রঙের উৎসবে রঙিন টলিপাড়া। নিজেদের মতো করে দোল উদযাপন করেছেন তারকারা। তবে এই বছর টোটা রায়চৌধুরীর হোলির রঙ ধবধবে সাদা! দোলের সময়টা কলকাতা নয়, কাশ্মীরে কাটল অভিনেতার। আপতত সেখানেই সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘ভূস্বর্গ কাশ্মীর’-এর শ্যুটিংღ সারছেন অভিনেতা।
‘ভূস্বর্গ ভয়ঙ্কর’ ছবির নাম, সেই নামের সঙ্গে মিল রেখে বেশ কঠিন পরিস্থিতির মুখে গোটা টিম। বসন্তেই গরমে হাঁসফাঁস করছে কলকাতা। অথচ মাইনাস ৬ ডিগ্রিতে শ্যুটিং করতে বেগ পেতে চলেছে টোটাকে। সেই কথাই♎ সোশ্যাল মিডিয়ায় জানালেন অভিনেতা। কিন্তু হাল ছাড়ার পাত্র নন সৃজিতের ফেলুদা।
সাদা শার্টের উপর নীল ব্লেজার চড়িয়েছেন ওটিটি প্ল্যাটফর্মের এই ফেলুদা। গলায় মাফলার। তবুও শীত কাবু হচ্ছে কই? অভিনেতা লেখেন, ‘তাপমাত্রা : -৬° (হ্যাঁ, মাইনাস ছয়)….শৈত্য সু﷽রক্ষায়: জামার নিচে থার্মালস। ভেতরে ঠক্ ঠক্ কিন্তু বাইরে অবিচল কারণ চরিত্রটা যে ফেলুদা !!! এই চরিত্রে যখন অভিনয় করি তখন খিদে পায় না, ঘুম পায় না, ভয় পাই না (তাৎক্ষণিক হঠকারিতাগুলোর কথা মনে পড়লে পরে অবশ্য পাই। সেগুলো কি কি, মুক্তির সময় বলবো); একটা ঘোরের মধ্যে থাকি।’
অভিনেতা আরও যোগ করেন, 'মগজাস্ত্র, শরীরাস্ত্র, সততার অস্ত্র, ಌপরিশ্রমের অস্ত্র, ভালোবাসার অস্ত্র এবং ভক্তির অস্ত্র; .৩২ ক🦩োল্টের ছ'টা টোটার মতোই যেন সবকটা সর্বদা প্রস্তুত থাকে। যখনই দরকার পড়বে তখনই একসঙ্গে, লালমোহনবাবুর কথায়, ঠাঁই, ঠাঁই, ঠাঁই, ঠাঁই, ঠাঁই, ঠাঁই' !
হইচই ওয়েব প্ল্যাটফর্মের জন্য ‘ফেলুদা ফেরত’-এর পরের গল্প সত্যজিৎ রায়ের লেখা ‘ভূস্বর্গ ভয়ঙ্কর’কে ঘিরে। গত বছরই এই প্রজেক্ট নিয়ে কাজ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তখন সৃজিত ব্যোমকেশ ও দুর্গ রহস্য নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাওয়ায় সেই কাজ আর হয়নি। তবে এই বছর বাদ পড়ল না। সদ্য মুক্তি পেয়েছে সৃজিতের ‘অতি উত্তম’। প্রচার কাজ সামলে সোজা কাশ্মীরে পাড়ি দিয়েছেন পরিচালক, রেইক꧂ির কাজ সেরে এসেছিলেন আগেভাগেই।
সৃজিতের ফেলুদা মানেই ফেলুদা, জটায়ু ও তো🌱পসের চরিত্রে- টোটা রায়চৌধুরী, অনির্বাণ চক্রবর্তী এবং কল্পন মিত্র। এর আগে আড্ডা টাইমসে সৃজিতের পরিচালনায় ‘ছিন্নমস্তার অভিশাপ’ ও ‘যত কাণ্ড কাঠমুন্ডু’তে তৈরি হয়েছে। যার মধ্যে দ্বিতীয়টি আজও মুক্তির আলো দেখেনি নানান জটিলত𒐪ায়।
এরপর ২০২২ সালে দল বদল করেন সৃজিত। আড্ডাটাইমসের প্রতিপক্ষ শিবির হইচইয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তৈরি করেন তাঁর ফেলুদা নির্ভর ওয়েব সিরিজ ‘দার্জিলিং জমজমাট’।🎐 সেই বছর জুন💫ে মুক্তি পেয়েছিল এই সিরিজ। অর্থাৎ প্রায় দু-বছরের অপেক্ষার পর ফেলুদার ফেরার পালা।