বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী অর্পণ চক্রবর্তী এবং রেডিও জকি মানালি গঙ্গোপাধ্যায়। করোনা সতর্কতা বিধি মেনে ছোটখাটো ঘরোয়া অনুষ্ঠান, কিছু কাছের মানুষ এবং অবশ্যই গান বাজনা, এই নিয়েই জমে উঠেছিল বিয়ের আসর।সম্পর্কের শুরুটা হয়েছিল প্রায় একবছর আগে। প্রথমে বন্ধুত্ব, সেখান থেকেই ভালো লাগা। অল্প সময়ের মধ্যেই তাঁরা হয়ে ওঠেন একে অপরের ভরসা ও বিশ্বাসের মানুষ, তাই সিদ্ধান্ত নিতে বেশি সময় লাগেনি। লকডাউনের পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতেই সামাজিক ভাবে বিয়ের অনুষ্ঠানটা সেরে ফেললেন ৩০শে জুন। প্রখ্যাত ঝুমুরিয়া সুভাষ চক্রবর্তীর দুই সন্তান অর্পণ এবং অর্পিতা। দুই ভাইবোনই লোক সঙ্গীত জগতের সুপরিচিত নাম। বাবার আদর্শেই তাঁদের সঙ্গীত জীবন। এত হুল্লোড়ের ভিড়ে খাঁটি মাটির গানকে বাঁচিয়ে রাখাই তাঁদের সঙ্গীত জীবনের মূলমন্ত্র। পুত্রবধু হিসেবে মানালিকে পেয়ে যারপরনাই খুশি শিল্পী সুভাষ চক্রবর্তী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি পোস্ট করেছেন, ‘মা লক্ষ্মীকে ঘরে আনলাম’। ঝুমুর গানের দেশ বাঁকুড়া অর্পণের জন্মভিটে, তাই তাঁর ধমনীতে বয়ে চলেছে খ্যাপা মাটির সুর। মূলত বাউল গান, বিভিন্ন ধারার লোক সঙ্গীতের সঙ্গে গিটার, দোতরার ফিউশন নিয়েই অর্পণের অসাধারণ স্টেজ প্রেজেন্স। এই মুহূর্তে জেন ওয়াই এবং ইয়ংস্টারদের কাছে অর্পণের গান খুবই জনপ্রিয়। গানের মাধ্যমেই মানুষকে ‘সহজ জীবন’- এর বার্তা দিয়ে থাকেন এই নগর বাউল। অসলে কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকলেও তাঁর মন পড়ে থাকে বাঁকুড়া, পূরুলিয়া, বীরভূমের লাল মাটির সরানে। তাই সময় পেলেই ছুটে যান মেঠো বাউলের দেশে। খড়কুটোর ঘরে মন পাগল করা খ্যাপার নাচ গানে নিজেকে বিলিয়ে দিতে এবং সমৃদ্ধ হতে। বিয়ের আগে নিজের হাতে ঘর সাজিয়েছেন এই নব দম্পতি। প্রতিটা কোণের জন্য রাখা হয়েছে আলাদা আলাদা নাম। দেওয়াল সেজেছে হাতে আঁকা ছবিতে। মানালির কথা অনুযায়ী, শহুরে জীবনের মাঝে তাঁদের বাসাটা হোক এক টুকরো সহজ সরল লোকজীবন। বিয়ের এই আবহে অর্পণ তাঁর সকল অনুরাগীদের গাছ লাগানোর অনুরোধ জানিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নতুন কত্তা-গিন্নি, থুড়ি! ক্ষ্যাপা খেপি, তাঁদের নতুন বাসস্থানের ছবি দিয়ে সকল বন্ধু ও ভক্তদের আমন্ত্রণ জানিয়ে লিখেছেন, ‘ আমাদের বাসা। কখনও আইসেন আপনারাও। শুধু দরকার সরল মন ও সরল হাসি। তবে সাথে একটু গান,নাচ,চিত্র,সাহিত্য হলে উপরি পাওনা। জয় গুরু। বিঃদ্রঃ- জটিল মনের মানুষরা দূরে থাকাই ভালো।’