বিয়ের পর প্রথমবার দিদি নং ১-এর মঞ্চে হাজির হয়েছেন ইমন-নীলাঞ্জন জুটি। সঞ্চালিকা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবশ্য প্রথমেই প্রশ্ন করে বসেন, বিয়ের দু’মাস হয়েছে। কেমন কাটল তাঁদের নতুন জীবন? বেশ প্রাণোচ্ছ্বল মেজাজে সেই প্রশ্নের উত্তর দেন গায়িকা ইমন চক্রবর্তী। ইমনের কথায়, তাঁরা দুজন বিয়ের আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিয়ের পরও বিয়ের আগের মতোই একই রকমের জীবনযাপন করবেন। কারণ, তিনি বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে এবং নীলাঞ্জনের এক ভাই ব্যাঙ্গালুরুতে থাকে তাই নীলাঞ্জন এখানে তাঁর বাবা-মায়ের কাছে একা। গায়িকার কথায়, তাঁদের অগ্রাধিকারগুলো বা দায়িত্বগুলো একই আছে তবে তালিকায় বেশ কিছু নতুন মানুষ যুক্ত হয়েছেন। বেশ আলতো সুরেই ইমন এই জাবাব দেন।যদিও ইমনকে দেখে হতবাক রচনা বলেন, এত আলতো এবং শান্ত সুরে সে কীভাবে কথা বলছে। উত্তরে ইমন বলেন, তিনি আগের তুলনায় অনেক শান্ত হয়ে গেছেন। অবাক রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, ‘কেন? দু’মাসে এই অবস্থা!’ সকলে অবশ্য দুজনের এই কথোপকথনে হেসে গড়িয়ে যাচ্ছেন। এবার মজার ছলে নীলাঞ্জনকে রচনার প্রশ্ন, ‘নীলাঞ্জন, তৌমার বৌকে কি ওষুধ খাইয়ে দিলে?’ যা শুনতেই লজ্জায় গাল লাল হয়ে ওঠে তাঁর। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলেন তিনি। এদিকে নীলাঞ্জনের হয়ে উত্তর দেন ইমন। তিনি বলেন, ‘আমি ENT-র ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম। ডাক্তার কথা বলতে বারণ করেছে। সেই শুনে নীলাঞ্জনকে যে কী খুশি হয়েছে। ও বলেছে একটু চুপ করে থাকোতো!’ যদিও গায়িকার কথায় নীলাঞ্জন ভীষণ চুপচাপ এবং তিনি অ কথা বলেন। তবে নীলাঞ্জন কিন্তু জানিয়েছেন, পরিস্থিতির চাপে চুপচাপ হয়ে গেছেন। যদিও পুরোটাই মজার এবং খুনসুটির ছলে বলতে শোনা যায় তাঁদের। ভিডিয়োতে ইমনের বেশ সিক্রেট ফাঁস করেন নীলাঞ্জন। তাঁর কথায়, আগে ইমন ১২টায় ঘুম থেকে উঠত এখন ১১টায় ওঠে। এমনকি ঘরভর্তি জামাকাপড় থাকতেও ইমনের নাকি দাবি তাঁর পড়ার মতো কিছুই নেই। তবে ইমনের কিন্তু দাবি, দিদি নং ১-এ এসে তাঁর বাবা, বান্ধবী মানালির পর এবার নীলাঞ্জনও নাকি ভুলভাল বলে গেছে। তবে তিনি খুবই ভালো, সকলের কথা মেনে চলেন। কেন সকলে এভাবে তাঁর নামে বলেন তিনি বুঝতে পারেন না! তবে সারেগামাপাতে তাঁর নাচ দেখার পর সকলে নাকি তাঁর নাচের প্রশংসা করেন, যা শুনে দিল খুশ হয়ে গেছে ইমনের।