবপুর থেকে জয়ী হয়েছেন তিনি। প্রায় আড়াই লাখ ভোটে প্রতিপক্ষকে পরাস্ত করেছেন অভিনেত্রী। ভোট রাজনীতিতে সায়নীর এটাই প্রথম সাফল্য। তবে এর আগেও একুশের বিধানসভা নির্বাচনে আসানসোল দক্ষিণ তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন সায়নী। তাঁর বিপক্ষে দাঁড়িয়েছ🔯িলেন বঙ্গ বিজেপির অন্যতম প্রধান মহিলা মুখ অগ্নিমিত্রা পাল। অগ্নিমিত্রা কাছে তিনি সেই বার পরাজিত হয়েছিলেন।